গতকাল ভোরে ঠাসা যাত্রী নিয়ে ১৪টি বিশালাকৃতির লঞ্চ বরিশাল এসেছে

পদ্মা সেতু চালুর কারণে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলো যাত্রী পাবে না শঙ্কাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে ঈদের স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী ১৪টি বিশালাকৃতির লঞ্চ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বা তিনগুণ যাত্রী নিয়ে গতকাল সকালে বরিশাল নৌ-বন্দরে নোঙর করেছে।

গতকাল ভোর রাত সাড়ে ৪টার মধ্যে সব লঞ্চগুলো বরিশালে নোঙর করে। কুয়াকাটা-২ লঞ্চের যাত্রী সুমন বলেন, লঞ্চের ডেক বা ছাদেও জায়গা না পেয়ে অনেকেই সারারাত সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বরিশাল এসেছেন। অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের যাত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ডেক ও কেবিনের ভাড়া কমলেও স্পেশাল সার্ভিসে আবার আগের ভাড়া নেয়া হয়েছে। সুন্দরবন-১১ লঞ্চের যাত্রী মনির হোসেন জানান, সুবিশাল এই লঞ্চটির একটি কেবিন বা সোফাও ফাঁকা ছিল না। আর নিচতলার ডেক থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত যাত্রীতে ঠাসা ছিল।

গতকাল যে ১৪টি লঞ্চ এসেছে তার মধ্যে সরাসরি এসেছে ১০টি লঞ্চ। আর ভায়া রুটের ৪টি লঞ্চ এসেছে। ভায়া রুটের লঞ্চগুলো বরিশালে যাত্রীদের নামিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছে। সরাসরি এসছে মানামি, সুরভি-৭, পারাবত-৯ ও ১২, সুন্দবন-১১, কুয়াকাটা-২, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, কীর্তনখোলা-২। কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পুনরায় ঢাকা চলে গেছে। বাকিগুলো বরিশালের যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তবে এখন ঢাকায় যাবার যাত্রী সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। ঈদের পর শুরু হবে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফেরার পালা।

যাত্রীদের হয়রানি প্রতিরোধ করার জন্য নদীবন্দ কর্তৃপক্ষ, নৌ পুলিশ ও কোতয়ালি থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। টার্মিনালে মোবাইল টিমও কাজ করেছে।

শনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

গতকাল ভোরে ঠাসা যাত্রী নিয়ে ১৪টি বিশালাকৃতির লঞ্চ বরিশাল এসেছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

পদ্মা সেতু চালুর কারণে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলো যাত্রী পাবে না শঙ্কাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে ঈদের স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী ১৪টি বিশালাকৃতির লঞ্চ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বা তিনগুণ যাত্রী নিয়ে গতকাল সকালে বরিশাল নৌ-বন্দরে নোঙর করেছে।

গতকাল ভোর রাত সাড়ে ৪টার মধ্যে সব লঞ্চগুলো বরিশালে নোঙর করে। কুয়াকাটা-২ লঞ্চের যাত্রী সুমন বলেন, লঞ্চের ডেক বা ছাদেও জায়গা না পেয়ে অনেকেই সারারাত সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বরিশাল এসেছেন। অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের যাত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ডেক ও কেবিনের ভাড়া কমলেও স্পেশাল সার্ভিসে আবার আগের ভাড়া নেয়া হয়েছে। সুন্দরবন-১১ লঞ্চের যাত্রী মনির হোসেন জানান, সুবিশাল এই লঞ্চটির একটি কেবিন বা সোফাও ফাঁকা ছিল না। আর নিচতলার ডেক থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত যাত্রীতে ঠাসা ছিল।

গতকাল যে ১৪টি লঞ্চ এসেছে তার মধ্যে সরাসরি এসেছে ১০টি লঞ্চ। আর ভায়া রুটের ৪টি লঞ্চ এসেছে। ভায়া রুটের লঞ্চগুলো বরিশালে যাত্রীদের নামিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছে। সরাসরি এসছে মানামি, সুরভি-৭, পারাবত-৯ ও ১২, সুন্দবন-১১, কুয়াকাটা-২, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, কীর্তনখোলা-২। কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পুনরায় ঢাকা চলে গেছে। বাকিগুলো বরিশালের যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তবে এখন ঢাকায় যাবার যাত্রী সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। ঈদের পর শুরু হবে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফেরার পালা।

যাত্রীদের হয়রানি প্রতিরোধ করার জন্য নদীবন্দ কর্তৃপক্ষ, নৌ পুলিশ ও কোতয়ালি থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। টার্মিনালে মোবাইল টিমও কাজ করেছে।