খুলনায় ফেরিঘাট ইজারা নিয়ে মুখোমুখি আ.লীগ নেতারা

খুলনার রেলিগেট এলাকার ভৈরব নদের একটি ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে মুখোমুখি আওয়ামী লীগের দুইপক্ষ। যার ফলে সাধারণ ঠিকাদাররা শিডিউল কিনতে পারেননি। মাত্র দুটি শিডিউল জমা পড়েছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একপক্ষ। অভিযোগের অনুলিপি সড়ক ও জনপদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলী বরাবার পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, খুলনা হইতে দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট তেরখাদা সড়কের ১ কিলোমিটারে অবস্থিত নগরঘাটা ফেরিঘাট ইজারা কোটেশনের দরপত্র আহ্বান করা হয়। মেসার্স মো. হায়দার আলী মোড়ল এ বিজ্ঞপ্তির ইজারা কোটেশন অনুযায়ী ৪র্থ আহ্বানে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়। যা গত ২৬ মে অনুমোদনের জন্য সওজের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই কর্তৃপক্ষ ৫ম বারের মতো দরপত্র আহ্বান করেন। যার শিডিউল জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল গত ৬ জুলাই দুপুর ১টা এবং শিডিউল ওপেনিং ছিল দুপুর ৩টায়।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, দিঘলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেসার্স মো. হায়দার আলী মোড়ল প্রতিষ্ঠানের মালিক হায়দার আলী মোড়ল বলেন, তিন বছর আগে আমি মাত্র ৫১ লাখ টাকায় ঘাটটি ইজারা নিয়েছিলাম। এ বছর তিনগুণ ইজারামূল্য দেয়া লাগছে। চারবার রি-টেন্ডার হয়েছে। একটিপক্ষ তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার লোকদের শিডিউল ওপেনিং করার সময় রাখা হয়নি।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিঘলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মোল্যা বলেন, গতবার তারা খুবই কম টাকায় ঘাটটি ক্ষমতা দেখিয়ে ইজারা নিয়েছিল। কিন্তু এবার সুষ্ঠুভাবেই সব কর্মকা- সম্পাদন হয়েছে। আমি ফারদিন স্টোন বাজার নামে একটি লাইসেন্সে শিডিউল জমা দিয়েছি। শুনেছি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছি। তবে অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি।

খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, নিয়ম মেনে টেন্ডার ওপেন করা হয়েছে। ফারদিন স্টোন বাজার এবং মেসার্স মো. হায়দার আলী মোড়ল নামে দুটি টেন্ডার জমা পড়েছিল। যথাযথ নিয়ম মেনেই টেন্ডার ওপেন করা হয়। দরপত্র দুটিতে এক কোটি ৫৬ থেকে এক কোটি ৬৬ লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে। মূল্যায়ন কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কারা ইজারা পাবে।

শনিবার, ০৯ জুলাই ২০২২ , ২৫ আষাড় ১৪২৮ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

খুলনায় ফেরিঘাট ইজারা নিয়ে মুখোমুখি আ.লীগ নেতারা

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

খুলনার রেলিগেট এলাকার ভৈরব নদের একটি ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে মুখোমুখি আওয়ামী লীগের দুইপক্ষ। যার ফলে সাধারণ ঠিকাদাররা শিডিউল কিনতে পারেননি। মাত্র দুটি শিডিউল জমা পড়েছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একপক্ষ। অভিযোগের অনুলিপি সড়ক ও জনপদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলী বরাবার পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, খুলনা হইতে দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট তেরখাদা সড়কের ১ কিলোমিটারে অবস্থিত নগরঘাটা ফেরিঘাট ইজারা কোটেশনের দরপত্র আহ্বান করা হয়। মেসার্স মো. হায়দার আলী মোড়ল এ বিজ্ঞপ্তির ইজারা কোটেশন অনুযায়ী ৪র্থ আহ্বানে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়। যা গত ২৬ মে অনুমোদনের জন্য সওজের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই কর্তৃপক্ষ ৫ম বারের মতো দরপত্র আহ্বান করেন। যার শিডিউল জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল গত ৬ জুলাই দুপুর ১টা এবং শিডিউল ওপেনিং ছিল দুপুর ৩টায়।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, দিঘলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেসার্স মো. হায়দার আলী মোড়ল প্রতিষ্ঠানের মালিক হায়দার আলী মোড়ল বলেন, তিন বছর আগে আমি মাত্র ৫১ লাখ টাকায় ঘাটটি ইজারা নিয়েছিলাম। এ বছর তিনগুণ ইজারামূল্য দেয়া লাগছে। চারবার রি-টেন্ডার হয়েছে। একটিপক্ষ তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার লোকদের শিডিউল ওপেনিং করার সময় রাখা হয়নি।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিঘলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মোল্যা বলেন, গতবার তারা খুবই কম টাকায় ঘাটটি ক্ষমতা দেখিয়ে ইজারা নিয়েছিল। কিন্তু এবার সুষ্ঠুভাবেই সব কর্মকা- সম্পাদন হয়েছে। আমি ফারদিন স্টোন বাজার নামে একটি লাইসেন্সে শিডিউল জমা দিয়েছি। শুনেছি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছি। তবে অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি।

খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, নিয়ম মেনে টেন্ডার ওপেন করা হয়েছে। ফারদিন স্টোন বাজার এবং মেসার্স মো. হায়দার আলী মোড়ল নামে দুটি টেন্ডার জমা পড়েছিল। যথাযথ নিয়ম মেনেই টেন্ডার ওপেন করা হয়। দরপত্র দুটিতে এক কোটি ৫৬ থেকে এক কোটি ৬৬ লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে। মূল্যায়ন কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কারা ইজারা পাবে।