বাসা থেকে বের হওয়ার পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৪ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলার আসামি হাউজিং ব্যবসায়ী আমিন মোহাম্মদ হিলালী। তার নিখোঁজ থাকার খবর জানিয়ে গত শুক্রবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। গতকাল পর্যন্ত তার নিখোঁজ থাকার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
নিখোঁজ আমিন হিলালীর ভাই ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী সাংবাদিকদের বলেন, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে অফিস যাওয়ার উদ্দেশে বের হন আমিন মোহাম্মদ হিলালী। তার অফিস উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে। বাসা থেকে বের হওয়ার পর গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা হয়। ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলার প্রায় ৯ মিনিট পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ডিবি ও দুদকে খোঁজ নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা গ্রেপ্তার করেনি বলে জানিয়েছে। তার কোন খোঁজ না পেয়ে গত শুক্রবার রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৫৮। তিনি বলেন, আমিন মোহাম্মদ হিলালী আবাসন ব্যবসা করতেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, নিখোঁজ আমিন হিলালীর ভাই এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। আসামিরা হলেনÑ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।’
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোর্শেদ আলম জানান, নিখোঁজ আমিন মোহাম্মদ হিলালী একটি দুর্নীতি মামলার আসামি বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এখন সেই মামলার কারণেই তিনি নিজ থেকে আত্মগোপন করেছেন কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীক কারণে তাকে কেউ অপহরণ করেছেন কিনা বা অন্য কোন ঝামেলা আছে কিনা সব তদন্ত করা হচ্ছে।
‘ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তার নিখোঁজ হওয়ার সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তিনি সর্বশেষ কোথায় ছিলেন, কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, রাতে কেনই বা অফিসে গিয়েছিলেন সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ বলেন ডিসি উত্তরা।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে কেউ অপহরণ করতে পারে বা তিনি অপহরণ হয়েছেন এখন পর্যন্ত এমন কোন তথ্য মেলেনি। অপহরণ হয়ে থাকলে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হতো বা কোন দাবি-দাওয়া থাকতো অপহরণকারীদের। জমি বা ব্যবসা নিয়ে কারো সঙ্গে ঝামেলা ছিল এমন তথ্যও মেলেনি। ঘুরে-ফিরে একটি তথ্য সামনে আসছে যে তিনি দুর্নীতির মামলার আসামি। আবার তার আসামি হওয়ার সুযোগ নিয়ে তাকে কেউ অপহরণ বা তুলে নিয়ে গিয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২ , ১৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বাসা থেকে বের হওয়ার পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৪ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলার আসামি হাউজিং ব্যবসায়ী আমিন মোহাম্মদ হিলালী। তার নিখোঁজ থাকার খবর জানিয়ে গত শুক্রবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। গতকাল পর্যন্ত তার নিখোঁজ থাকার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
নিখোঁজ আমিন হিলালীর ভাই ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী সাংবাদিকদের বলেন, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে অফিস যাওয়ার উদ্দেশে বের হন আমিন মোহাম্মদ হিলালী। তার অফিস উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে। বাসা থেকে বের হওয়ার পর গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা হয়। ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলার প্রায় ৯ মিনিট পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ডিবি ও দুদকে খোঁজ নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা গ্রেপ্তার করেনি বলে জানিয়েছে। তার কোন খোঁজ না পেয়ে গত শুক্রবার রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৫৮। তিনি বলেন, আমিন মোহাম্মদ হিলালী আবাসন ব্যবসা করতেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, নিখোঁজ আমিন হিলালীর ভাই এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। আসামিরা হলেনÑ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।’
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোর্শেদ আলম জানান, নিখোঁজ আমিন মোহাম্মদ হিলালী একটি দুর্নীতি মামলার আসামি বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এখন সেই মামলার কারণেই তিনি নিজ থেকে আত্মগোপন করেছেন কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীক কারণে তাকে কেউ অপহরণ করেছেন কিনা বা অন্য কোন ঝামেলা আছে কিনা সব তদন্ত করা হচ্ছে।
‘ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তার নিখোঁজ হওয়ার সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তিনি সর্বশেষ কোথায় ছিলেন, কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, রাতে কেনই বা অফিসে গিয়েছিলেন সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ বলেন ডিসি উত্তরা।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে কেউ অপহরণ করতে পারে বা তিনি অপহরণ হয়েছেন এখন পর্যন্ত এমন কোন তথ্য মেলেনি। অপহরণ হয়ে থাকলে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হতো বা কোন দাবি-দাওয়া থাকতো অপহরণকারীদের। জমি বা ব্যবসা নিয়ে কারো সঙ্গে ঝামেলা ছিল এমন তথ্যও মেলেনি। ঘুরে-ফিরে একটি তথ্য সামনে আসছে যে তিনি দুর্নীতির মামলার আসামি। আবার তার আসামি হওয়ার সুযোগ নিয়ে তাকে কেউ অপহরণ বা তুলে নিয়ে গিয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।