যশোরের কেশবপুরে দিন দিন ভাসমান বেডে সবজি আবাদ জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষকের আগ্রহ বাড়ায় এর আবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলার মধ্যকুল ছাতিয়ান তলার হরিহর নদীতে এলাকার ১৪ টি প্রান্তিক পরিবার ভাসমান বেডে সবজি আবাদ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। গত রোববার বিকেলে ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিমা আক্তার। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ দত্ত, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, নজরুল ইসলাম খান, চাষী সুকুমার রায়, মাধুরী বিশ্বাস প্রমুখ। এর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারসহ অতিথিরা হরিহর নদীর ভাসমান বেডের সবজি চাষ পরিদর্শণ করেন। চাষী সুকুমার রায় জানান, ৪ বছর আগে হরিহর নদীর শেওলা পচিয়ে তার ওপর ১৩টি ভাসমান বেডে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সবজি আবাদ করে।
এ চাষ লাভবান হওয়ায় ওই গ্রামে বর্তমান ৩৩ টি ভাসমান বেডে সবজি আবাদ করা হয়। বেডে লালশাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গিমা কলমি, মরিচ, লাউ, ধুন্দল ও লতিরাজ কচুর আবাদ হয়েছে।
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২ , ১৫ আষাড় ১৪২৮ ২৭ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে দিন দিন ভাসমান বেডে সবজি আবাদ জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষকের আগ্রহ বাড়ায় এর আবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলার মধ্যকুল ছাতিয়ান তলার হরিহর নদীতে এলাকার ১৪ টি প্রান্তিক পরিবার ভাসমান বেডে সবজি আবাদ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। গত রোববার বিকেলে ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিমা আক্তার। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ দত্ত, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, নজরুল ইসলাম খান, চাষী সুকুমার রায়, মাধুরী বিশ্বাস প্রমুখ। এর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারসহ অতিথিরা হরিহর নদীর ভাসমান বেডের সবজি চাষ পরিদর্শণ করেন। চাষী সুকুমার রায় জানান, ৪ বছর আগে হরিহর নদীর শেওলা পচিয়ে তার ওপর ১৩টি ভাসমান বেডে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সবজি আবাদ করে।
এ চাষ লাভবান হওয়ায় ওই গ্রামে বর্তমান ৩৩ টি ভাসমান বেডে সবজি আবাদ করা হয়। বেডে লালশাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গিমা কলমি, মরিচ, লাউ, ধুন্দল ও লতিরাজ কচুর আবাদ হয়েছে।