সমস্যা আসবে, মোকাবিলা করেই চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৈশ্বিক মহামারী ও যুদ্ধ-বিগ্রহের প্রভাব সামলে উঠার প্রচেষ্টার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে প্রবল বন্যা। তবে এসব সমস্যা মোকাবিলা করেই দেশকে চলতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য অনুষ্ঠানে ৪৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার অনুদান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদান গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিলেট বিভাগে পর পর তিনবার বন্যা হলো। সেখানে যেমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে তেমনি ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটের ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি যখন নেমে আসছে তখন নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মহামারী করোনাভাইরাসের মতো একটা আঘাত সামলাতে না সামলাতেই আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রভাব শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী পড়েছে। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা। যাই হোক, সমস্যা আসবে। কিন্তু সেই সমস্যা মোকাবিলা করেই আমাদের চলতে হবে।’

দেশের যেকোন দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকে আপনারা বন্যাকবলিত মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। আর আপনারা যখন মানুষের পাশে দাঁড়ান, তখন আর আমাদের চিন্তা থাকে না। আমরা মনে করি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো এবং বিশ^ দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবো।’ এ ব্যাপারে সবাই সচেতন থাকবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন এবং এদেশে শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই আজকে নিজেরাই আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বা ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে পারছি।

আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, বাংলাদেশে একদিকে দারিদ্র্য বিমোচন করা, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশকে উন্নত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেন আমরা বিজয়ী জাতি মাথা উঁচু করে চলতে পারি, সম্মানের সঙ্গে চলতে পারি।’

দেশের জনগণই তার ‘সবচেয়ে বড় শক্তি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সাহস এবং সহযোগিতা এবং তারা পাশে থাকাতে আমরা আমাদের নিজস্ব টাকায় এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল অঞ্চল যেটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল সেখানে এখন শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে এবং এই অঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই তহবিল থেকে কেবল বন্যা দুর্গত জনগণই নয়, পীড়িত ও দুস্থ জনগণকেও এখান থেকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়। যেখানে তাদের সহযোগিতা কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুটি বছর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এখন মন্দা আর মন্দা। তারপরও আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একদিকে আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের শিল্প-কলকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য যথাযথভাবে যাতে চলতে পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যাতে কোনভাবেই আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা শ্লথ না হয়, ব্যহত না হয়।’ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সবধরনের সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বলে অবহিত করেন সরকারপ্রধান।

করোনার প্রাদুর্ভাব পুনরায় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি এলএনজি আমদানি করে শিল্প কলকারখানা চলমান রাখারও উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আমরা আরও গতিশীল করার জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এসব শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

৩০৪ কোটি ৪১ টাকা

অনুদান দিল যারা

সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, ইডকল, বিআইএফএফএল, এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ , ১৪ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

সমস্যা আসবে, মোকাবিলা করেই চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৈশ্বিক মহামারী ও যুদ্ধ-বিগ্রহের প্রভাব সামলে উঠার প্রচেষ্টার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে প্রবল বন্যা। তবে এসব সমস্যা মোকাবিলা করেই দেশকে চলতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য অনুষ্ঠানে ৪৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার অনুদান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদান গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিলেট বিভাগে পর পর তিনবার বন্যা হলো। সেখানে যেমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে তেমনি ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটের ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি যখন নেমে আসছে তখন নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মহামারী করোনাভাইরাসের মতো একটা আঘাত সামলাতে না সামলাতেই আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রভাব শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী পড়েছে। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা। যাই হোক, সমস্যা আসবে। কিন্তু সেই সমস্যা মোকাবিলা করেই আমাদের চলতে হবে।’

দেশের যেকোন দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকে আপনারা বন্যাকবলিত মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। আর আপনারা যখন মানুষের পাশে দাঁড়ান, তখন আর আমাদের চিন্তা থাকে না। আমরা মনে করি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো এবং বিশ^ দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবো।’ এ ব্যাপারে সবাই সচেতন থাকবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন এবং এদেশে শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই আজকে নিজেরাই আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বা ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে পারছি।

আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, বাংলাদেশে একদিকে দারিদ্র্য বিমোচন করা, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশকে উন্নত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেন আমরা বিজয়ী জাতি মাথা উঁচু করে চলতে পারি, সম্মানের সঙ্গে চলতে পারি।’

দেশের জনগণই তার ‘সবচেয়ে বড় শক্তি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সাহস এবং সহযোগিতা এবং তারা পাশে থাকাতে আমরা আমাদের নিজস্ব টাকায় এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল অঞ্চল যেটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল সেখানে এখন শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে এবং এই অঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই তহবিল থেকে কেবল বন্যা দুর্গত জনগণই নয়, পীড়িত ও দুস্থ জনগণকেও এখান থেকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়। যেখানে তাদের সহযোগিতা কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুটি বছর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এখন মন্দা আর মন্দা। তারপরও আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একদিকে আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের শিল্প-কলকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য যথাযথভাবে যাতে চলতে পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যাতে কোনভাবেই আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা শ্লথ না হয়, ব্যহত না হয়।’ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সবধরনের সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বলে অবহিত করেন সরকারপ্রধান।

করোনার প্রাদুর্ভাব পুনরায় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি এলএনজি আমদানি করে শিল্প কলকারখানা চলমান রাখারও উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আমরা আরও গতিশীল করার জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এসব শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

৩০৪ কোটি ৪১ টাকা

অনুদান দিল যারা

সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, ইডকল, বিআইএফএফএল, এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।