তদন্ত প্রতিবেদন জমা, ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চারজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হলেন অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার দুই হোতা খুলনা বিএল কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি ও মোবাইল মেকার শাওন খান (৪০) এবং রিমন ও মনিরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান। এ মামলায় ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে সদর থানার ওসি শওকত কবিরকে গতকাল সকালে স্ট্যান্ড রিলিজ বা তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, ওসি শওকত কবিরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) অফিসে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। এ তদন্ত প্রতিবেদন কত পৃষ্ঠার বা ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে চাননি কমিটির সদস্যরা। অন্যদিকে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি তদন্ত হয়েছে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখে-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসে রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।

সোমবার, ০৪ জুলাই ২০২২ , ২০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত, ৪ জন রিমান্ডে

তদন্ত প্রতিবেদন জমা, ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ

প্রতিনিধি, নড়াইল

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চারজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হলেন অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার দুই হোতা খুলনা বিএল কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি ও মোবাইল মেকার শাওন খান (৪০) এবং রিমন ও মনিরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান। এ মামলায় ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে সদর থানার ওসি শওকত কবিরকে গতকাল সকালে স্ট্যান্ড রিলিজ বা তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, ওসি শওকত কবিরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) অফিসে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। এ তদন্ত প্রতিবেদন কত পৃষ্ঠার বা ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে চাননি কমিটির সদস্যরা। অন্যদিকে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি তদন্ত হয়েছে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখে-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসে রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।