মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন

জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের পারিবারিক কলহের মামলা বিচারের সুযোগ রেখে ‘পারিবারিক আদালত আইন-২০২২’ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এ আইনের ফলে বিবাহবিচ্ছেদসহ পারিবারিক কলহ এবং সন্তানদের নিয়ে ঝামেলা হলে জেলা পর্যায়ের সব বিচারকই এর বিচার করতে পারবেন। আগে শুধু জেলা জজ এ ধরনের মামলায় বিচার করতেন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আবার মামলার ক্ষেত্রে ফি যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটাকে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হতো। যদিও বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে, সেটাও অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আগের আইনটি সামরিক শাসনামলের। ১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারেজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিল। এর আগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হতো। হাইকোর্টের বিধি-বিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হলোÑ আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোন জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’

আরও খবর
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায় : প্রধানমন্ত্রী
যানজটের লাগাম টানতে সার্কুলার রোড করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রংপুরসহ ৮ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং, জনজীবন পুরোপুরি অচল
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আমিনুল ২৫ বছর পর গ্রেপ্তার
রাঙামাটিতে ৩ হত্যা ও শতাধিক পরিবার উচ্ছেদ, প্রতিবাদ পিসিজেএসএসের
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়ায় ড. ইকবাল কবীর জাহিদকে ফাঁসানোর অভিযোগ!
ঈদের আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলবে না
এসবির আপত্তি গোপন রেখে ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু
আড়াইহাজারে ছাত্র-শিক্ষক মিলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ
শিক্ষক হত্যা ও অধ্যক্ষকে হেনস্তা, নির্যাতনের প্রতিবাদ
‘জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি’
মাসে ১২০ কোটি টাকার ইয়াবা আনতো গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা শফিউল্লাহ

সোমবার, ০৪ জুলাই ২০২২ , ২০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের পারিবারিক কলহের মামলা বিচারের সুযোগ রেখে ‘পারিবারিক আদালত আইন-২০২২’ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এ আইনের ফলে বিবাহবিচ্ছেদসহ পারিবারিক কলহ এবং সন্তানদের নিয়ে ঝামেলা হলে জেলা পর্যায়ের সব বিচারকই এর বিচার করতে পারবেন। আগে শুধু জেলা জজ এ ধরনের মামলায় বিচার করতেন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আবার মামলার ক্ষেত্রে ফি যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটাকে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হতো। যদিও বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে, সেটাও অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আগের আইনটি সামরিক শাসনামলের। ১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারেজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিল। এর আগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হতো। হাইকোর্টের বিধি-বিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হলোÑ আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোন জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’