সাঁথিয়া পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত অফিস ‘টর্চার সেল’!

ব্যবহার করে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-অপহরণকারীরা

সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারীরা সাঁথিয়া পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসকে ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করে। অপহরণকারীরা ধরে এনে জিম্মি করে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করে এই অফিসে। অতি সম্প্রতি পুলিশ ওই অফিসে আটকে রাখা এক জিম্মিকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে ৫ জন অপহরণকারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। আরও কয়েকজন আসামি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। পুলিশ তাদের খুঁজছে।

অপহরণকারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরেই সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু থানায় ছুটে আসেন। সাঁথিয়া থানার ওসি অনুরোধ করেন তার জিম্মায় আসামিদের মুক্তি দেয়ার জন্য। কিন্তু পুলিশ তা দেয়নি। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারীরা যে মেয়র বাচ্চুর ক্যাডার তা পুলিশ নিশ্চিত হয়।

গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ সাঁথিয়া উপজেলার চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে অপহরণ করে গৌরীগ্রাম থেকে। তাকে অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে এসে আটকে রাখা হয় সাঁথিয়া ডাকবাংলোর সম্মুখস্থ (থানার গেট থেকে মাত্র ১০০ ফুট সামনে) সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত ‘ফেস টু ফেস’ নামের অফিসে। সেখানে হেলালের কাছে দাবি করা হয় ১৫ লাখ টাকা চাঁদা। হেলালের এক আত্মীয় সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশের নজরে আসে। সাঁথিয়া থানা পুলিশ মেয়রের ওই অফিস থেকে ৫ জন সন্ত্রাসীকে আটক করে এবং হেলালকে উদ্ধার করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাবনা আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলায় তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হাসিবুল খান ছানা (পিতা- জামাল উদ্দিন, কোনাবাড়িয়া, সাঁথিয়া (২০২০ সালে ২৯ আগস্ট হাসিবুল খান ছানা এক ঠিকাদারের করা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৫ মাস হাজত খাটে। তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়)। মেহেদী হাসান রুবেল (পিতা- জামাল সরদার রাজাকার, চক নন্দনপুর, সাঁথিয়া। সন্দ¦ীপ কুমার (পিতা নৃপেন্দ্রনাথ সাহা, কোনাবাড়িয়া। ইয়াছিন আলী (পিতা-আজগর আলী, গ্রাম চরভদ্রকোলা, সাঁথিয়া) এবং একই গ্রামের মিলন (পিতা-আবুল কালাম)। হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় বাংলাদেশ দ-বিধির ৩৪২, ৩৬৫, ৩৩৪ এবং ৩৮৫ ধারায় একটি অপহরণ চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসের মামলা দায়ের করেছে। সাঁথিয়া থানার ওসি অসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান চিহ্নিত এই সন্ত্রসীরা সাঁথিয়ার শান্তি বিনষ্টকারী। এরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জামাল রাজাকারের ছেলে মেহেদী হাসান রুবেল এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় একাধিকবার।

এছাড়া সংঘবদ্ধ এই চক্র উপজেলায় বিভিন্ন অফিসে কাজের উদ্দেশে আসা জনসাধারণকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে মারপিট করে। গত ২৪ এপ্রিল গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ সাঁথিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসলে তাকে রুবেল ও বিশুসহ ৬ জন সন্ত্রাসী মারপিট করে। মেয়র বাচ্চুর চাপে এই মামলাটি মীমাংসা করতে বাধ্য হয় বাদী ফরিদ।

মেয়রের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় ২৫ মে রাতে সন্ত্রাসী এই গ্রুপ প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। তিনি বাদী হয়ে ছানা, রুবেল, বিশু, মেহেদী, নয়নের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় জিডি করেন।

সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মিনারুল ইসলাম বিশু ও মিজানুর রহমান মিলন পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের শাকিলকে প্রকাশ্যে সাঁথিয়া বাজারে মারপিট করে। বিশু ও মিলন দুই ভাইয়ের পিতা সাঁথিয়া পৌরসভার পিয়ন সাঁথিয়া ফকিরপাড়ার ইসলাম। এ ব্যাপারে শাকিলের পিতা ওয়াজেদ আলী সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর চাপে তিনি মামলায় আর তদবির করতে সাহস পাননি।

উপজেলার যেখানেই কোন খুন কিংবা অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হোক না কেন, চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী গ্রুপ সেখানে হানা দেয় এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মোটা টাকা চাঁদা আদায় করে। গত দেড় বছরে উপজেলার আমোষ, নাড়িয়া গদাই, দয়ারামপুর, ঘুঘুদহ ও সোনাতলা গ্রামে কমপক্ষে এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব খুনের মামলার আসামিদের বাড়ি থেকে গরু ধরে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয় সন্ত্রাসী এই গ্রুপটি। এছাড়া নগদ টাকা, সোনা-দানা ও ফসল হাতিয়ে নেয়।

চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালেই তাদের নানাভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারপিট করা হয়। এরা সবাই মেয়রের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। মেয়রের ব্যক্তিগত অফিস ‘ফেস টু ফেস’ এ তাদের নিয়মিত আড্ডা।

অপহরণ মামলার বাদী চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিন তার মামলার এজাহারে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মহাবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত অফিস পেস টু ফেস-এর কথা উল্লেখ করার পর ওই অফিসের সাইনবোর্ডটি রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘরের দরজা বা সাটার ২৯ জুন থেকে বন্ধ আছে।

জনসাধারণ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় খুশি। তবে তারা এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারী চক্রের গডফাদরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

আরও খবর
করোনা : শনাক্ত বেড়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ‘বিএ.৫’ উপধরনে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বেশি
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়লো
হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
অনার্স পাস ছাত্রী হামিদা হলেন খামারি
বাসায় ফিরেছেন দুই ছাত্রী, মামলায় পলাতক সেই শিক্ষক
ট্রাক ড্রাইভার এক হাতে সিগারেট আর কানে মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিল
পিকের সঙ্গে প্রভাবশালীর যোগ : খুব শীঘ্রই চার্জশিট, বললেন কলকাতার আইনজীবী
স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার আসলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না : ফখরুল
যেভাবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করল সিলেট

বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

সাঁথিয়া পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত অফিস ‘টর্চার সেল’!

ব্যবহার করে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-অপহরণকারীরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারীরা সাঁথিয়া পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসকে ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করে। অপহরণকারীরা ধরে এনে জিম্মি করে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করে এই অফিসে। অতি সম্প্রতি পুলিশ ওই অফিসে আটকে রাখা এক জিম্মিকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে ৫ জন অপহরণকারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। আরও কয়েকজন আসামি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। পুলিশ তাদের খুঁজছে।

অপহরণকারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরেই সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু থানায় ছুটে আসেন। সাঁথিয়া থানার ওসি অনুরোধ করেন তার জিম্মায় আসামিদের মুক্তি দেয়ার জন্য। কিন্তু পুলিশ তা দেয়নি। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারীরা যে মেয়র বাচ্চুর ক্যাডার তা পুলিশ নিশ্চিত হয়।

গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ সাঁথিয়া উপজেলার চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে অপহরণ করে গৌরীগ্রাম থেকে। তাকে অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে এসে আটকে রাখা হয় সাঁথিয়া ডাকবাংলোর সম্মুখস্থ (থানার গেট থেকে মাত্র ১০০ ফুট সামনে) সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত ‘ফেস টু ফেস’ নামের অফিসে। সেখানে হেলালের কাছে দাবি করা হয় ১৫ লাখ টাকা চাঁদা। হেলালের এক আত্মীয় সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশের নজরে আসে। সাঁথিয়া থানা পুলিশ মেয়রের ওই অফিস থেকে ৫ জন সন্ত্রাসীকে আটক করে এবং হেলালকে উদ্ধার করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাবনা আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলায় তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হাসিবুল খান ছানা (পিতা- জামাল উদ্দিন, কোনাবাড়িয়া, সাঁথিয়া (২০২০ সালে ২৯ আগস্ট হাসিবুল খান ছানা এক ঠিকাদারের করা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৫ মাস হাজত খাটে। তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়)। মেহেদী হাসান রুবেল (পিতা- জামাল সরদার রাজাকার, চক নন্দনপুর, সাঁথিয়া। সন্দ¦ীপ কুমার (পিতা নৃপেন্দ্রনাথ সাহা, কোনাবাড়িয়া। ইয়াছিন আলী (পিতা-আজগর আলী, গ্রাম চরভদ্রকোলা, সাঁথিয়া) এবং একই গ্রামের মিলন (পিতা-আবুল কালাম)। হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় বাংলাদেশ দ-বিধির ৩৪২, ৩৬৫, ৩৩৪ এবং ৩৮৫ ধারায় একটি অপহরণ চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসের মামলা দায়ের করেছে। সাঁথিয়া থানার ওসি অসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান চিহ্নিত এই সন্ত্রসীরা সাঁথিয়ার শান্তি বিনষ্টকারী। এরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জামাল রাজাকারের ছেলে মেহেদী হাসান রুবেল এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় একাধিকবার।

এছাড়া সংঘবদ্ধ এই চক্র উপজেলায় বিভিন্ন অফিসে কাজের উদ্দেশে আসা জনসাধারণকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে মারপিট করে। গত ২৪ এপ্রিল গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ সাঁথিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসলে তাকে রুবেল ও বিশুসহ ৬ জন সন্ত্রাসী মারপিট করে। মেয়র বাচ্চুর চাপে এই মামলাটি মীমাংসা করতে বাধ্য হয় বাদী ফরিদ।

মেয়রের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় ২৫ মে রাতে সন্ত্রাসী এই গ্রুপ প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। তিনি বাদী হয়ে ছানা, রুবেল, বিশু, মেহেদী, নয়নের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় জিডি করেন।

সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মিনারুল ইসলাম বিশু ও মিজানুর রহমান মিলন পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের শাকিলকে প্রকাশ্যে সাঁথিয়া বাজারে মারপিট করে। বিশু ও মিলন দুই ভাইয়ের পিতা সাঁথিয়া পৌরসভার পিয়ন সাঁথিয়া ফকিরপাড়ার ইসলাম। এ ব্যাপারে শাকিলের পিতা ওয়াজেদ আলী সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর চাপে তিনি মামলায় আর তদবির করতে সাহস পাননি।

উপজেলার যেখানেই কোন খুন কিংবা অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হোক না কেন, চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী গ্রুপ সেখানে হানা দেয় এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মোটা টাকা চাঁদা আদায় করে। গত দেড় বছরে উপজেলার আমোষ, নাড়িয়া গদাই, দয়ারামপুর, ঘুঘুদহ ও সোনাতলা গ্রামে কমপক্ষে এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব খুনের মামলার আসামিদের বাড়ি থেকে গরু ধরে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয় সন্ত্রাসী এই গ্রুপটি। এছাড়া নগদ টাকা, সোনা-দানা ও ফসল হাতিয়ে নেয়।

চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালেই তাদের নানাভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারপিট করা হয়। এরা সবাই মেয়রের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। মেয়রের ব্যক্তিগত অফিস ‘ফেস টু ফেস’ এ তাদের নিয়মিত আড্ডা।

অপহরণ মামলার বাদী চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিন তার মামলার এজাহারে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মহাবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত অফিস পেস টু ফেস-এর কথা উল্লেখ করার পর ওই অফিসের সাইনবোর্ডটি রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘরের দরজা বা সাটার ২৯ জুন থেকে বন্ধ আছে।

জনসাধারণ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় খুশি। তবে তারা এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারী চক্রের গডফাদরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।