যুক্তরাষ্ট্রে ৫১ শতাংশ, ইইউতে ৩৩

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এবার রেকর্ড প্রবৃদ্ধি

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এবার রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার পোশাক খাতের রপ্তানিতে অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। পোশাক রপ্তানির এই চিত্র গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শুধু যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে তা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও যুক্তরাজ্যের বাজারেও ভালো করেছে দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের এই খাত।

বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৯০১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা দেশীয় মুদ্রায় ৮৪ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এই রপ্তানি গত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছিল ৫৯৪ কোটি ডলারের পোশাক।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে সব মিলিয়ে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে এক হাজার ১১৬ কোটি ডলারের।

বিদায়ী অর্থবছরে ইইউতে ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল এক হাজার ৫৯৮ কোটি ডলার।

ইইউর মধ্যে সর্বোচ্চ জার্মানিতে বিদায়ী অর্থবছরে ৭১৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৬১ কোটি ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে স্পেনে। দেশটিতে ৩০২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে গত অর্থবছর। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্পেনে ২১৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বিদায়ী অর্থবছরে ৪৫০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছিল ৩৪৪ কোটি ডলারের পোশাক। এছাড়া কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে কানাডায় ৯৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

এদিকে নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভালো করেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী অর্থবছরে ৬৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নতুন বাজারে রপ্তানি হয়েছিল ৫০৮ কোটি ডলারের পোশাক।

নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে জাপানে, ১১০ কোটি ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ায় ৮১ কোটি ও ভারতে ৭১ কোটি ডলারের পোশাক।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পরও রাশিয়ার বাজারে পোশাক রপ্তানি খুব বেশি কমেনি। বিদায়ী অর্থবছরে রাশিয়ায় ৫৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। আগের অর্থবছর রপ্তানি হয়েছিল ৫৯ কোটি ডলারের।

শনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

যুক্তরাষ্ট্রে ৫১ শতাংশ, ইইউতে ৩৩

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এবার রেকর্ড প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এবার রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার পোশাক খাতের রপ্তানিতে অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। পোশাক রপ্তানির এই চিত্র গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শুধু যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে তা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও যুক্তরাজ্যের বাজারেও ভালো করেছে দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের এই খাত।

বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৯০১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা দেশীয় মুদ্রায় ৮৪ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এই রপ্তানি গত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছিল ৫৯৪ কোটি ডলারের পোশাক।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে সব মিলিয়ে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে এক হাজার ১১৬ কোটি ডলারের।

বিদায়ী অর্থবছরে ইইউতে ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল এক হাজার ৫৯৮ কোটি ডলার।

ইইউর মধ্যে সর্বোচ্চ জার্মানিতে বিদায়ী অর্থবছরে ৭১৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৬১ কোটি ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে স্পেনে। দেশটিতে ৩০২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে গত অর্থবছর। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্পেনে ২১৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বিদায়ী অর্থবছরে ৪৫০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছিল ৩৪৪ কোটি ডলারের পোশাক। এছাড়া কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে কানাডায় ৯৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

এদিকে নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভালো করেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী অর্থবছরে ৬৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নতুন বাজারে রপ্তানি হয়েছিল ৫০৮ কোটি ডলারের পোশাক।

নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে জাপানে, ১১০ কোটি ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ায় ৮১ কোটি ও ভারতে ৭১ কোটি ডলারের পোশাক।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পরও রাশিয়ার বাজারে পোশাক রপ্তানি খুব বেশি কমেনি। বিদায়ী অর্থবছরে রাশিয়ায় ৫৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। আগের অর্থবছর রপ্তানি হয়েছিল ৫৯ কোটি ডলারের।