চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় জমি বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে ধানের চারাগাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার। অভিযোগে স্থানীয় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার সূত্রে জানা যায়, সরল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকার কৃষক রফিক আহমদের চাষাবাদকৃত ২০ শতক জমি একই এলাকার ফখরুদ্দিন, আরফাত, মো. হারুন, আমান উল্লাহ, নুর আহমদ ও তৈয়ব গংরা জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে রফিক আহমদের চাষাবাদকৃত ওই জমির সম্পূর্ণ চারা ধানগাছ কেটে জমিতে ফেলে রাখে কতিপয় দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে রফিক আহমদ জমিতে এসে দেখতে পায় তার জমির সমস্ত চারা ধানগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে ওই কৃষক পরিবারের সদস্যরা কান্নায় আহাজারিতে ভেঙে পড়েন।
এদিকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। ওই কৃষক পরিবারের ২০ শতক জমির সম্পূর্ণ চারা ধানগাছ কেটে জমিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, তাদের চাষাবাদকৃত ২০ শতক ধানি জমি একই এলাকার ফখরুদ্দিন, আরফাত, মো. হারুন, আমান উল্লাহ, নুর আহমদ ও তৈয়ব গংরা জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল গত কয়েকদিন ধরে। এতে প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে সম্পূর্ণ জমির চারা ধানগাছ কেটে নস্ট করে দিয়েছে তারা। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘জমিটি আমাদের। কিন্তু রফিক আহমদ তা দখলে রেখে চাষাবাদ করেছে। আমরা ধানের চারাগাছ কাটিনি। রফিক আহমদ নিজেই ধানের চারাগাছ কেটে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সরল এলাকায় জায়গা বিরোধের জের ধরে চারা ধানগাছ কেটে ফেলার অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : রাতের আঁধারে নষ্ট করা নিজের ধানক্ষেত দেখাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
আরও খবরশনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : রাতের আঁধারে নষ্ট করা নিজের ধানক্ষেত দেখাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় জমি বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে ধানের চারাগাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার। অভিযোগে স্থানীয় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার সূত্রে জানা যায়, সরল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকার কৃষক রফিক আহমদের চাষাবাদকৃত ২০ শতক জমি একই এলাকার ফখরুদ্দিন, আরফাত, মো. হারুন, আমান উল্লাহ, নুর আহমদ ও তৈয়ব গংরা জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে রফিক আহমদের চাষাবাদকৃত ওই জমির সম্পূর্ণ চারা ধানগাছ কেটে জমিতে ফেলে রাখে কতিপয় দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে রফিক আহমদ জমিতে এসে দেখতে পায় তার জমির সমস্ত চারা ধানগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে ওই কৃষক পরিবারের সদস্যরা কান্নায় আহাজারিতে ভেঙে পড়েন।
এদিকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। ওই কৃষক পরিবারের ২০ শতক জমির সম্পূর্ণ চারা ধানগাছ কেটে জমিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, তাদের চাষাবাদকৃত ২০ শতক ধানি জমি একই এলাকার ফখরুদ্দিন, আরফাত, মো. হারুন, আমান উল্লাহ, নুর আহমদ ও তৈয়ব গংরা জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল গত কয়েকদিন ধরে। এতে প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে সম্পূর্ণ জমির চারা ধানগাছ কেটে নস্ট করে দিয়েছে তারা। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘জমিটি আমাদের। কিন্তু রফিক আহমদ তা দখলে রেখে চাষাবাদ করেছে। আমরা ধানের চারাগাছ কাটিনি। রফিক আহমদ নিজেই ধানের চারাগাছ কেটে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সরল এলাকায় জায়গা বিরোধের জের ধরে চারা ধানগাছ কেটে ফেলার অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’