নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত দুই স্কুলছাত্রী বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তারা দু’জন। এদিকে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় মামলায় পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত সোমবার সকালে একজন এবং গতকাল বিকেলে অন্যজন স্বাস্থ্যগত ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
গতকাল বাসায় ফেরা ছাত্রীর মামা বলেন, গত সোমবার তার ভাগ্নির সহপাঠীর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে বাসায় চলে যায়। তবে তার তার ভাগ্নি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়াতে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল বিকেলে সুস্থবোধ করায় হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো।
জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন জানান, দুই ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করার ঘটনায় এক ছাত্রীর মায়ের দেয়া লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। তার অবস্থান নিশ্চিত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে গত ২ জুলাই উপজেলার বরপা হাজী নূর উদ্দিন আহাম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই আনন্দে ছাত্রীরা সবাই স্কুলের ভেতরে চুমকি মাখামাখি শুরু করে। এ সময় ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষক জসিমউদ্দিন। এরপর তাদের বাঁশের বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত হাজী নূর উদ্দিন আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন একটি গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ৩ ধারায় মামলাটি করা হয়েছিল। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই মামলায় জসিমউদ্দিন এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান।
বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত দুই স্কুলছাত্রী বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তারা দু’জন। এদিকে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় মামলায় পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত সোমবার সকালে একজন এবং গতকাল বিকেলে অন্যজন স্বাস্থ্যগত ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
গতকাল বাসায় ফেরা ছাত্রীর মামা বলেন, গত সোমবার তার ভাগ্নির সহপাঠীর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে বাসায় চলে যায়। তবে তার তার ভাগ্নি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়াতে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল বিকেলে সুস্থবোধ করায় হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো।
জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন জানান, দুই ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করার ঘটনায় এক ছাত্রীর মায়ের দেয়া লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। তার অবস্থান নিশ্চিত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে গত ২ জুলাই উপজেলার বরপা হাজী নূর উদ্দিন আহাম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই আনন্দে ছাত্রীরা সবাই স্কুলের ভেতরে চুমকি মাখামাখি শুরু করে। এ সময় ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষক জসিমউদ্দিন। এরপর তাদের বাঁশের বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত হাজী নূর উদ্দিন আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন একটি গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ৩ ধারায় মামলাটি করা হয়েছিল। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই মামলায় জসিমউদ্দিন এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান।