কোরবানির হাটে শেষ মুহূর্তে গরুর দাম ছিল চড়া

কোরবানির ঈদের আগের দিন রাজধানীর পশুরহাটে গরুর চেয়ে ক্রেতার সমাগম বেশি থাকায় দামও ছিল চড়া। গত শনিবার সকালে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে গাবতলীতে গরু কিনে হাটেই রেখেছিলেন এক ক্রেতা। দুপুরের পর সেই গরু নিয়ে তার বাসায় ফেরার সময় দাম জিজ্ঞেস করতেই পাশ থেকে ব্যাপারী বলে উঠলেন, ‘ভাই সকালে না বিক্রি করে বিকালে বিক্রি করলে আরও ৩০ হাজার টাকা বেশি পেতাম।’

বিকাল পর্যন্ত ঘুরে গাবতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাটে গরু সরবরাহ কম দেখা গেছে। হাটগুলোতে ক্রেতা গিজগিজ করলেও সেই অনুপাতে গরুর দেখা মিলছিল না। হাটের জন্য ইজারাদার বাঁশ দিয়ে যে জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছে, সেসব জায়গা ফাঁকা দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুরের বসিলায় ব্যক্তি মালিকানার খালি প্লটে গড়ে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। এ হাটের বেশিরভাগ জায়গা ফাঁকা। ক্রেতার চেয়ে গরুর সংখ্যা একেবারেই কম। যা গরু আছে তা নিয়ে কিছু ক্রেতার টানাটানি দেখা গেলেও অধিকাংশই না কিনে ফিরে যাচ্ছিলেন।

এ হাটের ইজারাদার গরু নিয়ে ব্যাপারীদের আনতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু সে তুলনায় এখানে সে রকম কেউ আসেননি।

কেরানীগঞ্জের আটিবাজার থেকে ছয়টি মাঝারি গরু নিয়ে এসেছিলেন এক বেপারী। সকালে এসে বেলা ৩টার মধ্যেই বিক্রি করেছেন পাঁচটি।

সে বেপারী বলেন, মাঝারি গরুর চাহিদা অনেক বেশি ছিল। যেগুলো বিক্রি করেছি মোটামুটি লাভ হয়েছে। আরও থাকলে বিক্রি হয়ে যেত।

বসিলার এই হাটে অধিকাংশ গরু এসেছে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এ উপজেলার বেউতা থেকে শনিবার দুপুরের দিকে দুটি গরু নিয়ে আসেন এক বেপারী। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি বলেন, কাছাকাছি তো। বাজার বুঝে তারপর হাটে গরুগুলো নিয়ে আসি। একটায় ভালোই লাভ হয়েছে। আরেকটার কাস্টমারদের সঙ্গে দরকষাকষি চলছে।

ছোট গরুর চাহিদার কারণে বড় গরু নিয়ে বিপদগ্রস্ত মনে হল পাবনার আরেক বেপারী। তিনি জানান, চোখের সামনে ছোট গরুগুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমার গরুগুলোর চাহিদা খুব একটা নেই।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩

কোরবানির হাটে শেষ মুহূর্তে গরুর দাম ছিল চড়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কোরবানির ঈদের আগের দিন রাজধানীর পশুরহাটে গরুর চেয়ে ক্রেতার সমাগম বেশি থাকায় দামও ছিল চড়া। গত শনিবার সকালে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে গাবতলীতে গরু কিনে হাটেই রেখেছিলেন এক ক্রেতা। দুপুরের পর সেই গরু নিয়ে তার বাসায় ফেরার সময় দাম জিজ্ঞেস করতেই পাশ থেকে ব্যাপারী বলে উঠলেন, ‘ভাই সকালে না বিক্রি করে বিকালে বিক্রি করলে আরও ৩০ হাজার টাকা বেশি পেতাম।’

বিকাল পর্যন্ত ঘুরে গাবতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাটে গরু সরবরাহ কম দেখা গেছে। হাটগুলোতে ক্রেতা গিজগিজ করলেও সেই অনুপাতে গরুর দেখা মিলছিল না। হাটের জন্য ইজারাদার বাঁশ দিয়ে যে জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছে, সেসব জায়গা ফাঁকা দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুরের বসিলায় ব্যক্তি মালিকানার খালি প্লটে গড়ে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। এ হাটের বেশিরভাগ জায়গা ফাঁকা। ক্রেতার চেয়ে গরুর সংখ্যা একেবারেই কম। যা গরু আছে তা নিয়ে কিছু ক্রেতার টানাটানি দেখা গেলেও অধিকাংশই না কিনে ফিরে যাচ্ছিলেন।

এ হাটের ইজারাদার গরু নিয়ে ব্যাপারীদের আনতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু সে তুলনায় এখানে সে রকম কেউ আসেননি।

কেরানীগঞ্জের আটিবাজার থেকে ছয়টি মাঝারি গরু নিয়ে এসেছিলেন এক বেপারী। সকালে এসে বেলা ৩টার মধ্যেই বিক্রি করেছেন পাঁচটি।

সে বেপারী বলেন, মাঝারি গরুর চাহিদা অনেক বেশি ছিল। যেগুলো বিক্রি করেছি মোটামুটি লাভ হয়েছে। আরও থাকলে বিক্রি হয়ে যেত।

বসিলার এই হাটে অধিকাংশ গরু এসেছে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এ উপজেলার বেউতা থেকে শনিবার দুপুরের দিকে দুটি গরু নিয়ে আসেন এক বেপারী। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি বলেন, কাছাকাছি তো। বাজার বুঝে তারপর হাটে গরুগুলো নিয়ে আসি। একটায় ভালোই লাভ হয়েছে। আরেকটার কাস্টমারদের সঙ্গে দরকষাকষি চলছে।

ছোট গরুর চাহিদার কারণে বড় গরু নিয়ে বিপদগ্রস্ত মনে হল পাবনার আরেক বেপারী। তিনি জানান, চোখের সামনে ছোট গরুগুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমার গরুগুলোর চাহিদা খুব একটা নেই।