ঢাবির ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি

উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। ১৯২১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’।

দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা, থিম সং পরিবেশন, শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা।

সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন এবং কেক কাটার মধ্যদিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।

সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গবেষণা ও উদ্ভাবনে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে সরকার, একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যালামনাইদের একযোগে কাজ করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সব দেশের অনেক খ্যাতিমান অধ্যাপক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা কর্মকা- পরিচালনা করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক জ্ঞান বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালুর জন্য উপাচার্য শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

মূল প্রবন্ধে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শিক্ষক-গবেষক এবং শিল্পখাতের যৌথ গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে উভয়পক্ষ তথা দেশ উপকৃত হবে। প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল তৈরি এবং শিল্প খাতে নানা উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইতোমধ্যে একটি শিল্প খাত-একাডেমিয়া সহযোগিতা প্লাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য বাস্তবতার মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট করণীয়সমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকার বাস্তবতাভিত্তিক যথাযথ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে পারে।

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২ , ১৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

ঢাবির ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

ঢাবির ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্যসহ অন্যরা -সংবাদ

উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। ১৯২১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’।

দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা, থিম সং পরিবেশন, শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা।

সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন এবং কেক কাটার মধ্যদিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।

সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গবেষণা ও উদ্ভাবনে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে সরকার, একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যালামনাইদের একযোগে কাজ করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সব দেশের অনেক খ্যাতিমান অধ্যাপক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা কর্মকা- পরিচালনা করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক জ্ঞান বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালুর জন্য উপাচার্য শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

মূল প্রবন্ধে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শিক্ষক-গবেষক এবং শিল্পখাতের যৌথ গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে উভয়পক্ষ তথা দেশ উপকৃত হবে। প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল তৈরি এবং শিল্প খাতে নানা উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইতোমধ্যে একটি শিল্প খাত-একাডেমিয়া সহযোগিতা প্লাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য বাস্তবতার মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট করণীয়সমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকার বাস্তবতাভিত্তিক যথাযথ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে পারে।