ছোট গরুর দাম বেশি, বিপাকে বড় গরুর খামারিরা

মির্জাগঞ্জে গরুর দাম বেশি

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

আর মাত্র একদিন পরই কোরবানির ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশুর হাটগুলোতে চলছে বেচাকেনার ধুম। হাটগুলোতে উঠছে হাজার হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ। সেইসঙ্গে হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার ঢল নেমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং পশু মোটাতাজাকরণে খরচ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় পশুর দাম বেশী হাঁকছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা এবার চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে হাটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরছেন তারা। উপজেলার সুবিদখালী গরুর হাটে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে ক্রেতারা। সামর্থ অনুযায়ী কোরবানি দিতে নিজেদের প্রিয় পশুটি কিনতে হাটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরছেন ক্রেতারা। এই হাটে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার দামের ছোট ও মাঝারি ধরণের গরু দিকে ছুটছেন বেশিভাগ ক্রেতারা। দেড় লাখ টাকার অধিক দামের গরু কিনছেন শরিক হয়ে। এই পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। চলছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে দর কষাকষি। একদিকে পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় যেমন পশুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বাজেট কম হওয়ায় পশুর মূল্য কম হাঁকছেন ক্রেতারা। তবে সবকিছুর পরেও নিজেদের পছন্দমত পশু কিনে পরিবারের সঙ্গে কোরবানী দিতে চান ক্রেতারা। এদিকে ঈদের আগ পর্যন্ত সমযয়ে ভাল বিক্রির আশা বিক্রেতাদের। গরুর বাজার তদারকিতে মাঠে রয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা। কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনেপশু ক্রয় বিক্রয়, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মনিটরিংয়ের জন্য ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবছর কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার যে কয়টি বড় পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে দেউলী, সুবিদখালী লঞ্চঘাট, চৈতা, ভয়াং ও মহিষকাটা পশুর হাট। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক ছোট ছোট পশুর হাট রয়েছে

সাতক্ষীরায় অবিক্রীত অধিকাংশ বড় গরু

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

শেষ সময়েও জমেনি সাতক্ষীরার পশুর হাট। অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে অধিকাংশ বড় গরু। সাতক্ষীরার কোরবানির পশুর অন্যতম বাজার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে ব্যাপারী না আসায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা। ফলে এবারও ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে গো-খামারিদের। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় খামার রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। এ সকল খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭৮ হাজার পশু। জেলার চাহিদা রয়েছে ৫৩ হাজার পশু। উদ্বৃত্ত প্রায় ২৫ হাজার পশু সাতক্ষীরা থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। সরেজমিন জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী আবাদের হাটে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশি ২ মণ বা আড়াই মণ ওজনের ছোট ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে। সাতক্ষীরার খামারে পালন করা বড় জাতের ফ্রিজিয়ান গরু সাধারণত সিলেট অঞ্চলে বিক্রি হয়। সিলেট অঞ্চলের ব্যাপারীরা সাতক্ষীরার আবাদের হাট,পারুলিয়া হাটসহ অন্যান্য হাট থেকে বড় জাতের গরু কিনে নিয়ে যান। কিন্তু সিলেট অঞ্চলে বন্যা হওয়ায় বড় জাতের গরু কেনাবেচা নেই বললেই চলে।

ইজারাদার মানছেন

না নির্দেশনা

প্রতিনিধি, ডোমার (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য তিনটি হাট বিখ্যাত। সোনারায় ইউনিয়নে বসুনিয়ার হাট, গোমনাতি ইউানিয়নের আমবাড়ীর হাট এবং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বোড়াগাড়ীর হাট। সপ্তাহে হাটগুলো দুদিন করে বসে। বসুনিয়ার হাট (শুক্রবার-সোমবার), আমবাড়ীর হাট (শুক্রবার-মঙ্গলবার) ও বোড়াগাড়ী হাট (শনিবার-মঙ্গলবার)। ঈদুল আযহাকে পুজি করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তিনটি হাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে। সরকারীভাবে গরু প্রতি ২১০ টাকা টোল আদায়ের নিয়ম থাকলে মানছেন না হাট ইজারাদার মালিক পক্ষ। বসুনিয়া ও বোড়াগাড়ীর হাটে গরু ক্রেতা-বিক্রেতার কাজ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮শ টাকা। কিন্তু এই দুটি হাটের চেয়ে ১শ টাকা কম নিচ্ছে আমবাড়ী হাট।

গত মঙ্গলবার আমবাড়ী ও বোড়াগাড়ী হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত টোল। বোড়াগাড়ী হাটে ক্রেতাার কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩শত ও বিক্রেতার কাজ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫শত টাকা। বসুনিয়া ও বোড়াগাড়ীর হাটের চেয়ে ১শত টাকা কম টোল আদায় করছে আমবাড়ী হাট ইজারাদার ওসমান আলী।

মোরেলগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে পশুরহাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড়। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি।

সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে বসেছে এ হাট। নজর কেড়েছে লাল টুকটুকি, লাল কালাচাঁদসহ বিভিন্ন নামীয় গরু। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সার্বক্ষণিক মাঠে রাখা হয়েছে পুলিশের টিম, গ্রামপুলিশ, বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণাধীন স্বেচ্ছাসেবক দল। সরেজমিন গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি পশুর হাট বাজার। দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে ঐতিয্যবাহী এ উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট নামে খ্যাত এ বাজারটি। ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে খামারিরা হাটে এসছেন পাকিস্তানি ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত গরু নিয়ে। পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকেও বেপারিও এসেছেন এ হাটে। বিগত বছরের চেয়ে এবারে দাম বেশি। করোনা মাহামারিতে দুই বছরে খামারী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মন্দা হলেও এবারে ঈদুল আজহায় তা কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করছেন একাধিক খামারী ব্যবসায়ীরা। হাটে গরু নিয়ে আসা আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মনির শেখ, তার লাল টুকটুকি দাম হাকাচ্ছেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, কচুবুনিয়ার সাইফুল ইসলাম কবির ফ্রিজিয়ান ১টি গরুর দাম চেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার, ইন্দ্রজিৎ সাহা, চাপরি গ্রামের রুস্তুম আলী মোল্লা পাকিস্তানী সিংহি ২টি গরু দাম চেয়েছেন ৫ লাখ টাকা ক্রেতারা দাম বলেছেন আড়াই লাখ। তবে, সামনের একদিনে রাতদিন একাধিক গরু বিক্রি করতে হবে তাদের। তা হলেই বিগত লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন এ বেপারিরা।

মাধবদীতে দাম বেশি বিক্রি আশানুরূপ

প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)

মাধবদীতে শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত এক সাপ্তাহ যাবৎ মাধবদী ও আশপাশের ¯া’য়ি-অস্থায়ি কোরবানির পশুর হাট গুলিতে নজর কারার মতো প্রচুর গরু, মহিষ ও খাসির আমদানি হলেও ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি। তবে গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে বেচাকেনাও জমে উঠেছে। গরু, মহিষের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হলেও বিক্রি বেড়েছে আশানুরূপ। দূর দুরান্ত থেকে খামারিরা ট্রাকে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট মাধবদী, বালাপুর, চীনবালাপুর, নুরালাপুর হাটে গরু, মহিষ, খাসি নিয়ে এসেছেন এবং আসছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাধবদীতে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাকা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা । গরুটি হাটে তুলেছেন বালাপুরের বগাদী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জববর মিয়া। বিক্রেতা এ মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে গরুটি তার পালিত গাভীর বাছুর । তিন বছর ধরে লালন পালনের পর এ বছর হাটে তুলেছেন। সঠিক দাম কত হলে বিক্রি করবেন জানতে চাইলে বিক্রেতা জানান অনেক খরচ আর কষ্ট করে গরুটি বড় করেছি । ক্রেতাদের মধ্যে যে সবার চেয়ে বেশি দাম বলেন তাকেই দেব। তবে আজকালের মধ্যে ছেড়ে দেবেন বলেও তিনি জানান। মাধবদীতে গত ৫ জুলাই সর্বোচ্চ দামে একটি মহিষ কিশোরগঞ্জের আমির হোসেন নামে এক বিক্রেতা বিক্রি করেছেন ২ লাখ টাকায়। গরুর দাম বেডিশ, চীন বালাপরে শাহিন মিয়া দুই বছর পূর্বে একটি বাছর কিনে ষাড় গরু বানিয়ে গত ৬ লাই ২ লাখ ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন, গরুটি ক্রয় করেছেন পাইকারচরের তাঁত কারখানা মালিক সুলতান মিয়া। এ ছাড়াও মাধবদী গরুরহাটে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁক াহচ্ছে এমন গরু উঠেছে অর্ধশতাধিক।

গত দুদিনে প্রচুর মাঝারি সাইজের গরু এক লাখ, এক লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। প্রচুর খাসি-ভেড়াও বিক্রি হচ্ছে অনেক। তবে ক্রেতা সাধারণের মন্তব্য হচ্ছে এ বছর কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি; তবে সময় শেষ এজন্য কিছু বেশি দাম দিয়েই কোরবানির পশু কিনে নিচ্ছি।

শনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

ছোট গরুর দাম বেশি, বিপাকে বড় গরুর খামারিরা

image

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : গরুর হাটে ক্রেতার ঢল -সংবাদ

মির্জাগঞ্জে গরুর দাম বেশি

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

আর মাত্র একদিন পরই কোরবানির ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশুর হাটগুলোতে চলছে বেচাকেনার ধুম। হাটগুলোতে উঠছে হাজার হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ। সেইসঙ্গে হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার ঢল নেমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং পশু মোটাতাজাকরণে খরচ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় পশুর দাম বেশী হাঁকছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা এবার চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে হাটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরছেন তারা। উপজেলার সুবিদখালী গরুর হাটে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে ক্রেতারা। সামর্থ অনুযায়ী কোরবানি দিতে নিজেদের প্রিয় পশুটি কিনতে হাটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরছেন ক্রেতারা। এই হাটে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার দামের ছোট ও মাঝারি ধরণের গরু দিকে ছুটছেন বেশিভাগ ক্রেতারা। দেড় লাখ টাকার অধিক দামের গরু কিনছেন শরিক হয়ে। এই পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। চলছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে দর কষাকষি। একদিকে পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় যেমন পশুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বাজেট কম হওয়ায় পশুর মূল্য কম হাঁকছেন ক্রেতারা। তবে সবকিছুর পরেও নিজেদের পছন্দমত পশু কিনে পরিবারের সঙ্গে কোরবানী দিতে চান ক্রেতারা। এদিকে ঈদের আগ পর্যন্ত সমযয়ে ভাল বিক্রির আশা বিক্রেতাদের। গরুর বাজার তদারকিতে মাঠে রয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা। কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনেপশু ক্রয় বিক্রয়, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মনিটরিংয়ের জন্য ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবছর কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার যে কয়টি বড় পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে দেউলী, সুবিদখালী লঞ্চঘাট, চৈতা, ভয়াং ও মহিষকাটা পশুর হাট। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক ছোট ছোট পশুর হাট রয়েছে

সাতক্ষীরায় অবিক্রীত অধিকাংশ বড় গরু

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

শেষ সময়েও জমেনি সাতক্ষীরার পশুর হাট। অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে অধিকাংশ বড় গরু। সাতক্ষীরার কোরবানির পশুর অন্যতম বাজার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে ব্যাপারী না আসায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা। ফলে এবারও ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে গো-খামারিদের। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় খামার রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। এ সকল খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭৮ হাজার পশু। জেলার চাহিদা রয়েছে ৫৩ হাজার পশু। উদ্বৃত্ত প্রায় ২৫ হাজার পশু সাতক্ষীরা থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। সরেজমিন জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী আবাদের হাটে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশি ২ মণ বা আড়াই মণ ওজনের ছোট ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে। সাতক্ষীরার খামারে পালন করা বড় জাতের ফ্রিজিয়ান গরু সাধারণত সিলেট অঞ্চলে বিক্রি হয়। সিলেট অঞ্চলের ব্যাপারীরা সাতক্ষীরার আবাদের হাট,পারুলিয়া হাটসহ অন্যান্য হাট থেকে বড় জাতের গরু কিনে নিয়ে যান। কিন্তু সিলেট অঞ্চলে বন্যা হওয়ায় বড় জাতের গরু কেনাবেচা নেই বললেই চলে।

ইজারাদার মানছেন

না নির্দেশনা

প্রতিনিধি, ডোমার (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য তিনটি হাট বিখ্যাত। সোনারায় ইউনিয়নে বসুনিয়ার হাট, গোমনাতি ইউানিয়নের আমবাড়ীর হাট এবং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বোড়াগাড়ীর হাট। সপ্তাহে হাটগুলো দুদিন করে বসে। বসুনিয়ার হাট (শুক্রবার-সোমবার), আমবাড়ীর হাট (শুক্রবার-মঙ্গলবার) ও বোড়াগাড়ী হাট (শনিবার-মঙ্গলবার)। ঈদুল আযহাকে পুজি করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তিনটি হাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে। সরকারীভাবে গরু প্রতি ২১০ টাকা টোল আদায়ের নিয়ম থাকলে মানছেন না হাট ইজারাদার মালিক পক্ষ। বসুনিয়া ও বোড়াগাড়ীর হাটে গরু ক্রেতা-বিক্রেতার কাজ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮শ টাকা। কিন্তু এই দুটি হাটের চেয়ে ১শ টাকা কম নিচ্ছে আমবাড়ী হাট।

গত মঙ্গলবার আমবাড়ী ও বোড়াগাড়ী হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত টোল। বোড়াগাড়ী হাটে ক্রেতাার কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩শত ও বিক্রেতার কাজ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫শত টাকা। বসুনিয়া ও বোড়াগাড়ীর হাটের চেয়ে ১শত টাকা কম টোল আদায় করছে আমবাড়ী হাট ইজারাদার ওসমান আলী।

মোরেলগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে পশুরহাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড়। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি।

সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে বসেছে এ হাট। নজর কেড়েছে লাল টুকটুকি, লাল কালাচাঁদসহ বিভিন্ন নামীয় গরু। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সার্বক্ষণিক মাঠে রাখা হয়েছে পুলিশের টিম, গ্রামপুলিশ, বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণাধীন স্বেচ্ছাসেবক দল। সরেজমিন গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি পশুর হাট বাজার। দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে ঐতিয্যবাহী এ উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট নামে খ্যাত এ বাজারটি। ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে খামারিরা হাটে এসছেন পাকিস্তানি ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত গরু নিয়ে। পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকেও বেপারিও এসেছেন এ হাটে। বিগত বছরের চেয়ে এবারে দাম বেশি। করোনা মাহামারিতে দুই বছরে খামারী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মন্দা হলেও এবারে ঈদুল আজহায় তা কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করছেন একাধিক খামারী ব্যবসায়ীরা। হাটে গরু নিয়ে আসা আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মনির শেখ, তার লাল টুকটুকি দাম হাকাচ্ছেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, কচুবুনিয়ার সাইফুল ইসলাম কবির ফ্রিজিয়ান ১টি গরুর দাম চেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার, ইন্দ্রজিৎ সাহা, চাপরি গ্রামের রুস্তুম আলী মোল্লা পাকিস্তানী সিংহি ২টি গরু দাম চেয়েছেন ৫ লাখ টাকা ক্রেতারা দাম বলেছেন আড়াই লাখ। তবে, সামনের একদিনে রাতদিন একাধিক গরু বিক্রি করতে হবে তাদের। তা হলেই বিগত লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন এ বেপারিরা।

মাধবদীতে দাম বেশি বিক্রি আশানুরূপ

প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)

মাধবদীতে শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত এক সাপ্তাহ যাবৎ মাধবদী ও আশপাশের ¯া’য়ি-অস্থায়ি কোরবানির পশুর হাট গুলিতে নজর কারার মতো প্রচুর গরু, মহিষ ও খাসির আমদানি হলেও ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি। তবে গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে বেচাকেনাও জমে উঠেছে। গরু, মহিষের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হলেও বিক্রি বেড়েছে আশানুরূপ। দূর দুরান্ত থেকে খামারিরা ট্রাকে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট মাধবদী, বালাপুর, চীনবালাপুর, নুরালাপুর হাটে গরু, মহিষ, খাসি নিয়ে এসেছেন এবং আসছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাধবদীতে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাকা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা । গরুটি হাটে তুলেছেন বালাপুরের বগাদী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জববর মিয়া। বিক্রেতা এ মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে গরুটি তার পালিত গাভীর বাছুর । তিন বছর ধরে লালন পালনের পর এ বছর হাটে তুলেছেন। সঠিক দাম কত হলে বিক্রি করবেন জানতে চাইলে বিক্রেতা জানান অনেক খরচ আর কষ্ট করে গরুটি বড় করেছি । ক্রেতাদের মধ্যে যে সবার চেয়ে বেশি দাম বলেন তাকেই দেব। তবে আজকালের মধ্যে ছেড়ে দেবেন বলেও তিনি জানান। মাধবদীতে গত ৫ জুলাই সর্বোচ্চ দামে একটি মহিষ কিশোরগঞ্জের আমির হোসেন নামে এক বিক্রেতা বিক্রি করেছেন ২ লাখ টাকায়। গরুর দাম বেডিশ, চীন বালাপরে শাহিন মিয়া দুই বছর পূর্বে একটি বাছর কিনে ষাড় গরু বানিয়ে গত ৬ লাই ২ লাখ ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন, গরুটি ক্রয় করেছেন পাইকারচরের তাঁত কারখানা মালিক সুলতান মিয়া। এ ছাড়াও মাধবদী গরুরহাটে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁক াহচ্ছে এমন গরু উঠেছে অর্ধশতাধিক।

গত দুদিনে প্রচুর মাঝারি সাইজের গরু এক লাখ, এক লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। প্রচুর খাসি-ভেড়াও বিক্রি হচ্ছে অনেক। তবে ক্রেতা সাধারণের মন্তব্য হচ্ছে এ বছর কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি; তবে সময় শেষ এজন্য কিছু বেশি দাম দিয়েই কোরবানির পশু কিনে নিচ্ছি।