মোড়েলগঞ্জের ইউপিতে সরকারি বিধি উপেক্ষিত

অপরাধ-অনিয়মে আলোচিত বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নে সরকার নির্ধারিত জন্ম-নিবন্ধন ফি ৫০ টাকার স্থলে পরিষদ রেজুলেশন করে ১৩০ টাকা নির্ধারন করেছে। অভিযোগ উঠেছে আদায় করা হচ্ছে ২০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রকাশ্য এ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উপজেলার নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়নে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দেয়া অভিযোগের তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্য্যলয় সুত্র জানায়, উপজেলার নিশানবাড়ীয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর জনগনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, জন্মনিবন্ধনের জন্য আসা মানুষের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান, জন্ম নিবন্ধনের আদায় করা লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি ফি একাউন্টে জমা না করে নিজ হেফজতে রাখা, পরিষদের রেজুলেশন ছাড়া অর্থ ব্যায় ও আত্মসাত করা, মেম্বরদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক ব্যবহার করা, সপ্তাহের ৩/৪দিন অফিসে না আসার লিখিত অভিযোগ করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুসহ ইউপি মেম্বররা । ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বর মিলন বলেন, পরিষদের সচিব কে স্যার না বললে মেম্বরদের সম্মানীভাতা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরিষদের সবিচ দেবাশিষ মল্লিক বলেন, জন্ম নিবন্ধনের আদায় করা নগদ ৭০ হাজার টাকা চেয়ারম্যনের নিকট ছিল। সেটি আমি আদায় করে ব্যাংকে জমা দিয়েছি। আমি এখানে যোগদানের আগে জন্ম নিবন্ধন বাবদ ৫০০/১০০০ টাকা করে আদায় করা হতো। পরে রেজুলেশন করে জন্মনিবন্ধন ফি ১৩০ টাকা করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না। এ জন্য তার স্বাক্ষর ছাড়া প্যানেল চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে জন্ম সনদ বিতারন করা হয়েছে। মেম্বররা এলজিএসপির বরাদ্দের অর্থ বিনা কাজে নেয়ার চেষ্টা করায় বাধা দেয়ায় মেম্বররা আমার উপর অসন্তোষ।

এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন চেয়ারম্যান-মেম্বরদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো আলী হাসান সার্বিকভাবে তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশিষ মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সঠিক না। রেজুলেশন করে ১৩০ টাকা জন্মনিবন্ধন ফি নির্ধারণ করার ঘটনায় চেয়ারম্যান ও সচিব দুজনই দায়ী। তদন্ত প্রতিবেদন গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে দেয়া হয়েছে।

বুধবার, ২৯ জুন ২০২২ , ১৫ আষাড় ১৪২৮ ২৭ জিলকদ ১৪৪৩

মোড়েলগঞ্জের ইউপিতে সরকারি বিধি উপেক্ষিত

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

অপরাধ-অনিয়মে আলোচিত বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নে সরকার নির্ধারিত জন্ম-নিবন্ধন ফি ৫০ টাকার স্থলে পরিষদ রেজুলেশন করে ১৩০ টাকা নির্ধারন করেছে। অভিযোগ উঠেছে আদায় করা হচ্ছে ২০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রকাশ্য এ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উপজেলার নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়নে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দেয়া অভিযোগের তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্য্যলয় সুত্র জানায়, উপজেলার নিশানবাড়ীয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর জনগনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, জন্মনিবন্ধনের জন্য আসা মানুষের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান, জন্ম নিবন্ধনের আদায় করা লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি ফি একাউন্টে জমা না করে নিজ হেফজতে রাখা, পরিষদের রেজুলেশন ছাড়া অর্থ ব্যায় ও আত্মসাত করা, মেম্বরদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক ব্যবহার করা, সপ্তাহের ৩/৪দিন অফিসে না আসার লিখিত অভিযোগ করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুসহ ইউপি মেম্বররা । ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বর মিলন বলেন, পরিষদের সচিব কে স্যার না বললে মেম্বরদের সম্মানীভাতা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরিষদের সবিচ দেবাশিষ মল্লিক বলেন, জন্ম নিবন্ধনের আদায় করা নগদ ৭০ হাজার টাকা চেয়ারম্যনের নিকট ছিল। সেটি আমি আদায় করে ব্যাংকে জমা দিয়েছি। আমি এখানে যোগদানের আগে জন্ম নিবন্ধন বাবদ ৫০০/১০০০ টাকা করে আদায় করা হতো। পরে রেজুলেশন করে জন্মনিবন্ধন ফি ১৩০ টাকা করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না। এ জন্য তার স্বাক্ষর ছাড়া প্যানেল চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে জন্ম সনদ বিতারন করা হয়েছে। মেম্বররা এলজিএসপির বরাদ্দের অর্থ বিনা কাজে নেয়ার চেষ্টা করায় বাধা দেয়ায় মেম্বররা আমার উপর অসন্তোষ।

এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন চেয়ারম্যান-মেম্বরদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো আলী হাসান সার্বিকভাবে তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশিষ মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সঠিক না। রেজুলেশন করে ১৩০ টাকা জন্মনিবন্ধন ফি নির্ধারণ করার ঘটনায় চেয়ারম্যান ও সচিব দুজনই দায়ী। তদন্ত প্রতিবেদন গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে দেয়া হয়েছে।