নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম না বাড়ালে বিড়ির অস্তিত্ব থাকবে না : বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন

বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম না বাড়ালে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব থাকবে না বলে জানিয়েছেন বৃহত্তর রংপুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং শুল্ককর বাড়ানোর জোর দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। গতকাল রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান বৃহত্তর রংপুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।

এসময় বাজেটে নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ‘বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর কোন প্রকার শুল্করোপ করা হয়নি। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটি বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের নীল নকশা। বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশই নি¤œ স্তরের। এসব নি¤œস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। তাই নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং শুল্ককর বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বক্তরা আরও বলেন, ‘বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ বিপরীতে সিগারেটে অগ্রিম আয়কর মাত্র ৩ শতাংশ । এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ।

বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মার বুকে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় মানববন্ধন থেকে বিড়ি শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

বুধবার, ২৯ জুন ২০২২ , ১৫ আষাড় ১৪২৮ ২৭ জিলকদ ১৪৪৩

নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম না বাড়ালে বিড়ির অস্তিত্ব থাকবে না : বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম না বাড়ালে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব থাকবে না বলে জানিয়েছেন বৃহত্তর রংপুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং শুল্ককর বাড়ানোর জোর দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। গতকাল রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান বৃহত্তর রংপুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।

এসময় বাজেটে নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ‘বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর কোন প্রকার শুল্করোপ করা হয়নি। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটি বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের নীল নকশা। বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশই নি¤œ স্তরের। এসব নি¤œস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। তাই নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং শুল্ককর বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বক্তরা আরও বলেন, ‘বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ বিপরীতে সিগারেটে অগ্রিম আয়কর মাত্র ৩ শতাংশ । এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ।

বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মার বুকে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় মানববন্ধন থেকে বিড়ি শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।