শিক্ষকদের নিরাপত্তা কোথায়

একটি দেশের শিক্ষার মান নির্ভর করে সেই দেশের শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। গবেষণায় দেখা গেছে, মানসম্মত শিক্ষার ২০ শতাংশ নির্ভর করে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ওপর। বাকি ৮০ শতাংশই নির্ভর করে যোগ্য শিক্ষকের ওপর। বর্তমান সময়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ছাত্র- শিক্ষকের সেই সোনালী দিনগুলো তেমন আর দেখা যায় না। ছাত্ররা শিক্ষকদের দেখা মাত্রই চলন্ত বাই সাইকেলে থাকলেও নেমে যেতেন, শিক্ষককে সালাম দিতেন। মানুষ মনে করত নিশ্চয়ই এটা ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক হবে। কিন্তু কালের আবর্তনে হারিয়ে গেছে এমন সব চোখ জুড়ানো দৃশ্য। আজকের এই দিনে- এমন দৃশ্য খুব বেশি একটা দেখা যায় না।

বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীর কারণে, শিক্ষকরা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর এমন সব দায়িত্ব পালন করতে গেলে, হুমকি, পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। শিক্ষক হত্যার ঘটনাও দেশে ঘটেছে। এমন জঘন্য আচরণ যদি একজন শিক্ষককে প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে মেধাবীরা এ শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইবে না। আর এটার চাক্ষুষ প্রমাণও আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যারা শিক্ষকদের সঙ্গে অন্যায় করবে, তাদের এমন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করতে কেউ সাহস না পায়। আর কোন প্রকার ক্ষমতা, টাকার জোর, দলীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেন কেউ অপরাধ করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দিতে হবে।

আব্দুল করিম গাজী

বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২ , ২২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

শিক্ষকদের নিরাপত্তা কোথায়

একটি দেশের শিক্ষার মান নির্ভর করে সেই দেশের শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। গবেষণায় দেখা গেছে, মানসম্মত শিক্ষার ২০ শতাংশ নির্ভর করে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ওপর। বাকি ৮০ শতাংশই নির্ভর করে যোগ্য শিক্ষকের ওপর। বর্তমান সময়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ছাত্র- শিক্ষকের সেই সোনালী দিনগুলো তেমন আর দেখা যায় না। ছাত্ররা শিক্ষকদের দেখা মাত্রই চলন্ত বাই সাইকেলে থাকলেও নেমে যেতেন, শিক্ষককে সালাম দিতেন। মানুষ মনে করত নিশ্চয়ই এটা ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক হবে। কিন্তু কালের আবর্তনে হারিয়ে গেছে এমন সব চোখ জুড়ানো দৃশ্য। আজকের এই দিনে- এমন দৃশ্য খুব বেশি একটা দেখা যায় না।

বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীর কারণে, শিক্ষকরা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর এমন সব দায়িত্ব পালন করতে গেলে, হুমকি, পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। শিক্ষক হত্যার ঘটনাও দেশে ঘটেছে। এমন জঘন্য আচরণ যদি একজন শিক্ষককে প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে মেধাবীরা এ শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইবে না। আর এটার চাক্ষুষ প্রমাণও আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যারা শিক্ষকদের সঙ্গে অন্যায় করবে, তাদের এমন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করতে কেউ সাহস না পায়। আর কোন প্রকার ক্ষমতা, টাকার জোর, দলীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেন কেউ অপরাধ করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দিতে হবে।

আব্দুল করিম গাজী