বন্যায় ৫ হাজারের বেশি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজারই প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাকিগুলো মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো ও আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য গতকাল নাগাদ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো পায়নি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, ১৮ জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এগুলোতে মাধ্যমিক স্তরের এক হাজার ৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১৭টিতে এখন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয় বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ৫৭০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করছি।’

মাউশির গতকালের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জে ৩৫টি, সিলেট সদরে ৩৪২টি, সুনামগঞ্জে ২৬৫টি, মৌলভীবাজারে ৪০টি, গাইবান্ধায় ২১টি, কুড়িগ্রামে ৯৯টি, লালমনিরহাটে ছয়টি, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় সাতটি, ময়মনসিংহ সদরে দুটি, টাঙ্গাইলে ৩৯টি, জামালপুরে ২৮টি, কিশোরগঞ্জে ৩২টি, শেরপুরে একটি, নেত্রকোনায় ১৩৬টি, বগুড়ায় আটটি, সিরাজগঞ্জে ২১টি, নরসিংহীতে একটি এবং মানিকগঞ্জে দুটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) উপপরিচালক গতকাল সংবাদকে জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রায় চার হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এক হাজার ৩৫১টি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনিতেই পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সিলেটসহ আশপাশের জেলায় ভয়াবহ বন্যারর কারণে এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ , ১৪ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

বন্যায় ৫ হাজারের বেশি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজারই প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাকিগুলো মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো ও আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য গতকাল নাগাদ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো পায়নি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, ১৮ জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এগুলোতে মাধ্যমিক স্তরের এক হাজার ৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১৭টিতে এখন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয় বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ৫৭০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করছি।’

মাউশির গতকালের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জে ৩৫টি, সিলেট সদরে ৩৪২টি, সুনামগঞ্জে ২৬৫টি, মৌলভীবাজারে ৪০টি, গাইবান্ধায় ২১টি, কুড়িগ্রামে ৯৯টি, লালমনিরহাটে ছয়টি, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় সাতটি, ময়মনসিংহ সদরে দুটি, টাঙ্গাইলে ৩৯টি, জামালপুরে ২৮টি, কিশোরগঞ্জে ৩২টি, শেরপুরে একটি, নেত্রকোনায় ১৩৬টি, বগুড়ায় আটটি, সিরাজগঞ্জে ২১টি, নরসিংহীতে একটি এবং মানিকগঞ্জে দুটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) উপপরিচালক গতকাল সংবাদকে জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রায় চার হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এক হাজার ৩৫১টি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনিতেই পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সিলেটসহ আশপাশের জেলায় ভয়াবহ বন্যারর কারণে এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।