লিফটে শুল্কহার না বাড়ানোর আহ্বান

করোনা সংকটে ব্যবসায়িক মন্দা, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি ও ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাণিজ্যিক আমদানি পর্যায়ে ৩১ শতাংশ কর আরোপ ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দেবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফট আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

তারা বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে মোট ৩১ শতাংশ করা হয়েছে। লিফটের ক্রয় আদেশ ও অগ্রিম নেয়ার পর ড্রইং ডিজাইন অনুযায়ী প্রতিটি লিফট নির্দিষ্ট বিল্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়। বর্তমানে কিছু জাহাজীকরণ অবস্থায় ও বন্দরে শুল্কায়ন পর্যায়ে শতাধিক লিফট অপেক্ষারত, যা আগের শুল্কহারে (১১ শতাংশ) বিক্রয় করা হয়েছে। এগুলোর জন্য বাড়তি হারে (৩১ শতাংশ) শুল্ক দিতে হলে ওইব প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ফলে বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং এই সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বেকার হয়ে পথে বসবে।’

হঠাৎ করে এই শুল্কহার বাড়ানোর ফলে এরই মধ্যে এই সেক্টর হুমকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘ছোট, মাঝারি ও বড় পরিসরে শতাধিক প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের ভাগ্য জড়িত। শুল্ক ও কর বৃদ্ধির ফলে সেটি এখন দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কার দোলাচালে দুলছে।’

তারা আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের ১১ শতাংশ শুল্ক হার বহাল রাখতে হবে। এছাড়া মানববাহন লিফটের আন্তর্জাতিক মানদ-ে বাংলাদেশে লিফট স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে। বেলিয়া সরকারের সঙ্গে একযোগে এই আমদানিনির্ভর সেক্টরের বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন, সেফটি ও স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে একযোগে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’

বেলিয়ার নেতা ও বিভিন্ন লিফট আমদানিকারক কোম্পানির মালিক ও কর্মচারীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ , ১৪ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

লিফটে শুল্কহার না বাড়ানোর আহ্বান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনা সংকটে ব্যবসায়িক মন্দা, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি ও ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাণিজ্যিক আমদানি পর্যায়ে ৩১ শতাংশ কর আরোপ ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দেবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফট আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

তারা বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে মোট ৩১ শতাংশ করা হয়েছে। লিফটের ক্রয় আদেশ ও অগ্রিম নেয়ার পর ড্রইং ডিজাইন অনুযায়ী প্রতিটি লিফট নির্দিষ্ট বিল্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়। বর্তমানে কিছু জাহাজীকরণ অবস্থায় ও বন্দরে শুল্কায়ন পর্যায়ে শতাধিক লিফট অপেক্ষারত, যা আগের শুল্কহারে (১১ শতাংশ) বিক্রয় করা হয়েছে। এগুলোর জন্য বাড়তি হারে (৩১ শতাংশ) শুল্ক দিতে হলে ওইব প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ফলে বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং এই সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বেকার হয়ে পথে বসবে।’

হঠাৎ করে এই শুল্কহার বাড়ানোর ফলে এরই মধ্যে এই সেক্টর হুমকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘ছোট, মাঝারি ও বড় পরিসরে শতাধিক প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের ভাগ্য জড়িত। শুল্ক ও কর বৃদ্ধির ফলে সেটি এখন দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কার দোলাচালে দুলছে।’

তারা আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের ১১ শতাংশ শুল্ক হার বহাল রাখতে হবে। এছাড়া মানববাহন লিফটের আন্তর্জাতিক মানদ-ে বাংলাদেশে লিফট স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে। বেলিয়া সরকারের সঙ্গে একযোগে এই আমদানিনির্ভর সেক্টরের বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন, সেফটি ও স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে একযোগে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’

বেলিয়ার নেতা ও বিভিন্ন লিফট আমদানিকারক কোম্পানির মালিক ও কর্মচারীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।