পবিত্র ঈদুল আজহা ১০ জুলাই। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে বাস ও ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে। বাড়তি চাপ আর ঝুঁকি এড়াতে যারাই সুযোগ পাচ্ছেন, ছুটছেন বাড়ির পথে।
ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে সড়কে গণপরিবহন ও নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। তাছাড়া, টিকিট কালোবাজারি, নির্দিষ্ট সময়ে পরিবহন যাত্রা শুরু না করা ভোগান্তিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আবার অদক্ষ ড্রাইভার, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল দুর্ঘটনার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে দরকার সচেতনতা। এ ক্ষেত্রে গাড়ি চালাকদের নির্দিষ্ট গতিসীমায় গাড়ি চালাতে হবে, নিরাপত্তার জন্য সিট বেল্ট বাঁধতে হবে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য মনোযোগ হওয়া, লুকিংগ্লাস পর্যবেক্ষণ, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে হবে।
পাশাপাশি যাত্রী সাধারণকেও সচেতন হতে হবে। পথচারীদের উচিত রাস্তা চলাচলের জন্য ফুটপাত-ফুটওভার ব্যবহার করা এবং সময় বাঁচাতে গিয়ে লাফ দিয়ে পরিবহনে না উঠা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে গণপরিবহনের দরজায় ঝুলে বা ছাঁদে উঠে চলাচল করা থেকে বিরত থাকা। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কোন পরিবহনে না ওঠা। এর বাইরে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বর্তমানে করোনা আক্রান্তের হার বাড়তে শুরু করছে। তাই যাত্রাপথে যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে, মুখে মাস্ক পরিধান, সাবান ও সেনিটাইজার ব্যহার করতে হবে। একটু বাড়তি সচেতনতা বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ। সব দুর্ভোগ কাটিয়ে এবার সবার ঈদ যাত্রা হোক নিরাপদ।
উম্মে জান্নাত মিম
বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
পবিত্র ঈদুল আজহা ১০ জুলাই। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে বাস ও ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে। বাড়তি চাপ আর ঝুঁকি এড়াতে যারাই সুযোগ পাচ্ছেন, ছুটছেন বাড়ির পথে।
ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে সড়কে গণপরিবহন ও নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। তাছাড়া, টিকিট কালোবাজারি, নির্দিষ্ট সময়ে পরিবহন যাত্রা শুরু না করা ভোগান্তিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আবার অদক্ষ ড্রাইভার, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল দুর্ঘটনার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে দরকার সচেতনতা। এ ক্ষেত্রে গাড়ি চালাকদের নির্দিষ্ট গতিসীমায় গাড়ি চালাতে হবে, নিরাপত্তার জন্য সিট বেল্ট বাঁধতে হবে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য মনোযোগ হওয়া, লুকিংগ্লাস পর্যবেক্ষণ, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে হবে।
পাশাপাশি যাত্রী সাধারণকেও সচেতন হতে হবে। পথচারীদের উচিত রাস্তা চলাচলের জন্য ফুটপাত-ফুটওভার ব্যবহার করা এবং সময় বাঁচাতে গিয়ে লাফ দিয়ে পরিবহনে না উঠা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে গণপরিবহনের দরজায় ঝুলে বা ছাঁদে উঠে চলাচল করা থেকে বিরত থাকা। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কোন পরিবহনে না ওঠা। এর বাইরে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বর্তমানে করোনা আক্রান্তের হার বাড়তে শুরু করছে। তাই যাত্রাপথে যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে, মুখে মাস্ক পরিধান, সাবান ও সেনিটাইজার ব্যহার করতে হবে। একটু বাড়তি সচেতনতা বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ। সব দুর্ভোগ কাটিয়ে এবার সবার ঈদ যাত্রা হোক নিরাপদ।
উম্মে জান্নাত মিম