নানা সমস্যায় জর্জরিত বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নাটোরের বড়াইগ্রামে সাড়ে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি ২০২০ সালে নতুন ভবন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। নতুন ভবনে বৃহৎ পরিসরের একটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) আছে, কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের সরঞ্জাম নেই, ফলে এটি কোনো উপকারেই আসছে না রোগীদের। ইতোমধ্যে দাতা সংস্থা জাইকা থেকে একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও ফিল্ম কেনার অর্থ না থাকায় কাজে আসছে না সেটিও।

সম্প্রতি উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম। জানা গেছে, হাসপাতালটির ভবন ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এর প্রশাসনিক অনুমোদন হয়নি।

ফলে ৩১ শয্যার জনবল নিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। এতেও রয়েছে প্রকট জনবল সংকট। সেবার মান বাড়াতে ওটি কক্ষের প্রয়োজনীয় এক্স-রে ফিল্ম কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান, নিরবচ্ছিন্ন আলোর ব্যবস্থা, চিকিৎসক, সেবিকাদের আবাসন ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

ভূক্তভোগীরা জানান, চরমভাবে অবহেলিত হয়ে পড়েছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পয়ঃনিষ্কাসন ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এক কথায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক জনবল নেই। ফলে রক্ত, মলমূত্র পরীক্ষা করতে রোগীদের বিভিন্ন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। দীর্ঘ দিন থেকে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ডেন্টাল ও চক্ষু রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিন্তু নেই ডাক্তার।

ভুক্তভোগীরা জানান, হাসপাতালটির কলেবর বৃদ্ধি পেলেও সে মোতাবেক চিকিৎসকের জোগান নেই। তাছাড়াও, হাসপাতালটিতে ট্রমা সেন্টার এর ভবন নির্মান করা হলেও নেই চিকিৎসক। এছাড়া ইসিজি মেশিন থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান। এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল। এখনও কেনা হয়নি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। হাসপাতালটিতে নার্স ২০ জন থাকলেও ল্যাব-টেকনিশিয়ানের পদও শূন্য দীর্ঘদিন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম বলেন, নানা সমস্যার মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে কভিড-১৯ মোকাবিলায় কাজ করেছে হাসপাতালের চিকিৎসক সেবিকাসহ সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার, ০৪ জুলাই ২০২২ , ২০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

নানা সমস্যায় জর্জরিত বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)

নাটোরের বড়াইগ্রামে সাড়ে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি ২০২০ সালে নতুন ভবন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। নতুন ভবনে বৃহৎ পরিসরের একটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) আছে, কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের সরঞ্জাম নেই, ফলে এটি কোনো উপকারেই আসছে না রোগীদের। ইতোমধ্যে দাতা সংস্থা জাইকা থেকে একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও ফিল্ম কেনার অর্থ না থাকায় কাজে আসছে না সেটিও।

সম্প্রতি উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম। জানা গেছে, হাসপাতালটির ভবন ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এর প্রশাসনিক অনুমোদন হয়নি।

ফলে ৩১ শয্যার জনবল নিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। এতেও রয়েছে প্রকট জনবল সংকট। সেবার মান বাড়াতে ওটি কক্ষের প্রয়োজনীয় এক্স-রে ফিল্ম কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান, নিরবচ্ছিন্ন আলোর ব্যবস্থা, চিকিৎসক, সেবিকাদের আবাসন ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

ভূক্তভোগীরা জানান, চরমভাবে অবহেলিত হয়ে পড়েছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পয়ঃনিষ্কাসন ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এক কথায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক জনবল নেই। ফলে রক্ত, মলমূত্র পরীক্ষা করতে রোগীদের বিভিন্ন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। দীর্ঘ দিন থেকে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ডেন্টাল ও চক্ষু রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিন্তু নেই ডাক্তার।

ভুক্তভোগীরা জানান, হাসপাতালটির কলেবর বৃদ্ধি পেলেও সে মোতাবেক চিকিৎসকের জোগান নেই। তাছাড়াও, হাসপাতালটিতে ট্রমা সেন্টার এর ভবন নির্মান করা হলেও নেই চিকিৎসক। এছাড়া ইসিজি মেশিন থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান। এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল। এখনও কেনা হয়নি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। হাসপাতালটিতে নার্স ২০ জন থাকলেও ল্যাব-টেকনিশিয়ানের পদও শূন্য দীর্ঘদিন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম বলেন, নানা সমস্যার মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে কভিড-১৯ মোকাবিলায় কাজ করেছে হাসপাতালের চিকিৎসক সেবিকাসহ সংশ্লিষ্টরা।