করোনা : ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই, তবে বাড়ছে সংক্রমণ

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে কোভিড শনাক্ত বাড়ছেই। দেশে টানা তিন দিন দুই হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হারও ১৫ শতাংশের ওপরে। সর্বশেষ একদিনে সারাদেশে দুই হাজার ২৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিন ৪৬ জেলায় কম-বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। একদিনে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৮শ’র মানুষের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠানে বলেন, করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে তিনি চিন্তিত। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের উন্নয়ন চলমান আছে। হাসপাতালে তেমন রোগী নেই। রোগী এলে চিকিৎসা দেয়ার পূর্ণ ব্যবস্থা আছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ২৪১ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আগের দিন দুই হাজার ৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর আগে ২৭ জুন দুই হাজার ১০১ জনের কোভিড শনাক্ত এবং শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি; ওইদিন দুই হাজার ৫৮৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬০২ জন। এদিন কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৪৫ জন আছে।

সর্বশেষ একদিনে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ১৫২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ সাত হাজার ২১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক দিনে শনাক্ত রোগীর মধ্যে এক হাজার ৮১৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫৮ জন, গাজীপুরে ২০ জন, নারায়নগঞ্জে ৪৭ জন, নরসিংদীতে ২০, টাঙ্গাইলে ২৫ জন, কক্সবাজারে ২৭ জন ও কুমিল্লায় ২৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন দেশের ৪৬ জেলায় নতুন রোগী পাওয়া গেছে। বাকি ১৮ জেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের (ধরন) প্রাদুর্ভাবে ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এক পর্যায়ে দৈনিক শনাক্ত ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে কমতে থাকে রোগী শনাক্ত। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দৈনিক শনাক্ত হাজারের নিচে নেমে আসে। গত ৫ মে মাত্র চারজনের দেহে করোনা শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। শনাক্তের হারও এক শতাংশের কম ছিল। এরপর বেশ কিছুদিন কারো মৃত্যুর খবর দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২ , ১৬ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলকদ ১৪৪৩

করোনা : ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই, তবে বাড়ছে সংক্রমণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে কোভিড শনাক্ত বাড়ছেই। দেশে টানা তিন দিন দুই হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হারও ১৫ শতাংশের ওপরে। সর্বশেষ একদিনে সারাদেশে দুই হাজার ২৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিন ৪৬ জেলায় কম-বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। একদিনে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৮শ’র মানুষের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠানে বলেন, করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে তিনি চিন্তিত। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের উন্নয়ন চলমান আছে। হাসপাতালে তেমন রোগী নেই। রোগী এলে চিকিৎসা দেয়ার পূর্ণ ব্যবস্থা আছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ২৪১ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আগের দিন দুই হাজার ৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর আগে ২৭ জুন দুই হাজার ১০১ জনের কোভিড শনাক্ত এবং শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি; ওইদিন দুই হাজার ৫৮৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬০২ জন। এদিন কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৪৫ জন আছে।

সর্বশেষ একদিনে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ১৫২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ সাত হাজার ২১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক দিনে শনাক্ত রোগীর মধ্যে এক হাজার ৮১৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫৮ জন, গাজীপুরে ২০ জন, নারায়নগঞ্জে ৪৭ জন, নরসিংদীতে ২০, টাঙ্গাইলে ২৫ জন, কক্সবাজারে ২৭ জন ও কুমিল্লায় ২৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন দেশের ৪৬ জেলায় নতুন রোগী পাওয়া গেছে। বাকি ১৮ জেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের (ধরন) প্রাদুর্ভাবে ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এক পর্যায়ে দৈনিক শনাক্ত ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে কমতে থাকে রোগী শনাক্ত। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দৈনিক শনাক্ত হাজারের নিচে নেমে আসে। গত ৫ মে মাত্র চারজনের দেহে করোনা শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। শনাক্তের হারও এক শতাংশের কম ছিল। এরপর বেশ কিছুদিন কারো মৃত্যুর খবর দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।