নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি করবে না সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুদ্ধরত রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করা হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটি থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করবে না বাংলাদেশ সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান সংকট উত্তরণে আমরা অন্য কোন দেশ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করার চিন্তা করছি।’ গতকাল নিজ জেলা সিলেটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত মে মাসে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল নিতে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় দেশটি। রাশিয়ার এ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে ওই সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশে যে ক্রুড ওয়েল (অপরিশোধিত তেল) রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি আমাদের দেশের শোধনাগারের সঙ্গে ম্যাচ করে না। আমাদের দেশে ওই তেল শোধন প্রক্রিয়া নেই।’ রাশিয়ার এ প্রস্তাবের বিষয়ে সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল ও গম দিতে চেয়েছে। কিন্তু, নিষেধাজ্ঞার ভয়ে আমরা তা নিচ্ছি না।’

পূর্ব ইউক্রেনের মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র স্বীকৃতি এবং সেখানে সেনা পাঠানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেয়া পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়েছে। সুতরাং আমি এর জবাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করছি।’

ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় এরই মধ্যে পশ্চিমা অর্থায়ন থেকে রাশিয়া সরকারকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে পড়ে। সংকট দেখা দেয় জ্বালানি তেল ও গ্যাসের। খাদ্যের দামও বেড়ে যায়।

শনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি করবে না সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যুদ্ধরত রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করা হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটি থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করবে না বাংলাদেশ সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান সংকট উত্তরণে আমরা অন্য কোন দেশ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করার চিন্তা করছি।’ গতকাল নিজ জেলা সিলেটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত মে মাসে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল নিতে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় দেশটি। রাশিয়ার এ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে ওই সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশে যে ক্রুড ওয়েল (অপরিশোধিত তেল) রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি আমাদের দেশের শোধনাগারের সঙ্গে ম্যাচ করে না। আমাদের দেশে ওই তেল শোধন প্রক্রিয়া নেই।’ রাশিয়ার এ প্রস্তাবের বিষয়ে সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল ও গম দিতে চেয়েছে। কিন্তু, নিষেধাজ্ঞার ভয়ে আমরা তা নিচ্ছি না।’

পূর্ব ইউক্রেনের মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র স্বীকৃতি এবং সেখানে সেনা পাঠানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেয়া পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়েছে। সুতরাং আমি এর জবাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করছি।’

ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় এরই মধ্যে পশ্চিমা অর্থায়ন থেকে রাশিয়া সরকারকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে পড়ে। সংকট দেখা দেয় জ্বালানি তেল ও গ্যাসের। খাদ্যের দামও বেড়ে যায়।