যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় সামরিক জোট গঠন করছে : উত্তর কোরিয়া

কিম জং উনের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় নেটোর মতো একটি সামরিক জোট গঠন করছে বলে অভযোগ উত্তর কোরিয়ার। দেশটিকে রুখতে প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র মোতায়েন করবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ুন সুক-ইয়লের মধ্যে হওয়া এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক চুক্তি এবং ৫ বছরের মধ্যে পিয়ংইয়ং প্রথমবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে যাচ্ছে এমন উদ্বেগের মধ্যে কিম প্রশাসনের এ সমালোচনা এলো।

“নির্লজ্জভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এশীয় ঘরানার নেটো প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিল,” নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে উত্তরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তাদের বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সাম্প্রতিক মহড়ার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নৌ মহড়াও করেছে, যেখানে ৪ বছরে প্রথমবার কোনো মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরীও ছিল।

চলতি বছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়া তাদের আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের এসব মহড়াকে পিয়ংইয়ংয়ের শাসনক্ষমতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে যুদ্ধপ্রস্তুতি হিসেবে দেখে আসছে।

“যুক্তরাষ্ট্রের ‘কূটনৈতিক যোগাযোগ’ ও ‘শর্তহীন আলোচনার’ কথাগুলো যে ভ-ামি এসব মহড়া তা প্রমাণ করছে, একইসঙ্গে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা যে যুক্তরাষ্ট্র এখনও ছাড়েনি তাও উন্মোচিত করছে,” বলেছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের এ বিবৃতিতে পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো উল্লেখ না থাকলেও তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈরি নীতিই তাদেরকে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার দিকে ধাবিত করেছে।

“বাস্তবতা আমাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকা-কে দমিয়ে রাখার জন্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জালানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়েছে,” বলেছে তারা।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ , ১৪ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় সামরিক জোট গঠন করছে : উত্তর কোরিয়া

কিম জং উনের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় নেটোর মতো একটি সামরিক জোট গঠন করছে বলে অভযোগ উত্তর কোরিয়ার। দেশটিকে রুখতে প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র মোতায়েন করবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ুন সুক-ইয়লের মধ্যে হওয়া এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক চুক্তি এবং ৫ বছরের মধ্যে পিয়ংইয়ং প্রথমবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে যাচ্ছে এমন উদ্বেগের মধ্যে কিম প্রশাসনের এ সমালোচনা এলো।

“নির্লজ্জভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এশীয় ঘরানার নেটো প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিল,” নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে উত্তরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তাদের বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সাম্প্রতিক মহড়ার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নৌ মহড়াও করেছে, যেখানে ৪ বছরে প্রথমবার কোনো মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরীও ছিল।

চলতি বছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়া তাদের আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের এসব মহড়াকে পিয়ংইয়ংয়ের শাসনক্ষমতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে যুদ্ধপ্রস্তুতি হিসেবে দেখে আসছে।

“যুক্তরাষ্ট্রের ‘কূটনৈতিক যোগাযোগ’ ও ‘শর্তহীন আলোচনার’ কথাগুলো যে ভ-ামি এসব মহড়া তা প্রমাণ করছে, একইসঙ্গে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা যে যুক্তরাষ্ট্র এখনও ছাড়েনি তাও উন্মোচিত করছে,” বলেছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের এ বিবৃতিতে পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো উল্লেখ না থাকলেও তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈরি নীতিই তাদেরকে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার দিকে ধাবিত করেছে।

“বাস্তবতা আমাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকা-কে দমিয়ে রাখার জন্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জালানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়েছে,” বলেছে তারা।