সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আশা জ্বালানি উপদেষ্টার

আগামী সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খজিন সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানির বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সংকট নিরসনে আলোকসজ্জা নিয়ন্ত্রণ, অফিসের কর্মঘণ্টা হ্রাসসহ বেশকিছু পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা পেলে হয়তো লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন নাও হতে পারে।

গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জ্বালানি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘দেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা’বিষয়ক সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজুমল আহসান, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকিউল হোসেন, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের উৎপাদন, বিতরণ, সঞ্চালন সংশ্লিষ্ট সংস্থা, অধিদপ্তর ও কোম্পানি প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

যুদ্ধ-পরিস্থিতির কারণে দেশে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জ্বালানি সংকট থাকতে পারে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রিডে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট পিক ডিমান্ড হতে পারে। সাশ্রয়ী পদক্ষেপ সফল হলে ডিমান্ড ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে নেমে আসবে। লোডশেডিং নাও হতে পারে। ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, ভারত থেকে আদানী গ্রুপের বিদ্যুৎ আসবে। বাগেরহাটের রামপাল, চট্টগ্রামে এস আলমের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তখন চাহিদার যোগান দেয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, ‘শুধু এলএনজি দিয়ে সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন কমে এলেও সমস্যা হবে না। এই তিনটি কেন্দ্র থেকে গড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।’

রাজধানীর আশপাশে অসংখ্য অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের উদাসীনতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে সভায় আমরা আলাপ করেছি। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ উচ্ছেদের পাশপাশি বকেয়া বিল দ্রুত আদায়ের বিষয়ে সভায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

উন্নত দেশগুলোতে জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে জানিয়ে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, জাপানে মাথাপিছু আয় আমদের চেয়ে অনেক বেশি। তারা লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে। জার্মানিও তৈরি হচ্ছে লোডশেডিং বা রেশনিংয়ের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশও এখন জ্বালানি সাশ্রয়ে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা এর বাইরে নই। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। আমরা যুদ্ধের মধ্যেই অবস্থান করছি। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। সন্ধ্যা ৭টার পর বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান না করা, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখা, মসজিদেও নামাজের সময় ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’

ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এলএনজি ও তেলের দাম এখন অনেক বেশি। এলএনজির দাম এখন প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট ৪১ ডলারে উঠেছে। ডিজেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৭৭ ডলারে উঠেছে। এমনিতেই আমরা এই খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে আরও বেশি ব্যয় করা কঠিন। অন্যদিকে সাশ্রয় করা গেলে এই ব্যয়ের প্রয়োজন নেই। তবে এই পরিস্থিতি কবে নাগাদ শেষ হবে তা কেউ জানে না। আমরা সাশ্রয়ের তালিকা তৈরি করছি। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

গ্রাম ও শহরের লোডশেডিংয়ের বৈষম্যের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি এত সহজ নয়। কোন কোন গ্রামে শুধু মানুষের বাস, আবার কোথাও শিল্প-কারখানা আছে; এসব বিষয় বিবেচনা করে স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। এটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা দেখতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। এছাড়া গ্রাহকদের আগে থেকে লোডশেডিং জানানো সম্ভব নয়। তবে আগের দিন একটা আভাস দেয়া যেতে পারে। সেই তালিকা করাও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

রিজার্ভ কয়লা থেকে বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা চলছে উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমদানিকৃত কয়লা আগস্টে আসবে। পায়রার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কারণে খুলনায় পাঠানোর হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছি। এই মুহূর্তে কোন রিগ (খনন-যন্ত্র) বসে নেই। তবে রাতারাতি গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। আগামী বছরের শুরুতে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের মাহবুব হোসেন বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ সংযোগের বিষয়ে তথ্য প্রদানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২ , ২৪ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলহজ ১৪৪৩

সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আশা জ্বালানি উপদেষ্টার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আগামী সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খজিন সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানির বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সংকট নিরসনে আলোকসজ্জা নিয়ন্ত্রণ, অফিসের কর্মঘণ্টা হ্রাসসহ বেশকিছু পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা পেলে হয়তো লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন নাও হতে পারে।

গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জ্বালানি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘দেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা’বিষয়ক সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজুমল আহসান, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকিউল হোসেন, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের উৎপাদন, বিতরণ, সঞ্চালন সংশ্লিষ্ট সংস্থা, অধিদপ্তর ও কোম্পানি প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

যুদ্ধ-পরিস্থিতির কারণে দেশে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জ্বালানি সংকট থাকতে পারে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রিডে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট পিক ডিমান্ড হতে পারে। সাশ্রয়ী পদক্ষেপ সফল হলে ডিমান্ড ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে নেমে আসবে। লোডশেডিং নাও হতে পারে। ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, ভারত থেকে আদানী গ্রুপের বিদ্যুৎ আসবে। বাগেরহাটের রামপাল, চট্টগ্রামে এস আলমের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তখন চাহিদার যোগান দেয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, ‘শুধু এলএনজি দিয়ে সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন কমে এলেও সমস্যা হবে না। এই তিনটি কেন্দ্র থেকে গড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।’

রাজধানীর আশপাশে অসংখ্য অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের উদাসীনতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে সভায় আমরা আলাপ করেছি। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ উচ্ছেদের পাশপাশি বকেয়া বিল দ্রুত আদায়ের বিষয়ে সভায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

উন্নত দেশগুলোতে জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে জানিয়ে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, জাপানে মাথাপিছু আয় আমদের চেয়ে অনেক বেশি। তারা লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে। জার্মানিও তৈরি হচ্ছে লোডশেডিং বা রেশনিংয়ের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশও এখন জ্বালানি সাশ্রয়ে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা এর বাইরে নই। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। আমরা যুদ্ধের মধ্যেই অবস্থান করছি। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। সন্ধ্যা ৭টার পর বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান না করা, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখা, মসজিদেও নামাজের সময় ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’

ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এলএনজি ও তেলের দাম এখন অনেক বেশি। এলএনজির দাম এখন প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট ৪১ ডলারে উঠেছে। ডিজেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৭৭ ডলারে উঠেছে। এমনিতেই আমরা এই খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে আরও বেশি ব্যয় করা কঠিন। অন্যদিকে সাশ্রয় করা গেলে এই ব্যয়ের প্রয়োজন নেই। তবে এই পরিস্থিতি কবে নাগাদ শেষ হবে তা কেউ জানে না। আমরা সাশ্রয়ের তালিকা তৈরি করছি। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

গ্রাম ও শহরের লোডশেডিংয়ের বৈষম্যের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি এত সহজ নয়। কোন কোন গ্রামে শুধু মানুষের বাস, আবার কোথাও শিল্প-কারখানা আছে; এসব বিষয় বিবেচনা করে স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। এটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা দেখতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। এছাড়া গ্রাহকদের আগে থেকে লোডশেডিং জানানো সম্ভব নয়। তবে আগের দিন একটা আভাস দেয়া যেতে পারে। সেই তালিকা করাও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

রিজার্ভ কয়লা থেকে বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা চলছে উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমদানিকৃত কয়লা আগস্টে আসবে। পায়রার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কারণে খুলনায় পাঠানোর হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছি। এই মুহূর্তে কোন রিগ (খনন-যন্ত্র) বসে নেই। তবে রাতারাতি গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। আগামী বছরের শুরুতে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের মাহবুব হোসেন বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ সংযোগের বিষয়ে তথ্য প্রদানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।