পিরোজপুরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় যুব মহিলা লীগের দু‘জন নেত্রী ও ১ জনপ্রতিনিধি বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদেরকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন।
গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগম কৃকের গাড়ি এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ খবর পেয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় সার্কিট হাউজে নিয়ে যান।
পরে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগমসহ নেতারা স্থানীয় সার্কিট হাউজে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তাদের সামনে একে এম আউয়াল ও তার সমর্থকরা সাংবাদিক ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শিরিনা আফরোজ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়া রুনাকে লাঞ্ছিত করে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়াতনে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি লায়লা পারভিনের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। নাজিরপুর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ায় ফেরদাউস রুনা বক্তব্য দিলে লায়লা পারভিনের সমর্থকরা হৈ হট্রগোল শুরু করেন।
একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (লায়লা পারভিনের স্বামী) একেএমএ আউয়াল ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিনা রুনাকে মারার জন্য ছুটে আসেন। এ সময় কতিপয় নেতাকর্মী রুনাকে লাঞ্ছিত করে।
সভা চলাকালে সাবেক জেলা যুব মহিলা লীগের সম্পাদক সাংবাদিক শিরিনা আফরোজকেও এ সময় মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা এ ঘটনার প্রতিবাদে সভাস্থল থেকে বেড়িয়ে এসে সার্কিট হাউজে উদ্দেশে যেতে চাইলে আউয়াল সমর্থকরা কমিটি ঘোষণা করার জন্য নেতৃবৃন্দের গাড়ি বহর ঘিরে ফেলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ায় ফেরদাউস রুনা অভিযোগ করেন, আমি বক্তব্য দেয়া শুরু করলে সভার সভাপতি লায়লা পারভিনের সমার্থকরা হৈ হট্রগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (লায়লা পারভিনের স্বামী) একেএমএ আউয়াল আমাকে মারার জন্য ছুটে আসেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা আমাকে লাঞ্ছিত করে। সাংবাদিক শিরিনা আফরোজ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সম্মেলন স্থলে যাই। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সধারণ সম্পাদক হিসেবে মঞ্চে আসার জন্য ডাকেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল আমার গালের উপর থাপ্পর মারেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পিরোজপুর ছাড়া করার ঘোষণা কথা বলেন।
তবে একেএমএ আউয়াল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। একে আজাদ
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২ , ১৬ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, পিরোজপুর
পিরোজপুরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় যুব মহিলা লীগের দু‘জন নেত্রী ও ১ জনপ্রতিনিধি বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদেরকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন।
গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগম কৃকের গাড়ি এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ খবর পেয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় সার্কিট হাউজে নিয়ে যান।
পরে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগমসহ নেতারা স্থানীয় সার্কিট হাউজে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তাদের সামনে একে এম আউয়াল ও তার সমর্থকরা সাংবাদিক ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শিরিনা আফরোজ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়া রুনাকে লাঞ্ছিত করে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়াতনে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি লায়লা পারভিনের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। নাজিরপুর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ায় ফেরদাউস রুনা বক্তব্য দিলে লায়লা পারভিনের সমর্থকরা হৈ হট্রগোল শুরু করেন।
একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (লায়লা পারভিনের স্বামী) একেএমএ আউয়াল ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিনা রুনাকে মারার জন্য ছুটে আসেন। এ সময় কতিপয় নেতাকর্মী রুনাকে লাঞ্ছিত করে।
সভা চলাকালে সাবেক জেলা যুব মহিলা লীগের সম্পাদক সাংবাদিক শিরিনা আফরোজকেও এ সময় মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা এ ঘটনার প্রতিবাদে সভাস্থল থেকে বেড়িয়ে এসে সার্কিট হাউজে উদ্দেশে যেতে চাইলে আউয়াল সমর্থকরা কমিটি ঘোষণা করার জন্য নেতৃবৃন্দের গাড়ি বহর ঘিরে ফেলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ায় ফেরদাউস রুনা অভিযোগ করেন, আমি বক্তব্য দেয়া শুরু করলে সভার সভাপতি লায়লা পারভিনের সমার্থকরা হৈ হট্রগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (লায়লা পারভিনের স্বামী) একেএমএ আউয়াল আমাকে মারার জন্য ছুটে আসেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা আমাকে লাঞ্ছিত করে। সাংবাদিক শিরিনা আফরোজ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সম্মেলন স্থলে যাই। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সধারণ সম্পাদক হিসেবে মঞ্চে আসার জন্য ডাকেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল আমার গালের উপর থাপ্পর মারেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পিরোজপুর ছাড়া করার ঘোষণা কথা বলেন।
তবে একেএমএ আউয়াল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। একে আজাদ