নির্মাণাধীন বাঁধ দখলের হিড়িক! ঘুমিয়ে পাউবো

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় নির্মাণাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মান ও বাঁেধর জমি দখলে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।

অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাঁেধের পরিবেশ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান । দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ গত ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা।

যদিও স্লুইসগেটসহ আরো কিছু কাজ করা এখনো বাকি রয়েছে। সম্প্রতি এক শ্রেণীর দখলদার প্রকৃতির মানুষ উপজেলার বলেশ্বর তীরে বেরিবাঁধের উপরে অবৈধভাবে দোকান ও বসতঘর নির্মাণ করছে। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরনখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার, রায়েন্দা ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকা, জিলবুনিয়া, রাজেশ্বর, রায়েন্দা তাফাল বাড়ী, চাল রায়েন্দা, উত্তর সাউথ খালী, দক্ষিণ সাউথ খালী, গাবতলা, বগী, শরণখোলা, সোনাতলা, পানিরঘাট, রসুলপুর, উত্তর রাজাপুর, পশ্চিম রাজাপুর, ধানসাগর, বান্ধার হাট, পল্লী মঙ্গলসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ফ্রিষ্টাইলে দোকান ঘর নির্মাণ করছে। কেউ কেউ বসত ঘরও বানাচ্ছে। অনেকে ঘর করে ভাড়া দিচ্ছে। বাঁেধর উপরে এভাবে ঘর বানানোয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাঁেধর উপর ঘর করায় নতুন তৈরী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

অপরদিকে, রায়েন্দা বাজারের উত্তর পাশে এক শ্রেণীর দোকানী বাধের জমিতে ঘেরা বেড়া দিয়ে জমি দখলে নিচ্ছে ফলে বাঁেধর পাশে লাগানো চারা গাছ বিনষ্ট হচ্ছে। দখলকারীদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুৃক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন অর্থের বিনিময়ে ঘর তোলার কাজে জড়িত রয়েছে।

তবে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেছেন, বাঁেধর উপর ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে রায়েন্দা ফেরীঘাট এলাকায় গিয়ে ঘরগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (সিইআইপি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, শরণখোলায় বেড়িবাঁধে ঘর নির্মাণের খবর তার জানা নেই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২ , ১৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

নির্মাণাধীন বাঁধ দখলের হিড়িক! ঘুমিয়ে পাউবো

জেলা বার্তা পরিবেশক, বাগেরহাট

image

বাগেরহাট : শরণখোলায় পাউবোর বেড়িবাঁধ এভাবেই দখল করে চলছে ঘর নির্মাণ -সংবাদ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় নির্মাণাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মান ও বাঁেধর জমি দখলে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।

অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাঁেধের পরিবেশ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান । দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ গত ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা।

যদিও স্লুইসগেটসহ আরো কিছু কাজ করা এখনো বাকি রয়েছে। সম্প্রতি এক শ্রেণীর দখলদার প্রকৃতির মানুষ উপজেলার বলেশ্বর তীরে বেরিবাঁধের উপরে অবৈধভাবে দোকান ও বসতঘর নির্মাণ করছে। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরনখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার, রায়েন্দা ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকা, জিলবুনিয়া, রাজেশ্বর, রায়েন্দা তাফাল বাড়ী, চাল রায়েন্দা, উত্তর সাউথ খালী, দক্ষিণ সাউথ খালী, গাবতলা, বগী, শরণখোলা, সোনাতলা, পানিরঘাট, রসুলপুর, উত্তর রাজাপুর, পশ্চিম রাজাপুর, ধানসাগর, বান্ধার হাট, পল্লী মঙ্গলসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ফ্রিষ্টাইলে দোকান ঘর নির্মাণ করছে। কেউ কেউ বসত ঘরও বানাচ্ছে। অনেকে ঘর করে ভাড়া দিচ্ছে। বাঁেধর উপরে এভাবে ঘর বানানোয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাঁেধর উপর ঘর করায় নতুন তৈরী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

অপরদিকে, রায়েন্দা বাজারের উত্তর পাশে এক শ্রেণীর দোকানী বাধের জমিতে ঘেরা বেড়া দিয়ে জমি দখলে নিচ্ছে ফলে বাঁেধর পাশে লাগানো চারা গাছ বিনষ্ট হচ্ছে। দখলকারীদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুৃক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন অর্থের বিনিময়ে ঘর তোলার কাজে জড়িত রয়েছে।

তবে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেছেন, বাঁেধর উপর ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে রায়েন্দা ফেরীঘাট এলাকায় গিয়ে ঘরগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (সিইআইপি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, শরণখোলায় বেড়িবাঁধে ঘর নির্মাণের খবর তার জানা নেই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।