ফুলছড়িতে ভাঙন কবলিত মানুষের মানববন্ধন

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নদী ভাঙন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। গত রোববার ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের গুনভরি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বিপদাপন্ন শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ কয়েক শতাধিক মানুষ সমবেত হয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক মোসলেম উদ্দিন মাসুমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের দাবীর সাথে একত্বতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা, উড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল জলিল, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডা. মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য ও দক্ষিণ উড়িয়া, কাটাদ্বারার ঘাট, আমতলীর ঘাট, বানিয়াপাড়া ও রতনপুর এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ এলাকার ৮টি মসজিদ, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গুনভরি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কবরস্থান, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। তারা বলেন, আমাদের ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে এ বিশাল এলাকার জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। বক্তারা দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো দেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আপাতত স্থায়ী ব্যবস্থা না হলেও অস্থায়ীভাবে জিওব্যাগ ড্যাম্পিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ২১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

ফুলছড়িতে ভাঙন কবলিত মানুষের মানববন্ধন

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

image

গাইবান্ধা : ভাঙন কবলিত মানুষের মানববন্ধন -সংবাদ

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নদী ভাঙন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। গত রোববার ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের গুনভরি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বিপদাপন্ন শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ কয়েক শতাধিক মানুষ সমবেত হয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক মোসলেম উদ্দিন মাসুমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের দাবীর সাথে একত্বতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা, উড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল জলিল, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডা. মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য ও দক্ষিণ উড়িয়া, কাটাদ্বারার ঘাট, আমতলীর ঘাট, বানিয়াপাড়া ও রতনপুর এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ এলাকার ৮টি মসজিদ, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গুনভরি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কবরস্থান, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। তারা বলেন, আমাদের ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে এ বিশাল এলাকার জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। বক্তারা দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো দেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আপাতত স্থায়ী ব্যবস্থা না হলেও অস্থায়ীভাবে জিওব্যাগ ড্যাম্পিং এর ব্যবস্থা করা হবে।