রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার সরেয়ারতল নামক স্থানে বালুবাহী ট্রাক অটো রিকশাকে চাপা দিলে নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও ৩ যাত্রী। তাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাকের ড্রাইভার একহাতে সিগারেট আর কানে মোবাইল লাগিয়ে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ সরেয়ারতল নামক স্থানে রংপুরের পীরগাছা থেকে আসা মালবাহী ট্রাক রংপুর থেকে পীরগাছাগামী অটো রিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ দুই অটো রিকশার যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় ৬ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে এবং গুরতর আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যায়। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ, এরা হলেন অটো রিকশা চালক রাজা মিয়া ও জান্নাতুল মাওয়া নামে ৫ বছরের শিশু। বাকি ৩ জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক আফছার আলী জানান, ট্রাকের ড্রাইভার হাতে সিগারেট ও কানে মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দ্রুতবেগে গাড়ি চালানো ও অন্যমনস্ক থাকায় ড্রাইভার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। তবে একটু সতর্ক হলেও অটো রিকশাটিকে রক্ষা করতে পারত।
এদিকে নিহত অটোচালক রাজা মিয়ার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, আমরা অটোচালক রাজা মিয়া ও ৫ বছরের শিশু জান্নাতুল মাওয়ার নাম নিশ্চিত হতে পেরেছি। বাকি তিনজনের পরিচয় জানার চলছে। তবে তাদের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওসি জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হলেও ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। তারা দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে আটক করার চেষ্টা চলছে।
বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার সরেয়ারতল নামক স্থানে বালুবাহী ট্রাক অটো রিকশাকে চাপা দিলে নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও ৩ যাত্রী। তাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাকের ড্রাইভার একহাতে সিগারেট আর কানে মোবাইল লাগিয়ে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ সরেয়ারতল নামক স্থানে রংপুরের পীরগাছা থেকে আসা মালবাহী ট্রাক রংপুর থেকে পীরগাছাগামী অটো রিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ দুই অটো রিকশার যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় ৬ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে এবং গুরতর আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যায়। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ, এরা হলেন অটো রিকশা চালক রাজা মিয়া ও জান্নাতুল মাওয়া নামে ৫ বছরের শিশু। বাকি ৩ জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক আফছার আলী জানান, ট্রাকের ড্রাইভার হাতে সিগারেট ও কানে মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দ্রুতবেগে গাড়ি চালানো ও অন্যমনস্ক থাকায় ড্রাইভার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। তবে একটু সতর্ক হলেও অটো রিকশাটিকে রক্ষা করতে পারত।
এদিকে নিহত অটোচালক রাজা মিয়ার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, আমরা অটোচালক রাজা মিয়া ও ৫ বছরের শিশু জান্নাতুল মাওয়ার নাম নিশ্চিত হতে পেরেছি। বাকি তিনজনের পরিচয় জানার চলছে। তবে তাদের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওসি জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হলেও ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। তারা দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে আটক করার চেষ্টা চলছে।