ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেলে রাইডশেয়ারিং বন্ধের সিদ্ধান্তকে পুঁজি করে ব্যক্তিগত বাইক নিয়ে চলাচলকারীদের যাত্রাপথে হয়রানি করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তাই মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধ করে। গণপরিবহন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠননের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাইডশেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক কোন সংখ্যা বা ডাটাবেইস বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল তা আলাদা করার কোন সুযোগ নেই।’
চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র চেকিং করার দৃশ্য প্রায়শই চোখে পড়ে। এ ধরনের চেকিং পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই উৎসমূলে যানজট তৈরি না হয় এমন নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেকিং করা, চেকিংয়ের নামে অহেতুক কোন বাইকার যাতে হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হয় সে ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকেট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্যদিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এমতাবস্থায় দেশের সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি। বিগত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনটির স্পিড লিমিট করে দেয়া, লাগেজ-ব্যগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেয়ার পাশাপাশি এই বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে চলাচলের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের স্পিড লিমিট নির্ধারণ করে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণের মধ্যদিয়ে ঈদের আগে মোটরসাইকেল চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেলে রাইডশেয়ারিং বন্ধের সিদ্ধান্তকে পুঁজি করে ব্যক্তিগত বাইক নিয়ে চলাচলকারীদের যাত্রাপথে হয়রানি করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তাই মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধ করে। গণপরিবহন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠননের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাইডশেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক কোন সংখ্যা বা ডাটাবেইস বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল তা আলাদা করার কোন সুযোগ নেই।’
চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র চেকিং করার দৃশ্য প্রায়শই চোখে পড়ে। এ ধরনের চেকিং পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই উৎসমূলে যানজট তৈরি না হয় এমন নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেকিং করা, চেকিংয়ের নামে অহেতুক কোন বাইকার যাতে হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হয় সে ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকেট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্যদিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এমতাবস্থায় দেশের সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি। বিগত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনটির স্পিড লিমিট করে দেয়া, লাগেজ-ব্যগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেয়ার পাশাপাশি এই বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে চলাচলের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের স্পিড লিমিট নির্ধারণ করে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণের মধ্যদিয়ে ঈদের আগে মোটরসাইকেল চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।