সংস্কারের অভাবে সাব-রেজিস্ট্রার ভবন মরণফাঁদ : প্রতিদিন দুর্ঘটনা

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের অফিস ভবনটি সংস্কারের অভাবে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে । ভবনের ছাদের ভিম ও পলেস্তরা খসে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধসে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনে দুর্ঘটনা।

সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও জমি রেজিষ্ট্রি সংশ্লিষ্টরা জ্বরাজীর্ণ ভবন নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন বলে তাদের দাবী। সম্প্রতি বৈদ্যুতিক পাখাসহ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় এ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবনটি নির্মান করা হয় । তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কোন বিভাগ থেকে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে তার ও সঠিক কোন তথ্য তাদের দপ্তরে নেই।

তবে খুব নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রি দিয়ে এ ভবনটি নির্মান করা হয়। ছাদের বিভিন্ন স্থানের ঢালাই ধ্বসে গেলে দেখা দেয় ঢালাইয়ে ১০ মিলি রডের পরিবর্তে ৮মিলি রড ব্যবহার করা হয়ে। কোন ধরনের ফাউন্ডেশন বিহীন ব্রিক ওয়ালে নির্মিত একতলা বিশিষ্ট এ ভবনটিতে ঢালাই ভীম অথবা কলাম নেই।

নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এ ভবনটি নির্মান করার ফলে দেয়ালে ফাটল ও ছাদ চুইয়ে পানি পড়া শুরু করে। প্রায় এক যুগ পূর্বে ভবনটি একবার সংস্কার করা হয়। এর পরে যথা সময়ে সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে ঢেকে মূল্যবান দলিল পত্র ও বালাম বই সংরক্ষণ করছে সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে এগুলো রক্ষাকরাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ঝড় বৃষ্টিতে মূল্যবান শ্যাতশ্যতে অবস্থায় বালাম বই সহ মূল্যবান দলিল-দস্তাবেজসহ মূল্যবান কাগজ পত্র রক্ষা করা খুবই কঠিন। এ অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নকল নবীশ ও দলিল লেখকগণসহ মোট ৩৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ভবনে প্রবেশ করে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

কর্মকর্তা কর্মচারীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন ভবনটি ধ্বসে যায়। তারা আর সুস্থ্য শরীরে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা? এ কারণে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা তারা ।

নকল নবীশ আঃ রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেই তাদের সবচেয়ে বেশী আতঙ্কে থাকেতে কখন ভবনটি ধ্বসে পড়ে। এক মাস পূর্বে বৈদ্যুতিক পাখাসহ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ছিলেন।

অফিস সহকারী সমিরন মিস্ত্রী, পেশকার মো. মহসিন জানান, কেহই জানেননা কবে এ সমস্যার সমাধান হবে।

দলিল লেখক মো. কাওছার হোসেন ও পল্টন মল্ডল জানান, এই ভবনে তাদের কাজ করতে গিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয়। ভবন ধসের আতঙ্কে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারাও । এ ভবনটি অনতি বিলম্বে পরিত্যক্ষ ঘোষনা করে অন্যত্র সরিয়ে না নিলে যে কোন সময় ভবন ধ্বসে পড়ে হতাহতসহ বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার মো. মাসুম জানান, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন । বিষয়টি বিষয় পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।

বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

সংস্কারের অভাবে সাব-রেজিস্ট্রার ভবন মরণফাঁদ : প্রতিদিন দুর্ঘটনা

প্রতিনিধি, ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর)

image

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) : সাব-রেজিস্ট্রার ভবনের ফাঁটল ধরা দেয়াল -সংবাদ

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের অফিস ভবনটি সংস্কারের অভাবে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে । ভবনের ছাদের ভিম ও পলেস্তরা খসে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধসে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনে দুর্ঘটনা।

সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও জমি রেজিষ্ট্রি সংশ্লিষ্টরা জ্বরাজীর্ণ ভবন নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন বলে তাদের দাবী। সম্প্রতি বৈদ্যুতিক পাখাসহ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় এ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবনটি নির্মান করা হয় । তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কোন বিভাগ থেকে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে তার ও সঠিক কোন তথ্য তাদের দপ্তরে নেই।

তবে খুব নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রি দিয়ে এ ভবনটি নির্মান করা হয়। ছাদের বিভিন্ন স্থানের ঢালাই ধ্বসে গেলে দেখা দেয় ঢালাইয়ে ১০ মিলি রডের পরিবর্তে ৮মিলি রড ব্যবহার করা হয়ে। কোন ধরনের ফাউন্ডেশন বিহীন ব্রিক ওয়ালে নির্মিত একতলা বিশিষ্ট এ ভবনটিতে ঢালাই ভীম অথবা কলাম নেই।

নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এ ভবনটি নির্মান করার ফলে দেয়ালে ফাটল ও ছাদ চুইয়ে পানি পড়া শুরু করে। প্রায় এক যুগ পূর্বে ভবনটি একবার সংস্কার করা হয়। এর পরে যথা সময়ে সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে ঢেকে মূল্যবান দলিল পত্র ও বালাম বই সংরক্ষণ করছে সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে এগুলো রক্ষাকরাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ঝড় বৃষ্টিতে মূল্যবান শ্যাতশ্যতে অবস্থায় বালাম বই সহ মূল্যবান দলিল-দস্তাবেজসহ মূল্যবান কাগজ পত্র রক্ষা করা খুবই কঠিন। এ অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নকল নবীশ ও দলিল লেখকগণসহ মোট ৩৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ভবনে প্রবেশ করে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

কর্মকর্তা কর্মচারীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন ভবনটি ধ্বসে যায়। তারা আর সুস্থ্য শরীরে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা? এ কারণে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা তারা ।

নকল নবীশ আঃ রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেই তাদের সবচেয়ে বেশী আতঙ্কে থাকেতে কখন ভবনটি ধ্বসে পড়ে। এক মাস পূর্বে বৈদ্যুতিক পাখাসহ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ছিলেন।

অফিস সহকারী সমিরন মিস্ত্রী, পেশকার মো. মহসিন জানান, কেহই জানেননা কবে এ সমস্যার সমাধান হবে।

দলিল লেখক মো. কাওছার হোসেন ও পল্টন মল্ডল জানান, এই ভবনে তাদের কাজ করতে গিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয়। ভবন ধসের আতঙ্কে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারাও । এ ভবনটি অনতি বিলম্বে পরিত্যক্ষ ঘোষনা করে অন্যত্র সরিয়ে না নিলে যে কোন সময় ভবন ধ্বসে পড়ে হতাহতসহ বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার মো. মাসুম জানান, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন । বিষয়টি বিষয় পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।