কক্সবাজারে কোরবানির হাটে সর্বোচ্চ দামের গরু কক্স কিং ও ডায়মন্ড কিং। এর মধ্যে সাড়ে আট ফুট লম্বা ও ৩০ মণের বেশি ওজনের কালো রঙের কক্স কিংয়ের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। আর লালচে রঙের প্রায় আট ফুট লম্বা ও ২০ মণ বেশি ওজনের ডায়মন্ডের দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। এ দুটি গরু মিলবে কক্সবাজার কলেজ গেট এলাকায়। এবারই প্রথম কোরবানির হাঁটে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ দামের এই গরু দুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে খামারি শফিকুল ইসলাম। কালো রং আর সুঠাম দেহের অধিকারী কক্স কিং। এই কিংকে সামাল দিতে প্রয়োজন পড়ে চার-পাঁচজন মানুষ। ওজন তার ৩০ মণের বেশি; সাড়ে ৮ ফুট লম্বা এবং উচ্চতায় সাড়ে ৫ ফুটের বেশি। প্রতিদিন দু-বেলা গোসল করানোসহ খাওয়ানো হয় গমের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। আর মাঝে মধ্যে খাওয়ানো হয় ভাত।
পিছিয়ে নেই লাল রঙের ডায়মন্ডও। ২০ মণের বেশি ওজনের ডায়মন্ডও প্রায় ৮ ফুট লম্বা। আর এদের পরিচর্যার জন্য রয়েছে ৫ জন শ্রমিক। প্রতিদিন তাদের দুই হাজার টাকার খাবার লাগে।
খামারি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার আদরের কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে খুব যত্ন করে বড় করেছি। নিজে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করলেও তাদের সময়মতো খাবার দিয়েছি। ১৯ মাস ধরে এই দুটি ষাঁড়কে লালন পালন করছি। ষাঁড়টিকে মোটাতাজাকরণে প্রাকৃতিক ঘাস, কুঁড়া, ভুসি ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়েছে। প্রতি মাসে খাবারের খরচ প্রায় ৬০ হাজার
বর্তমানে কক্স কিংয়ের ওজন প্রায় ৩০ মণের বেশি। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। দাম দিয়েছি ২০ লাখ টাকা। এক ক্রেতা এসে ১০ লাখের বেশি দাম বলে গেছেন। এই দামে কক্স কিংকে বিক্রি করিনি। আর ডায়মন্ডের ওজন প্রায় ২০ মণের বেশি, দাম ১২ লাখ টাকা। ঘরে অনেকেই এসে দরদাম করছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করছি না। তাই কোরবানি হাটে ষাঁড় দুটি বিক্রির জন্য নিয়ে যাব। কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে দেখতে প্রতিদিন খামারে ভিড় করছে লোকজন, তুলছে ছবি। তাদের কিনতে আবার দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা আসছে। গরু দেখতে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল।
তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এতো বড় গরু আর নেই। তবে দাম একটু বেশি বলছেন খামারি।
শখের বসে ১৯ মাস আগে কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে কিনে লালন পালন শুরু করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেট এলাকার খামারি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বড় গরু পালনে একটু ঝুঁকি বেশি। তাই এ বছর কোরবানির ঈদে গরু দুটিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কক্স কিং ও ডায়মন্ড জেলার মধ্যে সেরা গরু হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২ , ২৪ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
কক্সবাজারে কোরবানির হাটে সর্বোচ্চ দামের গরু কক্স কিং ও ডায়মন্ড কিং। এর মধ্যে সাড়ে আট ফুট লম্বা ও ৩০ মণের বেশি ওজনের কালো রঙের কক্স কিংয়ের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। আর লালচে রঙের প্রায় আট ফুট লম্বা ও ২০ মণ বেশি ওজনের ডায়মন্ডের দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। এ দুটি গরু মিলবে কক্সবাজার কলেজ গেট এলাকায়। এবারই প্রথম কোরবানির হাঁটে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ দামের এই গরু দুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে খামারি শফিকুল ইসলাম। কালো রং আর সুঠাম দেহের অধিকারী কক্স কিং। এই কিংকে সামাল দিতে প্রয়োজন পড়ে চার-পাঁচজন মানুষ। ওজন তার ৩০ মণের বেশি; সাড়ে ৮ ফুট লম্বা এবং উচ্চতায় সাড়ে ৫ ফুটের বেশি। প্রতিদিন দু-বেলা গোসল করানোসহ খাওয়ানো হয় গমের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। আর মাঝে মধ্যে খাওয়ানো হয় ভাত।
পিছিয়ে নেই লাল রঙের ডায়মন্ডও। ২০ মণের বেশি ওজনের ডায়মন্ডও প্রায় ৮ ফুট লম্বা। আর এদের পরিচর্যার জন্য রয়েছে ৫ জন শ্রমিক। প্রতিদিন তাদের দুই হাজার টাকার খাবার লাগে।
খামারি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার আদরের কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে খুব যত্ন করে বড় করেছি। নিজে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করলেও তাদের সময়মতো খাবার দিয়েছি। ১৯ মাস ধরে এই দুটি ষাঁড়কে লালন পালন করছি। ষাঁড়টিকে মোটাতাজাকরণে প্রাকৃতিক ঘাস, কুঁড়া, ভুসি ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়েছে। প্রতি মাসে খাবারের খরচ প্রায় ৬০ হাজার
বর্তমানে কক্স কিংয়ের ওজন প্রায় ৩০ মণের বেশি। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। দাম দিয়েছি ২০ লাখ টাকা। এক ক্রেতা এসে ১০ লাখের বেশি দাম বলে গেছেন। এই দামে কক্স কিংকে বিক্রি করিনি। আর ডায়মন্ডের ওজন প্রায় ২০ মণের বেশি, দাম ১২ লাখ টাকা। ঘরে অনেকেই এসে দরদাম করছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করছি না। তাই কোরবানি হাটে ষাঁড় দুটি বিক্রির জন্য নিয়ে যাব। কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে দেখতে প্রতিদিন খামারে ভিড় করছে লোকজন, তুলছে ছবি। তাদের কিনতে আবার দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা আসছে। গরু দেখতে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল।
তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এতো বড় গরু আর নেই। তবে দাম একটু বেশি বলছেন খামারি।
শখের বসে ১৯ মাস আগে কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে কিনে লালন পালন শুরু করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেট এলাকার খামারি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বড় গরু পালনে একটু ঝুঁকি বেশি। তাই এ বছর কোরবানির ঈদে গরু দুটিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কক্স কিং ও ডায়মন্ড জেলার মধ্যে সেরা গরু হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।