দিনভর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার পর মধ্যরাতে আবার লোডশেডিং। এ যেন কাটা গায়ে নুনের ছিটা। মানুষ না পারে কইতে না পারে সইতে। অতিষ্ঠ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। অধিক গরম পড়লে দিনের বেশিরভাগ সময় এবং রাতের নিয়মমাফিক লোডশেডিংয়ের পর রাতে আড়াইটা বা তিনটার পর বিদ্যুৎ নিয়ে পরদিন সকাল ৮ টায় দেওয়া এক ধরণের হঠকারিতা বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের যাওয়া আসার ভেলকিবাজি নিত্যদিনের ঘটনা। গত রবিবার ভাবলা, হাড়িসাংগান, চন্দনপুর, দক্ষিণধুরু, আমলাব, উজিলাব, নারায়ণপুর, সদর, পোড়াদিয়া, গলগলিয়া, দাপুনিয়া, বিন্নাবাইদ ও পাটুলীতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচক মন্তব্য ও ক্ষোভের কথা জানা যায়।
বিন্নাবাইদের আশরাফুল জানান, সারাদিনের কর্মব্যস্ততাার পর ঘুমাতে যাই। ঘুম আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার পরের দিন সকালে আসে। এ যে কত অসহনীয় তা কাউকে বুঝানোর মতো নয়। নারায়নপুরের গৃহিণী তাছলিমা বলেন, বিদ্যুত নৈরাজ্যে চরম অশান্তিতে আছি। যখন প্রয়োজন নেই তখন বিদ্যুতের অভাব থাকেনা। রাত ২ টা আড়াইটায় বিদ্যুৎ যাওয়ার চেয়ে অদ্ভুত কিছু নেই। বেলাব উপজেলার জনপ্রিয় গ্রুপ ‘চলো গড়ি বেলাবো’ এর অন্যতম এডমিন তানভীর হোসেন বলেন, গত বছরেও আমরা এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মরজাল পল্লী বিদ্যুঃ অফিসে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো বেলাবতে একটি সাব স্টেশন দিবে। কিন্তু তা এখনো হয়ে উঠেনি। প্রতিদিন এভাবে ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে আমার বাড়ির বাচ্চা ও বৃদ্ধ মানুষগুলোর দূর্ভোগ চরম পর্যায়ে চলে গেছে। এর ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বর্তমান এই ডিজিটাল বাংলাদেশে এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কখনো কাম্য নয়। বেলাব যে অবহেলিত ও পিছিয়ে আছে তা বিদ্যুৎতের এই তালবাহানা দেখে আরো বেশি প্রতীয়মান হয়। এছাড়াও সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের ত্রি অদ্ভুত মধ্যরাতের চলে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন খামারীগণও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে পোড়াদিয়া সাবস্টেশনের কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন ও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায় শেষ রাতের দিকে লাইনে কাজ করা হয়। ৩০ জুন পর্যন্ত কাজ চলবে তাই একটু কষ্ট করতে হবে।
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২ , ১৫ আষাড় ১৪২৮ ২৭ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, বেলাবো (নরসিংদী)
দিনভর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার পর মধ্যরাতে আবার লোডশেডিং। এ যেন কাটা গায়ে নুনের ছিটা। মানুষ না পারে কইতে না পারে সইতে। অতিষ্ঠ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। অধিক গরম পড়লে দিনের বেশিরভাগ সময় এবং রাতের নিয়মমাফিক লোডশেডিংয়ের পর রাতে আড়াইটা বা তিনটার পর বিদ্যুৎ নিয়ে পরদিন সকাল ৮ টায় দেওয়া এক ধরণের হঠকারিতা বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের যাওয়া আসার ভেলকিবাজি নিত্যদিনের ঘটনা। গত রবিবার ভাবলা, হাড়িসাংগান, চন্দনপুর, দক্ষিণধুরু, আমলাব, উজিলাব, নারায়ণপুর, সদর, পোড়াদিয়া, গলগলিয়া, দাপুনিয়া, বিন্নাবাইদ ও পাটুলীতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচক মন্তব্য ও ক্ষোভের কথা জানা যায়।
বিন্নাবাইদের আশরাফুল জানান, সারাদিনের কর্মব্যস্ততাার পর ঘুমাতে যাই। ঘুম আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার পরের দিন সকালে আসে। এ যে কত অসহনীয় তা কাউকে বুঝানোর মতো নয়। নারায়নপুরের গৃহিণী তাছলিমা বলেন, বিদ্যুত নৈরাজ্যে চরম অশান্তিতে আছি। যখন প্রয়োজন নেই তখন বিদ্যুতের অভাব থাকেনা। রাত ২ টা আড়াইটায় বিদ্যুৎ যাওয়ার চেয়ে অদ্ভুত কিছু নেই। বেলাব উপজেলার জনপ্রিয় গ্রুপ ‘চলো গড়ি বেলাবো’ এর অন্যতম এডমিন তানভীর হোসেন বলেন, গত বছরেও আমরা এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মরজাল পল্লী বিদ্যুঃ অফিসে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো বেলাবতে একটি সাব স্টেশন দিবে। কিন্তু তা এখনো হয়ে উঠেনি। প্রতিদিন এভাবে ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে আমার বাড়ির বাচ্চা ও বৃদ্ধ মানুষগুলোর দূর্ভোগ চরম পর্যায়ে চলে গেছে। এর ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বর্তমান এই ডিজিটাল বাংলাদেশে এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কখনো কাম্য নয়। বেলাব যে অবহেলিত ও পিছিয়ে আছে তা বিদ্যুৎতের এই তালবাহানা দেখে আরো বেশি প্রতীয়মান হয়। এছাড়াও সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের ত্রি অদ্ভুত মধ্যরাতের চলে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন খামারীগণও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে পোড়াদিয়া সাবস্টেশনের কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন ও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায় শেষ রাতের দিকে লাইনে কাজ করা হয়। ৩০ জুন পর্যন্ত কাজ চলবে তাই একটু কষ্ট করতে হবে।