করোনা : একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত এক হাজার ৮৯৭

সারাদেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে গত একদিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৬ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত একদিনে মারা যাওয়াদের সবাই ঢাকা বিভাগের। তাদের তিনজন পুরুষ ও দু’জন নারী। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮৯৭ জন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৩৬৭ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। দেশের ৮ বিভাগের ৫২টি জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর আগের টানা চার দিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ছিল।

গত সোমবার দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ায়। সেদিন ২ হাজার ১০১ জন শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার ২ হাজার ৮৭ জন, বুধবার ২ হাজার ২৪১ জন এবং বৃহস্পতিবার ২ হাজার ১৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৫৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

এর আগে গত ৮ মার্চ এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১১ মার্চ তা নেমে এসেছিল ৫ জনে। মাঝের সময়টায় দৈনিক মৃত্যু এর নিচেই ছিল। টানা ২০ দিন করোনায় মৃত্যুহীনও ছিল বাংলাদেশ।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৭৫৭ জন।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশ’র নিচে নেমে যায়। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে।

গত একদিনে ১২ হাজার ৪০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৩৮৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর দশ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৭৫ লাখ।

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২ , ১৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

করোনা : একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত এক হাজার ৮৯৭

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সারাদেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে গত একদিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৬ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত একদিনে মারা যাওয়াদের সবাই ঢাকা বিভাগের। তাদের তিনজন পুরুষ ও দু’জন নারী। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮৯৭ জন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৩৬৭ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। দেশের ৮ বিভাগের ৫২টি জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর আগের টানা চার দিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ছিল।

গত সোমবার দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ায়। সেদিন ২ হাজার ১০১ জন শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার ২ হাজার ৮৭ জন, বুধবার ২ হাজার ২৪১ জন এবং বৃহস্পতিবার ২ হাজার ১৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৫৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

এর আগে গত ৮ মার্চ এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১১ মার্চ তা নেমে এসেছিল ৫ জনে। মাঝের সময়টায় দৈনিক মৃত্যু এর নিচেই ছিল। টানা ২০ দিন করোনায় মৃত্যুহীনও ছিল বাংলাদেশ।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৭৫৭ জন।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশ’র নিচে নেমে যায়। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে।

গত একদিনে ১২ হাজার ৪০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৩৮৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর দশ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৭৫ লাখ।