পানিতে ডুবে ফেরি ঘাট চরম দুর্ভোগে যাত্রী-চালক

লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থাকায় যানবাহন চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। এতে ঘাটে থাকা ফেরি থেকে যানবাহন নামতে এবং ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহন ফেরিতে ওঠার জন্য করতে হয়েছে ভাটার অপেক্ষা। গত রোববার সন্ধায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এ সময় কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামে দুটি ফেরি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা থাকলেও ঘাটে জোয়ারের অতিরিক্ত পানি থাকায় যানবাহন ওঠা নামা করার জন্য গুনতে হয় অপেক্ষার প্রহর। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে জোয়ারের পানি কমে গেলে ফেরিতে আটকা পড়া গাড়ি ঘাটে নামতে সক্ষম হয়। এমন পরিস্থিতির কারণে মজুচৌধুরীর হাট থেকে ভোলা রুটে ফেরিতে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মৌসুমের এ সময়টাতে মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। কনকচাঁপা ফেরির এক কর্মী বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা ভোলা থেকে যানবাহন নিয়ে মজুচৌধুরীর ঘাটে এসেছেন। বড় গাড়িগুলো ফেরি থেকে নেমে যেতে পারলেও ঘাটে পানি জমে থাকায় ছোট গাড়িগুলো আটকা ছিল। এজন্য ভোলাগামী যানবাহনও ফেরিতে উঠতে পারেনি। ঘাট থেকে জোয়ারের পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কুসুমকলি ফেরিতে থাকা ট্রাকের এক চালক বলেন, ৬টার দিকে তারা ভোলা থেকে এসেছেন। তারও আগ থেকে কনকচাঁপা ফেরি ঘাটে নোঙর করা ছিল। জোয়ারের পানি থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এদিকে ফেরিতে থাকা লোকজনকে ডিঙি নৌকা দিয়ে ঘাট পারাপার হতে দেখা যায়। কয়েকজন নৌকার মাঝি বলেন, ফেরি থেকে ঘাট পর্যন্ত রেখে আসতে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা করে নিচ্ছেন। গত ৮-১০ দিন ধরে নিয়মিত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এটি আরও ১০-১২ দিন থাকতে পারে। এ সময়টাতে নদীতে জোয়ারের পানি বেশি থাকে। মাজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক কাজী জাহিদুল হক বলেন, এ সময়টাতে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটে পানি উঠে গেছে।

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ২১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

পানিতে ডুবে ফেরি ঘাট চরম দুর্ভোগে যাত্রী-চালক

জেলা বার্তা পরিবেশক, লক্ষ্মীপুর

image

লক্ষ্মীপুর : পানিতে ডুবে আছে মজু চৌধুরী ফেরি ঘাট -সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থাকায় যানবাহন চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। এতে ঘাটে থাকা ফেরি থেকে যানবাহন নামতে এবং ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহন ফেরিতে ওঠার জন্য করতে হয়েছে ভাটার অপেক্ষা। গত রোববার সন্ধায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এ সময় কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামে দুটি ফেরি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা থাকলেও ঘাটে জোয়ারের অতিরিক্ত পানি থাকায় যানবাহন ওঠা নামা করার জন্য গুনতে হয় অপেক্ষার প্রহর। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে জোয়ারের পানি কমে গেলে ফেরিতে আটকা পড়া গাড়ি ঘাটে নামতে সক্ষম হয়। এমন পরিস্থিতির কারণে মজুচৌধুরীর হাট থেকে ভোলা রুটে ফেরিতে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মৌসুমের এ সময়টাতে মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। কনকচাঁপা ফেরির এক কর্মী বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা ভোলা থেকে যানবাহন নিয়ে মজুচৌধুরীর ঘাটে এসেছেন। বড় গাড়িগুলো ফেরি থেকে নেমে যেতে পারলেও ঘাটে পানি জমে থাকায় ছোট গাড়িগুলো আটকা ছিল। এজন্য ভোলাগামী যানবাহনও ফেরিতে উঠতে পারেনি। ঘাট থেকে জোয়ারের পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কুসুমকলি ফেরিতে থাকা ট্রাকের এক চালক বলেন, ৬টার দিকে তারা ভোলা থেকে এসেছেন। তারও আগ থেকে কনকচাঁপা ফেরি ঘাটে নোঙর করা ছিল। জোয়ারের পানি থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এদিকে ফেরিতে থাকা লোকজনকে ডিঙি নৌকা দিয়ে ঘাট পারাপার হতে দেখা যায়। কয়েকজন নৌকার মাঝি বলেন, ফেরি থেকে ঘাট পর্যন্ত রেখে আসতে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা করে নিচ্ছেন। গত ৮-১০ দিন ধরে নিয়মিত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এটি আরও ১০-১২ দিন থাকতে পারে। এ সময়টাতে নদীতে জোয়ারের পানি বেশি থাকে। মাজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক কাজী জাহিদুল হক বলেন, এ সময়টাতে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটে পানি উঠে গেছে।