ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার

বাসায় বারবিকিউ পার্টির দাওয়াত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করলেন এক শিক্ষক। আর এ কাজে তিনি কাজে লাগিয়েছেন ওই ছাত্রীর কিছু সহপাঠীকে। গত ৬ জুলাই এ ঘটনার শিকার ছাত্রীর অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে শিক্ষককে সহযোগিতায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোর্শেদ আলম জানান, বারবিকিউ পার্টির নামে এক শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৪২ বছর বয়সী শিক্ষক কুমার অনিমেশ ভট্টচার্যকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা থানা পুলিশ। ওই শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত মারিয়াম এ কর্মরত। শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষার্থী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং বিভাগের। অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তরা-পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে কুমার অনিমেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নাহিদুল হক (২৫) নামে আরও এক শিক্ষার্থী জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে জানানো হয়, গত ৬ জুলাই রাতে নাহিদ ভিকটিমকে বারবিকিউ পার্টির আমন্ত্রণ জানান। পার্টিতে কে কে আছে ভিকটিম তা জানতে চাইলে নাহিদ কয়েকজন সহপাঠী ও শিক্ষক কুমার অনিমেষ ভট্টাচার্য আছেন বলে জানান। ভিকটিম তখন এত রাতে আসা সম্ভব না বলে জানান। পরে নাহিদের জোরাজুরিতে ভিক্টিম রাজি হন এবং তার দুই ছোট ভাইকে নিয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় আসেন। ভিকটিম তার দুই ছোট ভাইকে ‘স্যারের সঙ্গে দেখা করে চলে আসব’ বলে নিচে অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর নাহিদের ওই বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক অনিমেষ দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনার পর ভিকটিম সেখান থেকে পালিয়ে এলে শিক্ষক ও নাহিদ তাকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ফোনে হুমকি দেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থী তার শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষক অনিমেশ ভট্টচার্য পরিকল্পিতভাবে একটি পার্টির আয়োজন করে। তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলে তথ্য রয়েছে। সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

শনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাসায় বারবিকিউ পার্টির দাওয়াত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করলেন এক শিক্ষক। আর এ কাজে তিনি কাজে লাগিয়েছেন ওই ছাত্রীর কিছু সহপাঠীকে। গত ৬ জুলাই এ ঘটনার শিকার ছাত্রীর অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে শিক্ষককে সহযোগিতায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোর্শেদ আলম জানান, বারবিকিউ পার্টির নামে এক শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৪২ বছর বয়সী শিক্ষক কুমার অনিমেশ ভট্টচার্যকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা থানা পুলিশ। ওই শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত মারিয়াম এ কর্মরত। শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষার্থী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং বিভাগের। অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তরা-পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে কুমার অনিমেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নাহিদুল হক (২৫) নামে আরও এক শিক্ষার্থী জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে জানানো হয়, গত ৬ জুলাই রাতে নাহিদ ভিকটিমকে বারবিকিউ পার্টির আমন্ত্রণ জানান। পার্টিতে কে কে আছে ভিকটিম তা জানতে চাইলে নাহিদ কয়েকজন সহপাঠী ও শিক্ষক কুমার অনিমেষ ভট্টাচার্য আছেন বলে জানান। ভিকটিম তখন এত রাতে আসা সম্ভব না বলে জানান। পরে নাহিদের জোরাজুরিতে ভিক্টিম রাজি হন এবং তার দুই ছোট ভাইকে নিয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় আসেন। ভিকটিম তার দুই ছোট ভাইকে ‘স্যারের সঙ্গে দেখা করে চলে আসব’ বলে নিচে অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর নাহিদের ওই বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক অনিমেষ দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনার পর ভিকটিম সেখান থেকে পালিয়ে এলে শিক্ষক ও নাহিদ তাকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ফোনে হুমকি দেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থী তার শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষক অনিমেশ ভট্টচার্য পরিকল্পিতভাবে একটি পার্টির আয়োজন করে। তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলে তথ্য রয়েছে। সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।