গাইবান্ধার সাঘাটায় রাতের আধারে যমুনা নদীর ক্রস বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে রাতেই পানি উন্নয় বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধার সাঘাটার উপজেলার মুন্সিরহাটে মূল বাধের পূর্ব অংশে একটি ক্রসবাধ রয়েছে। সেই বাধে গত শুক্রবার রাতে প্রবল ¯্রােতের চাপে প্রায় দু’মিটার বাধ ভেঙ্গে যায়। এতে করে বাধের পাশের প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী মুহূর্তে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন ঠেকাতে সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট গাইবান্ধা পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালে তারা দ্রুত এসে বাধের ভাঙ্গন ঠেকানোর জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেন।
রাত যতই গভীর হয় ততই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, এলাকাবাসী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছে। ওই বাধের ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে যাওয়া বাবলু, জাহিদুল বলেন কোন কিছু বোঝার আগেই তীব্র ¯্রােতে ক্রসবাঁধটিতে ভাঙ্গন শুরু হলে মুর্হূতের মধ্যে আমাদের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় । এছাড়াও চান্দু, বাবু, জহুরুল, ছকিনা, পাশানসহ বাঁধের আসে পাশের প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায় । অপরদিকে বাঁধের দক্ষিণ অংশে বসবাস কারি রুবি,রুমি বাধে ভাঙ্গনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটান। তারা বলেন ভাঙ্গনের এ অবস্থা দেখে ছেলে মেয়েকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, এ ভাঙ্গন যদি ঠেকানো না যায় মুন্সিরহাটে স্থাপিত স্কুল, মাদ্রাসাসহ আসে পাশের অনেক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়াও সাঘাটা থানাসহ বাজার এলাকা হুমকির মুখে পড়বে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ক্রসবাঁধটির ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য ডাম্পিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার, ২৭ জুন ২০২২ , ১৩ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সাঘাটায় রাতের আধারে যমুনা নদীর ক্রস বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে রাতেই পানি উন্নয় বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধার সাঘাটার উপজেলার মুন্সিরহাটে মূল বাধের পূর্ব অংশে একটি ক্রসবাধ রয়েছে। সেই বাধে গত শুক্রবার রাতে প্রবল ¯্রােতের চাপে প্রায় দু’মিটার বাধ ভেঙ্গে যায়। এতে করে বাধের পাশের প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী মুহূর্তে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন ঠেকাতে সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট গাইবান্ধা পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালে তারা দ্রুত এসে বাধের ভাঙ্গন ঠেকানোর জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেন।
রাত যতই গভীর হয় ততই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, এলাকাবাসী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছে। ওই বাধের ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে যাওয়া বাবলু, জাহিদুল বলেন কোন কিছু বোঝার আগেই তীব্র ¯্রােতে ক্রসবাঁধটিতে ভাঙ্গন শুরু হলে মুর্হূতের মধ্যে আমাদের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় । এছাড়াও চান্দু, বাবু, জহুরুল, ছকিনা, পাশানসহ বাঁধের আসে পাশের প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায় । অপরদিকে বাঁধের দক্ষিণ অংশে বসবাস কারি রুবি,রুমি বাধে ভাঙ্গনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটান। তারা বলেন ভাঙ্গনের এ অবস্থা দেখে ছেলে মেয়েকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, এ ভাঙ্গন যদি ঠেকানো না যায় মুন্সিরহাটে স্থাপিত স্কুল, মাদ্রাসাসহ আসে পাশের অনেক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়াও সাঘাটা থানাসহ বাজার এলাকা হুমকির মুখে পড়বে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ক্রসবাঁধটির ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য ডাম্পিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।