বিশ্বের ১১৫টি দেশের বসবাসযোগ্যতার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম। ভালোভাবে বাঁচার জন্য মানুষের যেমন খাদ্যবস্ত্রের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন একটি বাসযোগ্য পরিবেশ। কিন্তু সে নিশ্চয়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। রাজধানী ঢাকা আজ পরিবেশ দূষণে ভীষণভাবে আক্রান্ত। শুধু ঢাকা মহানগর নয়, পুরো দেশের পরিবেশ নিয়ে মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশর বিভিন্ন বিভাগ ও জেলাগুলোতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকার।
রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার চালু রয়েছে। প্রতিটি ফ্লাইওভারে বিভিন্ন মহলের জনপ্রতিনিধিদের ব্যানার-ফেস্টুন লিফলেট লাগানো হচ্ছে এবং বিভিন্ন ছোট বড়ো ব্যবসায়ী, কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোরও ব্যানার-ফেস্টুন লিফলেট দেখা যায়। এমন কি কিছু কিছু মিডিয়ারও ব্যানার চোখে পরে। ফলে দেশের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা এই প্রকল্পগুলোর পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যে ব্যনার-ফেস্টুন ও লিফলেট লাগাবে না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ব্যাপক প্রচার, প্রসার ও ব্যবহারই পারে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে।
পরিবেশ রক্ষায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও সরকারকে পরিবেশবান্ধব নির্মাণে আইনের প্রয়োগ ও তদারকে কঠোর হয়ে সব ধরনের জনসাধারণ থেকে শুরু করে পথচারী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, কোম্পানি ও শিল্প ইন্ডাস্ট্রিকে সমন্বিতভাবে সতর্কতা জানিয়ে পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য কাজ করার আহবান জানাতে হবে। একই সঙ্গে যে কোন প্রকল্প অনুমোদনের সময় পরিবেশের বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ ও যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যেমে একটি প্রকল্পের স্থাপনা টেকসই ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। উন্নত বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশবান্ধব নির্মাণপ্রযুক্তি ও উপকরণের বিকল্প নেই। দেশর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকারকে উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করছি।
রাসেল হোসাইন
বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
বিশ্বের ১১৫টি দেশের বসবাসযোগ্যতার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম। ভালোভাবে বাঁচার জন্য মানুষের যেমন খাদ্যবস্ত্রের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন একটি বাসযোগ্য পরিবেশ। কিন্তু সে নিশ্চয়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। রাজধানী ঢাকা আজ পরিবেশ দূষণে ভীষণভাবে আক্রান্ত। শুধু ঢাকা মহানগর নয়, পুরো দেশের পরিবেশ নিয়ে মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশর বিভিন্ন বিভাগ ও জেলাগুলোতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকার।
রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার চালু রয়েছে। প্রতিটি ফ্লাইওভারে বিভিন্ন মহলের জনপ্রতিনিধিদের ব্যানার-ফেস্টুন লিফলেট লাগানো হচ্ছে এবং বিভিন্ন ছোট বড়ো ব্যবসায়ী, কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোরও ব্যানার-ফেস্টুন লিফলেট দেখা যায়। এমন কি কিছু কিছু মিডিয়ারও ব্যানার চোখে পরে। ফলে দেশের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা এই প্রকল্পগুলোর পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যে ব্যনার-ফেস্টুন ও লিফলেট লাগাবে না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ব্যাপক প্রচার, প্রসার ও ব্যবহারই পারে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে।
পরিবেশ রক্ষায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও সরকারকে পরিবেশবান্ধব নির্মাণে আইনের প্রয়োগ ও তদারকে কঠোর হয়ে সব ধরনের জনসাধারণ থেকে শুরু করে পথচারী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, কোম্পানি ও শিল্প ইন্ডাস্ট্রিকে সমন্বিতভাবে সতর্কতা জানিয়ে পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য কাজ করার আহবান জানাতে হবে। একই সঙ্গে যে কোন প্রকল্প অনুমোদনের সময় পরিবেশের বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ ও যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যেমে একটি প্রকল্পের স্থাপনা টেকসই ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। উন্নত বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশবান্ধব নির্মাণপ্রযুক্তি ও উপকরণের বিকল্প নেই। দেশর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকারকে উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করছি।
রাসেল হোসাইন