ডিলারের কাছে জমা টিসিবির বহু কার্ডের হদিস নেই!

পণ্য বঞ্চিত বন্যার্ত কার্ডধারীরা

বন্যা কবলিত নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ভর্তুকি মুল্যের পণ্য পাননি অনেক কার্ডধারী। তাদের পণ্য নিয়ে গেছে অন্যে, পরে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান, কার্ডধারী হয়েও ভর্তুকি মূল্যের পন্য নিতে পারেননি। সদর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আব্দুল গনি চিলাহালা গ্রামের মুখলেছ, নয়াপাড়া মুক্তিচর, চত্রংপুর, মন্তলা,ঘোষপাড়া, চাঁনপর গ্রামের অনেক ভুক্তভোগীরা বলেন, গত রমজানে টিসিবির পণ্য নেওয়ার সময় আমাদের কার্ডগুলো জমা নিয়েছিল, পরে সেগুলো আর ফেরত দেয়নি। ইউপি সদস্যরা বলেছেন কার্ড হারিয়ে গেছে। এই বন্যার সময়ে আমরা পন্যগুলো পেলে উপকৃত হতাম। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত বৃহঃপতিবার সদর ইউনিয়নে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি ডাল ও ১ কেজি চিনি ৪১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বারা বলেন, এবার বন্যার কারণে সবাই পণ্য নিতে চাইছেন, কার্ডগুলো ডিলারের কাছে ছিল, হয়তো সেখানেই এমন এলোমেলো হয়েছে, এই কারণেই অনেকেই পণ্য নিতে পারেননি। তবে টিসিবির পণ্যের ডিলার সাইদুর মিয়া জানান, আমি সকল কার্ডের পণ্য বিতরণ করেছি, মেম্বাররা হয়তো ভুক্তভোগীদের কাছে ঠিকমতো কার্ডগুলো পৌছায়নি, আমি ট্যাক অফিসারের সামনে কার্ড দেখেই পণ্য দিয়েছি, এবং কার্ডগুলো অফিসে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বিশ্বাস জানান, ডিলার কার্ডগুলো নিজের কাছে রেখে দেওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে, একজনের কার্ড অন্য জনে গিয়ে গেছে, পরেরবার মাস্টার রুল তৈরি করে পণ্য দেওয়ার জন্য মেম্বারদের বলে দিয়েছি।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম কে অবগত করিলে তিনি বলেন, কার্ডগুলো ইউনিয়ন পরিষদেই থাকার কথা, মেম্বারা এগুলো পণ্য দেওয়ার আগেই উপকার ভোগীদের কাছে পৌছে দিবেন, কার্ড দেখিয়ে পণ্য নিবেন, এমন অনিয়ম হওয়ার কথা নয়, কেন এমন হলো? বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২ , ২৪ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলহজ ১৪৪৩

ডিলারের কাছে জমা টিসিবির বহু কার্ডের হদিস নেই!

পণ্য বঞ্চিত বন্যার্ত কার্ডধারীরা

প্রতিনিধি,কলমাকান্দা (নেত্রকোনা)

বন্যা কবলিত নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ভর্তুকি মুল্যের পণ্য পাননি অনেক কার্ডধারী। তাদের পণ্য নিয়ে গেছে অন্যে, পরে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান, কার্ডধারী হয়েও ভর্তুকি মূল্যের পন্য নিতে পারেননি। সদর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আব্দুল গনি চিলাহালা গ্রামের মুখলেছ, নয়াপাড়া মুক্তিচর, চত্রংপুর, মন্তলা,ঘোষপাড়া, চাঁনপর গ্রামের অনেক ভুক্তভোগীরা বলেন, গত রমজানে টিসিবির পণ্য নেওয়ার সময় আমাদের কার্ডগুলো জমা নিয়েছিল, পরে সেগুলো আর ফেরত দেয়নি। ইউপি সদস্যরা বলেছেন কার্ড হারিয়ে গেছে। এই বন্যার সময়ে আমরা পন্যগুলো পেলে উপকৃত হতাম। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত বৃহঃপতিবার সদর ইউনিয়নে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি ডাল ও ১ কেজি চিনি ৪১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বারা বলেন, এবার বন্যার কারণে সবাই পণ্য নিতে চাইছেন, কার্ডগুলো ডিলারের কাছে ছিল, হয়তো সেখানেই এমন এলোমেলো হয়েছে, এই কারণেই অনেকেই পণ্য নিতে পারেননি। তবে টিসিবির পণ্যের ডিলার সাইদুর মিয়া জানান, আমি সকল কার্ডের পণ্য বিতরণ করেছি, মেম্বাররা হয়তো ভুক্তভোগীদের কাছে ঠিকমতো কার্ডগুলো পৌছায়নি, আমি ট্যাক অফিসারের সামনে কার্ড দেখেই পণ্য দিয়েছি, এবং কার্ডগুলো অফিসে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বিশ্বাস জানান, ডিলার কার্ডগুলো নিজের কাছে রেখে দেওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে, একজনের কার্ড অন্য জনে গিয়ে গেছে, পরেরবার মাস্টার রুল তৈরি করে পণ্য দেওয়ার জন্য মেম্বারদের বলে দিয়েছি।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম কে অবগত করিলে তিনি বলেন, কার্ডগুলো ইউনিয়ন পরিষদেই থাকার কথা, মেম্বারা এগুলো পণ্য দেওয়ার আগেই উপকার ভোগীদের কাছে পৌছে দিবেন, কার্ড দেখিয়ে পণ্য নিবেন, এমন অনিয়ম হওয়ার কথা নয়, কেন এমন হলো? বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।