রাজধানীতে যানজট চরমে

পবিত্র ঈদুল আজহা দোরগোড়ায়। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন বলে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, শেষ সময়ের রাস্তার ধকল থেকে মুক্তি পেতে। এমনই একজন রবিউল ইসলাম। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীকে ঠাকুরগাঁ পাঠিয়ে দেয়ার জন্য কলেজ গেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থেকে। টিকেট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন বলে বাঁচোয়া জানিয়ে রবিউল বলেন, ‘টিকেট কেটে রাখলে টাকাটা মারা যেত। সময় মতো পৌঁছানো কোনভাবেই সম্ভব না। জ্যাম তো হয়ই কিন্তু আজকে যেন একটু বেশি জ্যাম।’

গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীতে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। তারপরও সকাল থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অনেকেই অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপড়া, কাজীপাড়া, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, বিজয়সরণী, ফার্মগেট, পান্থপথ, বাংলামোটর, তেজগাঁও, কাকরাইল, নিউমার্কেট, পল্টন মোড়, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।

গতকাল পুরো ঢাকা যেন পরিবহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। আর হঠাৎ বৃষ্টি এই যানজট পরিস্থিতিকে আরও তীব্রতর করে তুলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে এক স্থানেই দীর্ঘ সময় গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পান্থপথ থেকে নাজনিন সুলতানা সিএনজি নিয়ে পল্টনে আসেন প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টায় অথচ সাধারণভাবে পান্থপথ থেকে পল্টন আসতে তার আধঘণ্টা সময় লাগে।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে রাস্তায় যানজট বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে কতটা সময় লাগবে তা ধারণা

করা যাচ্ছে না। তার ওপর বৃষ্টি এলে তো কথাই নাই। গাড়ি-ঘোড়া পাওয়া যায় না, ভাড়া বেশি নেয়। একাধিক কাজ নিয়ে বের হয়েছি, একটা কাজ কোনমতে করতে পারবো। এমন পরিস্থিতি ঈদের আগ পর্যন্ত থাকবে বলে মনে হয়।’

যানজটের মূল কারণ হিসেবে কোরবানির পশু আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্য যানবাহন এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের চাপকে দায়ী করেছেন অনেকে।

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ২১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

রাজধানীতে যানজট চরমে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পবিত্র ঈদুল আজহা দোরগোড়ায়। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন বলে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, শেষ সময়ের রাস্তার ধকল থেকে মুক্তি পেতে। এমনই একজন রবিউল ইসলাম। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীকে ঠাকুরগাঁ পাঠিয়ে দেয়ার জন্য কলেজ গেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থেকে। টিকেট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন বলে বাঁচোয়া জানিয়ে রবিউল বলেন, ‘টিকেট কেটে রাখলে টাকাটা মারা যেত। সময় মতো পৌঁছানো কোনভাবেই সম্ভব না। জ্যাম তো হয়ই কিন্তু আজকে যেন একটু বেশি জ্যাম।’

গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীতে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। তারপরও সকাল থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অনেকেই অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপড়া, কাজীপাড়া, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, বিজয়সরণী, ফার্মগেট, পান্থপথ, বাংলামোটর, তেজগাঁও, কাকরাইল, নিউমার্কেট, পল্টন মোড়, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।

গতকাল পুরো ঢাকা যেন পরিবহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। আর হঠাৎ বৃষ্টি এই যানজট পরিস্থিতিকে আরও তীব্রতর করে তুলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে এক স্থানেই দীর্ঘ সময় গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পান্থপথ থেকে নাজনিন সুলতানা সিএনজি নিয়ে পল্টনে আসেন প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টায় অথচ সাধারণভাবে পান্থপথ থেকে পল্টন আসতে তার আধঘণ্টা সময় লাগে।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে রাস্তায় যানজট বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে কতটা সময় লাগবে তা ধারণা

করা যাচ্ছে না। তার ওপর বৃষ্টি এলে তো কথাই নাই। গাড়ি-ঘোড়া পাওয়া যায় না, ভাড়া বেশি নেয়। একাধিক কাজ নিয়ে বের হয়েছি, একটা কাজ কোনমতে করতে পারবো। এমন পরিস্থিতি ঈদের আগ পর্যন্ত থাকবে বলে মনে হয়।’

যানজটের মূল কারণ হিসেবে কোরবানির পশু আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্য যানবাহন এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের চাপকে দায়ী করেছেন অনেকে।