এবার মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ প্রত্যাহার

মোট গ্রেপ্তার ৫

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে এবার মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এসআই মুরসালিন মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট ঘটনার বাদীও। গত ২৭ জুন বাদী হয়ে ১৭০ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের মনিহার এলাকা থেকে এ মামলার আসামি নূরন্নবীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নূরন্নবী নড়াইল সদরের গোবরা এলাকার ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।

গত রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা চারজনের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রিমান্ড চলবে। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেনÑ অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি ও মোবাইল মেকার শাওন খান এবং রিমন ও মনিরুল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে ভারতের বির্তকিত রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লিখেন- ‘প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম।’ এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট

মোছেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ২১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

এবার মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ প্রত্যাহার

মোট গ্রেপ্তার ৫

প্রতিনিধি, নড়াইল

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে এবার মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এসআই মুরসালিন মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট ঘটনার বাদীও। গত ২৭ জুন বাদী হয়ে ১৭০ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের মনিহার এলাকা থেকে এ মামলার আসামি নূরন্নবীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নূরন্নবী নড়াইল সদরের গোবরা এলাকার ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।

গত রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা চারজনের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রিমান্ড চলবে। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেনÑ অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি ও মোবাইল মেকার শাওন খান এবং রিমন ও মনিরুল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে ভারতের বির্তকিত রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লিখেন- ‘প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম।’ এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট

মোছেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।