কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ : জনস্বাস্থ্যে ঝুঁকি ও করণীয়

নাজমুল হুদা খান

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। ঈদুল আজহায় ইসলামের বিধান অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে থাকেন। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটির বেশি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। এ বছর প্রায় দেড় কোটি পশু কোরবানি হবে বলে প্রত্যাশা। দেশে সারা বছর প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ পশু জবাই করা হয় তার প্রায় অর্ধেক কোরবানির ঈদেই জবাই করা হয়।

দেশের প্রোটিনের চাহিদার বেশির ভাগ ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানিকৃত পশু থেকে মিটে থাকে। কোরবানির পশুটির লালন পালন, সুস্থতা এবং কোরবানির ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনে ধর্মীয় বিধি-বিধান সুস্পষ্ট; এর মধ্যে পশুর নির্দিষ্ট বয়স ও সুস্থতা অন্যতম।

আমাদের দেশে কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মকান্ড প্রচলিত রয়েছে। এ প্রক্রিয়া অবশ্যই পশুসম্পদ খাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। তবে এর সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। কোরবানির পশুটি যাতে সুস্থ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। অনেক সময় মোটাতাজাকরণে পশু এবং পরবর্তীতে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ ও কেমিক্যালস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সহজ উপায়ে গরুকে মোটা করার অসাধু পন্থা হিসেবে নানা ধরনের স্টেরয়েড যথা- ওরাডেক্সন, ডেক্সামিথাসন, ডেকাসন, স্টেরন, প্রেডনিসোলন ট্যাবলেট, গুড়া পাউডার বা তরল খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কোরবানির কাছাকাছি সময়ে এসে অনেক খামারিরা পশুর দেহে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকে। এসব হরমোনের প্রভাবে অল্প সময়ে পশু মোটাতাজা হয়ে ওঠে সত্যি, কিন্তু পশুর শরীরে মারাত্মক জটিল রোগ বাসা বাঁধে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই পশুর কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা লোপ পায়। উপরন্তু লিভার ও কিডনি বিকল হয়ে পড়ার কারণে এসব পশুর দেহে স্টেরয়েডস ও হরমোনসমূহ ডি-টক্সিফাই হয়ে নিঃসরণ হতে পারে না। এসব অনিঃসরিত হরমোন ও স্টেরয়েডস গরুর মাংসসহ অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জমে থাকে। কোরবানির পর এসব পশুর মাংস মানবদেহের জন্যও স্বাস্থ্যহানিকর।

যেহেতু শুধুমাত্র কোরবানির সময়ই দেশের অর্ধেকের বেশি পশু জবাই করা হয় এবং কোরবানিকে লক্ষ্য রেখেই সিংহভাগ মোটাতাজাকরণ কর্মকান্ড প্রচলিত রয়েছে; তাই মানবদেহে এর মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় নির্দেশনা পালনে মানুষের সুন্দর ও তাজা পশু কোরবানির আকাক্সক্ষাকে পুঁজি করে মোটাতাজাকরণে এসব কর্মকান্ড দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

দেশের ১ কোটির বেশি মানুষের কিডনি রোগ এবং ২ কোটি মানুষের লিভার রোগের পেছনে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত এসব অননুমোদিত হরমোন, ব্যথানাশক ওষুধ ও স্টেরয়েডস অনেকাংশেই দায়ী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, ৭০ শতাংশ মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত গবাদিপশুতে স্টেরয়েডস ব্যবহার করা হয়েছিল। রান্নার পরও এসব গরুর মাংস থেকে এ উচ্চমাত্রার স্টেরয়েডস মুক্ত হয় না বলে মানুষের দেহে কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের অল্প বয়সে রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও স্থুলতা দেখা দেয়। মহিলাদের স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায় গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত হরমোন মানবদেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, প্রোস্টেট ও স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিসেবে তথ্য প্রকাশ করেছে। স্টেরয়েডস যেমন- ডাইক্লোফেনাক, ওরাডেক্সন, স্টেরন, ডেকাসন, কর্টসন, করটিসল, হাইড্রোকর্টিসল ব্যবহারের ফলে পশুর কিডনি ও লিভারে অত্যাধিক চাপ পড়ে, গবাদিপশুর কিডনি সার্কুলেশনের গতি হ্রাস পায়; ফলশ্রুতিতে অল্প সময়েই পশুটি তাজা মনে হয়।

পশু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ দেখে স্টেরয়েডস বা হরমোন ব্যবহারে মোটাতাজা গবাদিপশু চেনা যায়। প্রথমত, অতিশয় মোটাতাজা পশু একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে ও সহজে নড়াচড়া করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, এসব পশুর গায়ে খোঁচা দিলে অন্যান্য সাধারণ পশুর মতো সাড়া দিতে পারে না। তৃতীয়ত, এসব পশুর চামড়া অধিকতর চকচকে থাকে। চতুর্থত, চামড়ায় স্পর্শে এসব পশু স্বাভাবিক টের পায় না। পঞ্চমত, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেশি থাকে এবং ষষ্ঠত, নাকের উপরিভাগ অপেক্ষাকৃত শুষ্ক থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় এসব স্টেরয়েডস, হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিকসগুলো উন্নত বিশ্বে গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ পশু খাদ্য আইন-২০১০ এ গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে অবৈধ অ্যান্টিবায়োটিকস, উদ্দীপক হরমোন, স্টেরয়েডস ও অন্যান্য ক্ষতিকারক কেমিক্যালস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অমান্যে এক বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধে ও মহিমান্বিত কোরবানির আদর্শকে সর্বত্র বহাল রাখতে স্বাস্থ্য বিভাগ, পশুসম্পদ অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসন এ সময় জোর নজরদারি করে থাকে। সরকার অনুমোদিত হাটগুলোতে গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, প্রয়োজনে তাদের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। নিজ, পরিবার ও দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খামারিদের দেশের প্রচলিত আইন মেনে ও ধর্মীয় বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম পরিচালনায় সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধে আমাদের এ ধরনের গবাদিপশু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

[লেখক : সহকারী পরিচালক,

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল]

শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২ , ২৪ আষাড় ১৪২৮ ২৮ জিলহজ ১৪৪৩

কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ : জনস্বাস্থ্যে ঝুঁকি ও করণীয়

নাজমুল হুদা খান

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। ঈদুল আজহায় ইসলামের বিধান অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে থাকেন। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটির বেশি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। এ বছর প্রায় দেড় কোটি পশু কোরবানি হবে বলে প্রত্যাশা। দেশে সারা বছর প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ পশু জবাই করা হয় তার প্রায় অর্ধেক কোরবানির ঈদেই জবাই করা হয়।

দেশের প্রোটিনের চাহিদার বেশির ভাগ ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানিকৃত পশু থেকে মিটে থাকে। কোরবানির পশুটির লালন পালন, সুস্থতা এবং কোরবানির ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনে ধর্মীয় বিধি-বিধান সুস্পষ্ট; এর মধ্যে পশুর নির্দিষ্ট বয়স ও সুস্থতা অন্যতম।

আমাদের দেশে কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মকান্ড প্রচলিত রয়েছে। এ প্রক্রিয়া অবশ্যই পশুসম্পদ খাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। তবে এর সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। কোরবানির পশুটি যাতে সুস্থ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। অনেক সময় মোটাতাজাকরণে পশু এবং পরবর্তীতে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ ও কেমিক্যালস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সহজ উপায়ে গরুকে মোটা করার অসাধু পন্থা হিসেবে নানা ধরনের স্টেরয়েড যথা- ওরাডেক্সন, ডেক্সামিথাসন, ডেকাসন, স্টেরন, প্রেডনিসোলন ট্যাবলেট, গুড়া পাউডার বা তরল খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কোরবানির কাছাকাছি সময়ে এসে অনেক খামারিরা পশুর দেহে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকে। এসব হরমোনের প্রভাবে অল্প সময়ে পশু মোটাতাজা হয়ে ওঠে সত্যি, কিন্তু পশুর শরীরে মারাত্মক জটিল রোগ বাসা বাঁধে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই পশুর কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা লোপ পায়। উপরন্তু লিভার ও কিডনি বিকল হয়ে পড়ার কারণে এসব পশুর দেহে স্টেরয়েডস ও হরমোনসমূহ ডি-টক্সিফাই হয়ে নিঃসরণ হতে পারে না। এসব অনিঃসরিত হরমোন ও স্টেরয়েডস গরুর মাংসসহ অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জমে থাকে। কোরবানির পর এসব পশুর মাংস মানবদেহের জন্যও স্বাস্থ্যহানিকর।

যেহেতু শুধুমাত্র কোরবানির সময়ই দেশের অর্ধেকের বেশি পশু জবাই করা হয় এবং কোরবানিকে লক্ষ্য রেখেই সিংহভাগ মোটাতাজাকরণ কর্মকান্ড প্রচলিত রয়েছে; তাই মানবদেহে এর মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় নির্দেশনা পালনে মানুষের সুন্দর ও তাজা পশু কোরবানির আকাক্সক্ষাকে পুঁজি করে মোটাতাজাকরণে এসব কর্মকান্ড দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

দেশের ১ কোটির বেশি মানুষের কিডনি রোগ এবং ২ কোটি মানুষের লিভার রোগের পেছনে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত এসব অননুমোদিত হরমোন, ব্যথানাশক ওষুধ ও স্টেরয়েডস অনেকাংশেই দায়ী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, ৭০ শতাংশ মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত গবাদিপশুতে স্টেরয়েডস ব্যবহার করা হয়েছিল। রান্নার পরও এসব গরুর মাংস থেকে এ উচ্চমাত্রার স্টেরয়েডস মুক্ত হয় না বলে মানুষের দেহে কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের অল্প বয়সে রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও স্থুলতা দেখা দেয়। মহিলাদের স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায় গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত হরমোন মানবদেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, প্রোস্টেট ও স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিসেবে তথ্য প্রকাশ করেছে। স্টেরয়েডস যেমন- ডাইক্লোফেনাক, ওরাডেক্সন, স্টেরন, ডেকাসন, কর্টসন, করটিসল, হাইড্রোকর্টিসল ব্যবহারের ফলে পশুর কিডনি ও লিভারে অত্যাধিক চাপ পড়ে, গবাদিপশুর কিডনি সার্কুলেশনের গতি হ্রাস পায়; ফলশ্রুতিতে অল্প সময়েই পশুটি তাজা মনে হয়।

পশু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ দেখে স্টেরয়েডস বা হরমোন ব্যবহারে মোটাতাজা গবাদিপশু চেনা যায়। প্রথমত, অতিশয় মোটাতাজা পশু একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে ও সহজে নড়াচড়া করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, এসব পশুর গায়ে খোঁচা দিলে অন্যান্য সাধারণ পশুর মতো সাড়া দিতে পারে না। তৃতীয়ত, এসব পশুর চামড়া অধিকতর চকচকে থাকে। চতুর্থত, চামড়ায় স্পর্শে এসব পশু স্বাভাবিক টের পায় না। পঞ্চমত, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেশি থাকে এবং ষষ্ঠত, নাকের উপরিভাগ অপেক্ষাকৃত শুষ্ক থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় এসব স্টেরয়েডস, হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিকসগুলো উন্নত বিশ্বে গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ পশু খাদ্য আইন-২০১০ এ গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে অবৈধ অ্যান্টিবায়োটিকস, উদ্দীপক হরমোন, স্টেরয়েডস ও অন্যান্য ক্ষতিকারক কেমিক্যালস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অমান্যে এক বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধে ও মহিমান্বিত কোরবানির আদর্শকে সর্বত্র বহাল রাখতে স্বাস্থ্য বিভাগ, পশুসম্পদ অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসন এ সময় জোর নজরদারি করে থাকে। সরকার অনুমোদিত হাটগুলোতে গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, প্রয়োজনে তাদের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। নিজ, পরিবার ও দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খামারিদের দেশের প্রচলিত আইন মেনে ও ধর্মীয় বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম পরিচালনায় সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধে আমাদের এ ধরনের গবাদিপশু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

[লেখক : সহকারী পরিচালক,

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল]