পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল প্রসঙ্গে

গত ২৫ জুন চালু হয়েছে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। চালুর পরপরই একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটা অযৌক্তিক, সেইসঙ্গে অমানবিক। যদি বাস বা অন্য কোনো গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে তবে কি সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে? নিশ্চয়ই সেটা করা হবে না বা করা ঠিক হবে না। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা বন্ধ করে দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা যায় না। কিন্তু কেনো যেনো মাথা ব্যথা হলে আমাদের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ মাথাটাই কেটে ফেলে দিতে চান। প্রকৃতপক্ষে মাথা না কেটে সহজ, সুন্দর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বাইক দুর্ঘটনার ঘটনায় পুলিশ বলছে, উচ্চগতির কারণে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। কাজেই কেউ যেনো সেতুতে উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন চালাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও সেতুতে ছবি তোলা, টিকটক করা, যানবাহন থেকে নেমে হাঁটাচলা করাসহ এ জাতীয় বিষয়গুলো বন্ধ করতে হবে।

এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন কোনো বিষয় নয়। প্রতিবছরই হাজার হাজার সড়ক দুর্ঘটনার ঘটছে। কিন্তু তখন তো কোনো যানবাহন চলাচল বন্ধের সিন্ধান্ত নেয়া হয়নি। মূলত বন্ধ করে দেওয়াটা কোনো যৌক্তিক বা কাজের কথা নয়। কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তারা কোনোভাবেই সেতু কিংবা ফেরি কোনো মাধ্যমেই নদী পার হতে পারছেন না। সেতু চালু হওয়ার পরপরই এমন একটি সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি।

মিলন হোসেন

শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ , ১৪ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল প্রসঙ্গে

গত ২৫ জুন চালু হয়েছে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। চালুর পরপরই একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটা অযৌক্তিক, সেইসঙ্গে অমানবিক। যদি বাস বা অন্য কোনো গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে তবে কি সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে? নিশ্চয়ই সেটা করা হবে না বা করা ঠিক হবে না। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা বন্ধ করে দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা যায় না। কিন্তু কেনো যেনো মাথা ব্যথা হলে আমাদের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ মাথাটাই কেটে ফেলে দিতে চান। প্রকৃতপক্ষে মাথা না কেটে সহজ, সুন্দর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বাইক দুর্ঘটনার ঘটনায় পুলিশ বলছে, উচ্চগতির কারণে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। কাজেই কেউ যেনো সেতুতে উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন চালাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও সেতুতে ছবি তোলা, টিকটক করা, যানবাহন থেকে নেমে হাঁটাচলা করাসহ এ জাতীয় বিষয়গুলো বন্ধ করতে হবে।

এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন কোনো বিষয় নয়। প্রতিবছরই হাজার হাজার সড়ক দুর্ঘটনার ঘটছে। কিন্তু তখন তো কোনো যানবাহন চলাচল বন্ধের সিন্ধান্ত নেয়া হয়নি। মূলত বন্ধ করে দেওয়াটা কোনো যৌক্তিক বা কাজের কথা নয়। কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তারা কোনোভাবেই সেতু কিংবা ফেরি কোনো মাধ্যমেই নদী পার হতে পারছেন না। সেতু চালু হওয়ার পরপরই এমন একটি সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি।

মিলন হোসেন

শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।