যেভাবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করল সিলেট

১৫ জুন ছিল সিলেটের একটি উপজেলা ও একটি পৌরসভার নির্বাচন। সারাদিন নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে রাতে সিলেট ফেরেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবর রহমান। এ সময় তিনি শরীরে প্রচ- জ্বর অনুভব করছিলেন। একসঙ্গে খেলেন দুটি নাপা ট্যাবলেট। কেননা ওইদিন ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তার মনে সন্দেহের দানা বাঁধে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে সজাগ করেন প্রতিটি উপজেলার ইউএনওদের। রাতেই ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার প্রস্তুতের নির্দেশের পাশাপাশি লোকবল প্রস্তুত রাখা হয়।

পরদিন ১৬ জুন জরুরি সভা ডাকা হয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির। খোলা হয় কন্ট্রোল রুম। এদিনই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলার পাশপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সিলেট মহানগরসহ ১৩টি উপজেলায় জিআর চাল, নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং কীট বরাদ্দ দিয়ে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। রাতে জেলা প্রশাসকের কাছে খবর আসতে থাকে বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দী হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। তিনি ইউএনওদের নৌকার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। পরিকল্পনা নেন পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়নের। এরপর তাৎক্ষণিক ফোন করে জেলার সার্বিক বিষয় অবগত করেন বিভাগীয় কমিশনারকে। এরপর থেকেই শুরু হয় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে বিভিন্নস্থান থেকে ফোন আসায় ভয়বাহ বন্যার বিষয়টি আঁচ করতে পারি। বিভাগীয় কমিশনারকে জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব মহোদয়দের ফোনে ও এসএমএস’র মাধ্যমে অবগত করি। এরপর তাদের নির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ৩০ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়।’ তিনি বলেন, এদিনই নগরীর কুমারগাঁও বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনে গিয়ে দেখি তা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সারাশহরে বিদ্যুৎ না থাকলে সবকিছু অচল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। ফলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তা সচলের ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেখানে পানি উঠা শুরু করেছে। সব খাদ্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

ফায়ার সার্ভিসকে ডেকে পাঠিয়ে পানি সেচে ইট বসিয়ে সেই গুদাম রক্ষা করা হয়। ১৭ জুন জেলা প্রশাসক বন্যার কারণে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অবগত। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সব শিক্ষাবোর্ডের প্রধানদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠকে শুধু সিলেটই নয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশের পরীক্ষা স্থগিত করেন। একইদিন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক কোম্পানিগঞ্জ ও পরদিন গোয়াইনঘাট এবং জৈন্তপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। ১৮ জুন বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সিলেটে ৪৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। যদিও পরে এই আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়। এতে দুর্গত মানুষের পাশাপাশি কয়েক হাজার গবাদি পশুও রাখা হয়। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মোতায়েন করা হয় ১৪০টি মেডিকেল টিম ও চারটি ওয়াটার প্লান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, শুরু থেকেই ত্রাণসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর পাশপাশি সরকারি সব প্রতিষ্ঠান পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করেছে। এরইমধ্যে ওসমানী হাসপাতালে পানি প্রবেশ করে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক। সেখানে সিটি করপোরেশনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ জেনারেটরটি নিয়ে আইসিইউ রোগীদের রক্ষা করা হয়। ১৯ জুন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের তালিকা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত এলাকা হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখেন।

২৫ জুন থেকে জেলা প্রশাসক প্রতিটি উপজেলা ঘুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এখনও চলছে বন্যা পরবর্তী সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম। এ পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ লাখ টাকা আসে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে। এছাড়া এক হাজার ৬১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের চিঠি পেয়ে গতকাল সকালে আরও এক কোটি টাকা ও ৫০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় সিলেটের বন্যার্তদের জন্য। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। এতে পাঁচ হাজার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, সরকার বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। চাহিদা মতো যখন যা চাওয়া হচ্ছে তাই বরাদ্দ দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কাউকে হতাশা না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকেই পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও খবর
করোনা : শনাক্ত বেড়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ‘বিএ.৫’ উপধরনে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বেশি
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়লো
হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
অনার্স পাস ছাত্রী হামিদা হলেন খামারি
সাঁথিয়া পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত অফিস ‘টর্চার সেল’!
বাসায় ফিরেছেন দুই ছাত্রী, মামলায় পলাতক সেই শিক্ষক
ট্রাক ড্রাইভার এক হাতে সিগারেট আর কানে মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিল
পিকের সঙ্গে প্রভাবশালীর যোগ : খুব শীঘ্রই চার্জশিট, বললেন কলকাতার আইনজীবী
স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার আসলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না : ফখরুল

বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

যেভাবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করল সিলেট

বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট

১৫ জুন ছিল সিলেটের একটি উপজেলা ও একটি পৌরসভার নির্বাচন। সারাদিন নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে রাতে সিলেট ফেরেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবর রহমান। এ সময় তিনি শরীরে প্রচ- জ্বর অনুভব করছিলেন। একসঙ্গে খেলেন দুটি নাপা ট্যাবলেট। কেননা ওইদিন ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তার মনে সন্দেহের দানা বাঁধে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে সজাগ করেন প্রতিটি উপজেলার ইউএনওদের। রাতেই ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার প্রস্তুতের নির্দেশের পাশাপাশি লোকবল প্রস্তুত রাখা হয়।

পরদিন ১৬ জুন জরুরি সভা ডাকা হয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির। খোলা হয় কন্ট্রোল রুম। এদিনই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলার পাশপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সিলেট মহানগরসহ ১৩টি উপজেলায় জিআর চাল, নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং কীট বরাদ্দ দিয়ে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। রাতে জেলা প্রশাসকের কাছে খবর আসতে থাকে বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দী হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। তিনি ইউএনওদের নৌকার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। পরিকল্পনা নেন পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়নের। এরপর তাৎক্ষণিক ফোন করে জেলার সার্বিক বিষয় অবগত করেন বিভাগীয় কমিশনারকে। এরপর থেকেই শুরু হয় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে বিভিন্নস্থান থেকে ফোন আসায় ভয়বাহ বন্যার বিষয়টি আঁচ করতে পারি। বিভাগীয় কমিশনারকে জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব মহোদয়দের ফোনে ও এসএমএস’র মাধ্যমে অবগত করি। এরপর তাদের নির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ৩০ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়।’ তিনি বলেন, এদিনই নগরীর কুমারগাঁও বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনে গিয়ে দেখি তা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সারাশহরে বিদ্যুৎ না থাকলে সবকিছু অচল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। ফলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তা সচলের ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেখানে পানি উঠা শুরু করেছে। সব খাদ্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

ফায়ার সার্ভিসকে ডেকে পাঠিয়ে পানি সেচে ইট বসিয়ে সেই গুদাম রক্ষা করা হয়। ১৭ জুন জেলা প্রশাসক বন্যার কারণে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অবগত। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সব শিক্ষাবোর্ডের প্রধানদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠকে শুধু সিলেটই নয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশের পরীক্ষা স্থগিত করেন। একইদিন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক কোম্পানিগঞ্জ ও পরদিন গোয়াইনঘাট এবং জৈন্তপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। ১৮ জুন বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সিলেটে ৪৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। যদিও পরে এই আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়। এতে দুর্গত মানুষের পাশাপাশি কয়েক হাজার গবাদি পশুও রাখা হয়। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মোতায়েন করা হয় ১৪০টি মেডিকেল টিম ও চারটি ওয়াটার প্লান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, শুরু থেকেই ত্রাণসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর পাশপাশি সরকারি সব প্রতিষ্ঠান পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করেছে। এরইমধ্যে ওসমানী হাসপাতালে পানি প্রবেশ করে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক। সেখানে সিটি করপোরেশনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ জেনারেটরটি নিয়ে আইসিইউ রোগীদের রক্ষা করা হয়। ১৯ জুন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের তালিকা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত এলাকা হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখেন।

২৫ জুন থেকে জেলা প্রশাসক প্রতিটি উপজেলা ঘুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এখনও চলছে বন্যা পরবর্তী সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম। এ পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ লাখ টাকা আসে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে। এছাড়া এক হাজার ৬১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের চিঠি পেয়ে গতকাল সকালে আরও এক কোটি টাকা ও ৫০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় সিলেটের বন্যার্তদের জন্য। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। এতে পাঁচ হাজার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, সরকার বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। চাহিদা মতো যখন যা চাওয়া হচ্ছে তাই বরাদ্দ দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কাউকে হতাশা না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকেই পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন।