গীতি আলেখ্য উৎসবের পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতা

উচ্চাঙ্গ সংগীত নিয়ে বড় পরিসরে শুধু আমাদের দেশের শিল্পীদের নিয়ে বিশেষত নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে একেবারেই কোন বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকেনা। অনেকেই বলে থাকেন, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর করলে সেখানে শ্রোতা খোঁজে পাওয়া যায়না। এটা যে ভুল, তারই প্রমাণ মিলছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত ‘গীতি আলেখ্য উৎসব’ পরিবেশনায়। এ উৎসবে গত রবিবার ‘রাগলহরী’ পর্বে মিলনায়তন ভর্তি দর্শক শুধুমাত্র উচ্চাঙ্গ সংগীত মন দিয়ে শোনার জন্যই উপস্থিত হয়েছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানটি শাস্ত্রীয় নিয়মের প্রহর বিভাজনে আটটি প্রহরকেই উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সংগীত উপস্থাপন করেছেন তারা হলেন অনন্যা আচার্য্য, ভবসিন্ধু, শোভন মজুমদার, তাসাউফ তাজিম, রুদ্র দাস, বিটু শীল. মিতাজুল হাসান ইমন, সিতাব তাহমিদ, মাহমুদুল হাসান, শান্তনু, অনিন্দিতা সাহা, আফরোজা রূপা। এই আযোজনের মূল ভাবনা শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর। বিগত প্রায় চার মাসের পরিকল্পনা, গবেষনা, কন্ঠ বাছাই এবং প্রশিক্ষন, কম্পোজিশন সহ পুরো দায়িত্বটি যার উপরে ছিলো তিনি শেখ জসিম।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিল্পীদের মধ্যে অনন্যা আচার্য্য বলেন, ‘এতো গুছানো, এতো দর্শকের উপস্থিতি, সবার দারুণ গায়কী এবচং জসিম স্যারের একনিষ্ঠতা, শ্রম অনুষ্ঠানটিকে এতোটাই উপভোগ্য এবং অর্থবহ করে তুলেছে যে অনুষ্ঠানটি দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো। এমন আয়োজনে বারবার অংশ নিতে চাই।’ শেখ জসিম বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজন শাস্ত্রীয় ধারাকে এগিয়ে নিতে এক নতুন দিনের সুচনা করবে বলে আমাদের শতভাগ বিশ^াস।’ শিল্পীদের গায়কী প্রাণবন্ত করে তুলতে তবলায় ছিলেন পল্লব সান্যাল, সেতারে জ্যোতি ব্যানার্জী, সরোদে মোহাম্মদ পারভেজ রুবেল, এসরাজে আশিকুল ইসলাম ও বাঁশিতে- মৃত্যুঞ্জয় দাশ। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হয়।

বুধবার, ২৯ জুন ২০২২ , ১৫ আষাড় ১৪২৮ ২৭ জিলকদ ১৪৪৩

গীতি আলেখ্য উৎসবের পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতা

বিনোদন প্রতিবেদক

image

উচ্চাঙ্গ সংগীত নিয়ে বড় পরিসরে শুধু আমাদের দেশের শিল্পীদের নিয়ে বিশেষত নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে একেবারেই কোন বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকেনা। অনেকেই বলে থাকেন, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর করলে সেখানে শ্রোতা খোঁজে পাওয়া যায়না। এটা যে ভুল, তারই প্রমাণ মিলছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত ‘গীতি আলেখ্য উৎসব’ পরিবেশনায়। এ উৎসবে গত রবিবার ‘রাগলহরী’ পর্বে মিলনায়তন ভর্তি দর্শক শুধুমাত্র উচ্চাঙ্গ সংগীত মন দিয়ে শোনার জন্যই উপস্থিত হয়েছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানটি শাস্ত্রীয় নিয়মের প্রহর বিভাজনে আটটি প্রহরকেই উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সংগীত উপস্থাপন করেছেন তারা হলেন অনন্যা আচার্য্য, ভবসিন্ধু, শোভন মজুমদার, তাসাউফ তাজিম, রুদ্র দাস, বিটু শীল. মিতাজুল হাসান ইমন, সিতাব তাহমিদ, মাহমুদুল হাসান, শান্তনু, অনিন্দিতা সাহা, আফরোজা রূপা। এই আযোজনের মূল ভাবনা শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর। বিগত প্রায় চার মাসের পরিকল্পনা, গবেষনা, কন্ঠ বাছাই এবং প্রশিক্ষন, কম্পোজিশন সহ পুরো দায়িত্বটি যার উপরে ছিলো তিনি শেখ জসিম।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিল্পীদের মধ্যে অনন্যা আচার্য্য বলেন, ‘এতো গুছানো, এতো দর্শকের উপস্থিতি, সবার দারুণ গায়কী এবচং জসিম স্যারের একনিষ্ঠতা, শ্রম অনুষ্ঠানটিকে এতোটাই উপভোগ্য এবং অর্থবহ করে তুলেছে যে অনুষ্ঠানটি দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো। এমন আয়োজনে বারবার অংশ নিতে চাই।’ শেখ জসিম বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজন শাস্ত্রীয় ধারাকে এগিয়ে নিতে এক নতুন দিনের সুচনা করবে বলে আমাদের শতভাগ বিশ^াস।’ শিল্পীদের গায়কী প্রাণবন্ত করে তুলতে তবলায় ছিলেন পল্লব সান্যাল, সেতারে জ্যোতি ব্যানার্জী, সরোদে মোহাম্মদ পারভেজ রুবেল, এসরাজে আশিকুল ইসলাম ও বাঁশিতে- মৃত্যুঞ্জয় দাশ। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হয়।