বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর, আক্রান্ত রোগী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন

বর্ষার শুরুতে রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার উপদ্রব বাড়ছে। প্রতিদিন এ মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আবার অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে বাসা-বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে ৪০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গত ৬ মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৫৬ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯২৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে একজন। এখনও ভর্তি আছে ১২৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১২১ ও ঢাকার বাইরে ৭ জন ভর্তি আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির কারণে নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশা ডিম পাড়ে। প্রজননের মাধ্যমে মশা বৃদ্ধি পায়। এ মশা ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর ডেঙ্গুর অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এডিশ মশা প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। এখন ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বর, কার ডেঙ্গু আর কার করোনা তা প্রাথমিকভাবে বোঝা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই এখন টাকার অভাবে টেস্টও করে না। ফলে কার ডেঙ্গুজ্বর ও করোনা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। সবাই জ্বর নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি কেউ কেউ জেনে-শুনে অফিসও করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বছর ডেঙ্গুজ্বরের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২ , ১৬ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলকদ ১৪৪৩

বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর, আক্রান্ত রোগী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বর্ষার শুরুতে রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার উপদ্রব বাড়ছে। প্রতিদিন এ মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আবার অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে বাসা-বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে ৪০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গত ৬ মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৫৬ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯২৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে একজন। এখনও ভর্তি আছে ১২৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১২১ ও ঢাকার বাইরে ৭ জন ভর্তি আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির কারণে নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশা ডিম পাড়ে। প্রজননের মাধ্যমে মশা বৃদ্ধি পায়। এ মশা ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর ডেঙ্গুর অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এডিশ মশা প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। এখন ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বর, কার ডেঙ্গু আর কার করোনা তা প্রাথমিকভাবে বোঝা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই এখন টাকার অভাবে টেস্টও করে না। ফলে কার ডেঙ্গুজ্বর ও করোনা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। সবাই জ্বর নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি কেউ কেউ জেনে-শুনে অফিসও করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বছর ডেঙ্গুজ্বরের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।