লিসিচানস্ক শহর পতনের কথা স্বীকার করল ইউক্রেন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিসিচানস্কের দখল নেয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল রাশিয়া। প্রথমে মস্কোর এই দাবিতে আপত্তি জানালেও পরে তা স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লিসিচানস্কের পতনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, লিসিচানস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভিডিও ভাষণে তিনি বলেছেন, নতুন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরটি আবার দখল করা হবে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘তীব্র লড়াইয়ের পর লিসিচানস্কে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী।’ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছিলেন, রুশ বাহিনী লিসিচানস্ক শহর দখল করেছে এবং লুহানস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। লিসিচানস্কে রুশ ও রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংখ্যা ইউক্রেনের সৈন্যদের চেয়ে বেশি। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে এই শহর থেকে তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

আরও বলা হয়েছে, আর্টিলারি, বিমান, সাধারণ সৈনিক এবং অন্য বাহিনী মিলে রাশিয়ানরা বহু সুবিধা নিয়ে ইউক্রেনীয়দের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার হাতে পূর্বাঞ্চলীয় লিসিচানস্ক শহরের পতনের কথা নিশ্চিত করে রোববার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে, দনবাস অঞ্চলের এই শহর থেকে কিয়েভের বাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যে এই শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ২১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

লিসিচানস্ক শহর পতনের কথা স্বীকার করল ইউক্রেন

image

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিসিচানস্কের দখল নেয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল রাশিয়া। প্রথমে মস্কোর এই দাবিতে আপত্তি জানালেও পরে তা স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লিসিচানস্কের পতনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, লিসিচানস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভিডিও ভাষণে তিনি বলেছেন, নতুন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরটি আবার দখল করা হবে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘তীব্র লড়াইয়ের পর লিসিচানস্কে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী।’ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছিলেন, রুশ বাহিনী লিসিচানস্ক শহর দখল করেছে এবং লুহানস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। লিসিচানস্কে রুশ ও রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংখ্যা ইউক্রেনের সৈন্যদের চেয়ে বেশি। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে এই শহর থেকে তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

আরও বলা হয়েছে, আর্টিলারি, বিমান, সাধারণ সৈনিক এবং অন্য বাহিনী মিলে রাশিয়ানরা বহু সুবিধা নিয়ে ইউক্রেনীয়দের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার হাতে পূর্বাঞ্চলীয় লিসিচানস্ক শহরের পতনের কথা নিশ্চিত করে রোববার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে, দনবাস অঞ্চলের এই শহর থেকে কিয়েভের বাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যে এই শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।