রুশ জাহাজ আটক করেছে তুরস্ক

মস্কো-কিয়েভের চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ আটক করেছে তুরস্ক। আটককৃত রুশ ওই জাহাজে খাদ্যশস্য বহন করা হচ্ছিল। তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের নাম ভ্যাসিল বোডনার। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজকে তুরস্কের শুল্ক কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। জাহাজটি বর্তমানে বন্দরের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছে, তুরস্কের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এটিকে আটক করেছে’।

রাশিয়ার পতাকবাহী এই জাহাজটির নাম ঝিবেক ঝোলি। ইউক্রেনীয় বন্দর বার্দিয়ানস্ক থেকে তুরস্কের কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে কারাসু পর্যন্ত রুটে এই জাহাজটিকে ট্র্যাক করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার পতাকবাহী কার্গো এই জাহাজটি কোথা থেকে এসেছে বা কীভাবে এটিকে আটক করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখ- থেকে রাশিয়া শস্য চুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য রাশিয়া এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

বার্দিয়ানস্ক বন্দরটি ইউক্রেনের দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আজভ সাগরের তীরে অবস্থিত। বার্দিয়ানস্ক থেকে রুশ এই জাহাজের প্রস্থানের খবর সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ টেলিগ্রামে ঘোষণা করেন ইয়েভেন বালিতস্কি। তাকে সম্প্রতি দখলকৃত জাপোরিঝজিয়া অঞ্চলের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করে রাশিয়া।

টেলিগ্রামে বালিতস্কি বলেন, ৭ হাজার টন শস্য ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, বন্দরটি থেকে সমুদ্রের মাইন পরিষ্কার করা হয়েছে এবং রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর ফ্লিট এই জাহাজগুলোর যাত্রার ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে’।

অবশ্য পরে তিনি জাহাজের পণ্য ও গন্তব্যের রেফারেন্স নিয়ে পোস্টটি এডিট করেন। এছাড়া ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে জাহাজের প্রস্থান সম্পর্কে একটি ভিডিও সংবাদ প্রতিবেদনও বেশ কয়েকটি ক্রেমলিনপন্থি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার করা হয়। সেখানে এই জাহাজটিকে একটি পোতাশ্রয়ে রাশিয়ার নৌবাহিনীর পৃথক একটি জাহাজের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রুশ বাহিনীর দখলে চলে যাওয়া অঞ্চলগুলো থেকে শস্য চুরি করছে বলে অনেক দিন থেকেই অভিযোগ করে আসছে কিইভ। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের এই শস্য চুরির এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দেশটির সমুদ্রবিষয়ক প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জানিয়ে রয়টার্সকে বলেন, জিবেক জোলি জাহাজে গত শুক্রবার প্রথম দক্ষিণ ইউক্রেনের অধিকৃত বারদিয়ানস্ক বন্দর থেকে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টন ইউক্রেইনীয় শস্য তোলা হয়।

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ২১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

রুশ জাহাজ আটক করেছে তুরস্ক

মস্কো-কিয়েভের চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ আটক করেছে তুরস্ক। আটককৃত রুশ ওই জাহাজে খাদ্যশস্য বহন করা হচ্ছিল। তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের নাম ভ্যাসিল বোডনার। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজকে তুরস্কের শুল্ক কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। জাহাজটি বর্তমানে বন্দরের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছে, তুরস্কের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এটিকে আটক করেছে’।

রাশিয়ার পতাকবাহী এই জাহাজটির নাম ঝিবেক ঝোলি। ইউক্রেনীয় বন্দর বার্দিয়ানস্ক থেকে তুরস্কের কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে কারাসু পর্যন্ত রুটে এই জাহাজটিকে ট্র্যাক করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার পতাকবাহী কার্গো এই জাহাজটি কোথা থেকে এসেছে বা কীভাবে এটিকে আটক করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখ- থেকে রাশিয়া শস্য চুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য রাশিয়া এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

বার্দিয়ানস্ক বন্দরটি ইউক্রেনের দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আজভ সাগরের তীরে অবস্থিত। বার্দিয়ানস্ক থেকে রুশ এই জাহাজের প্রস্থানের খবর সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ টেলিগ্রামে ঘোষণা করেন ইয়েভেন বালিতস্কি। তাকে সম্প্রতি দখলকৃত জাপোরিঝজিয়া অঞ্চলের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করে রাশিয়া।

টেলিগ্রামে বালিতস্কি বলেন, ৭ হাজার টন শস্য ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, বন্দরটি থেকে সমুদ্রের মাইন পরিষ্কার করা হয়েছে এবং রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর ফ্লিট এই জাহাজগুলোর যাত্রার ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে’।

অবশ্য পরে তিনি জাহাজের পণ্য ও গন্তব্যের রেফারেন্স নিয়ে পোস্টটি এডিট করেন। এছাড়া ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে জাহাজের প্রস্থান সম্পর্কে একটি ভিডিও সংবাদ প্রতিবেদনও বেশ কয়েকটি ক্রেমলিনপন্থি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার করা হয়। সেখানে এই জাহাজটিকে একটি পোতাশ্রয়ে রাশিয়ার নৌবাহিনীর পৃথক একটি জাহাজের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রুশ বাহিনীর দখলে চলে যাওয়া অঞ্চলগুলো থেকে শস্য চুরি করছে বলে অনেক দিন থেকেই অভিযোগ করে আসছে কিইভ। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের এই শস্য চুরির এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দেশটির সমুদ্রবিষয়ক প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জানিয়ে রয়টার্সকে বলেন, জিবেক জোলি জাহাজে গত শুক্রবার প্রথম দক্ষিণ ইউক্রেনের অধিকৃত বারদিয়ানস্ক বন্দর থেকে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টন ইউক্রেইনীয় শস্য তোলা হয়।