যশোরের কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা চঞ্চল নামের এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ১১ জনকে আটক করেছে। গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মজিদপুর রিশিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই গ্রামের ২ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর কারণে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী যুবকেরা। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ধ্বংস হবে যুব সমাজ।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার মজিদপুর রিশিপাড়ার কার্তিক দাসের ছেলে কলেজ পড়–য়া চঞ্চল দাসকে (২২) গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কে বা কারা উপর্যুপরী কুপিয়ে মারাতœক জখম করে। সন্ত্রাসীরা তার গলায় ও পেটে কুপিয়ে নাড়িভুড়ি বের করে দেয়। মারাতœক জখম অবস্থায় তাকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে ডাক্তারের কলম নিয়ে চঞ্চল গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস, আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাসের নাম লিখে রেখে যায়। যা তার স্বজনরা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করলে ভাইরাল হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশের এএসপি মনিরামপুর সার্কেল আশেক সুজা মামুন, কেশবপুর থানার ওসির নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ও একদল ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সন্দিগ্ধভাবে মজিদপুর গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস, আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাস, রঞ্জন দাসের ছেলে ফরমান দাস, বিজন দাসের ছেলে বিকাশ দাস, যাদব দাসের ছেলে সবুজ দাস, নির্মল দাসের ছেলে বাবলা দাস, পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস ও বিকাশ দাসের স্ত্রী চামেলী দাসসহ ১১ জনকে আটক করে।
চঞ্চল দাসের বাবা কার্তিক দাস অভিযোগ করে বলেন, ৭/৮ মাস আগে আনন্দ দাস তার ছেলেসহ পাড়ার ৫/৬ জনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। এ বিরোধের জের ধরে আনন্দ দাস পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে মাঠে নিয়ে খুন করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বোরহান উদ্দীন জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্ধিগ্ধভাবে ১১ জনকে থানায় আনা হয়েছে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে গভীরভাবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২ , ১৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা চঞ্চল নামের এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ১১ জনকে আটক করেছে। গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মজিদপুর রিশিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই গ্রামের ২ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর কারণে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী যুবকেরা। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ধ্বংস হবে যুব সমাজ।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার মজিদপুর রিশিপাড়ার কার্তিক দাসের ছেলে কলেজ পড়–য়া চঞ্চল দাসকে (২২) গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কে বা কারা উপর্যুপরী কুপিয়ে মারাতœক জখম করে। সন্ত্রাসীরা তার গলায় ও পেটে কুপিয়ে নাড়িভুড়ি বের করে দেয়। মারাতœক জখম অবস্থায় তাকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে ডাক্তারের কলম নিয়ে চঞ্চল গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস, আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাসের নাম লিখে রেখে যায়। যা তার স্বজনরা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করলে ভাইরাল হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশের এএসপি মনিরামপুর সার্কেল আশেক সুজা মামুন, কেশবপুর থানার ওসির নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ও একদল ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সন্দিগ্ধভাবে মজিদপুর গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস, আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাস, রঞ্জন দাসের ছেলে ফরমান দাস, বিজন দাসের ছেলে বিকাশ দাস, যাদব দাসের ছেলে সবুজ দাস, নির্মল দাসের ছেলে বাবলা দাস, পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস ও বিকাশ দাসের স্ত্রী চামেলী দাসসহ ১১ জনকে আটক করে।
চঞ্চল দাসের বাবা কার্তিক দাস অভিযোগ করে বলেন, ৭/৮ মাস আগে আনন্দ দাস তার ছেলেসহ পাড়ার ৫/৬ জনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। এ বিরোধের জের ধরে আনন্দ দাস পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে মাঠে নিয়ে খুন করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বোরহান উদ্দীন জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্ধিগ্ধভাবে ১১ জনকে থানায় আনা হয়েছে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে গভীরভাবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।