বন্যায় প্লাবিত চারপাশ ভরসা নৌকা

চাহিদা বাড়ায় ব্যস্ত নৌকার কারিগররা

বর্ষার শুরু থেকেই ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নৌকা তৈরির ধুম পড়ে গেছে। বর্ষার আগমনে পাহাড়ি ঢলে নেতায় নদীর বাঁধ ভেঙে ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকা গুলোতে গ্রামের চারপাশে বর্ষার থইথই পানি যেন মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা।

উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। কেউবা নৌকা মেরামত ও আলকাতরা লাগাচ্ছে। বর্ষা শেষে এসব কারিগররা ঘর ও আসবাপত্র তৈরীতে মনোনিবেশ করেন।

বর্ষার শুরুতেই এলাকার মৌসুমি জেলেরা নৌকা দিয়ে রাত-দিন মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিচু এলাকার বাসিন্দারা নৌকার মাধ্যমে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম ও স্কুল, কলেজ, হাট বাজারে পারাপার হয়ে থাকে। জমির ধান ও হাট-বাজার থেকে মালামাল আনা নেওয়া ও স্কুল-কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেও নৌকার ব্যবহার করা হয়।

বতিহালা গ্রামের কৃষক ফকর উদ্দিন বলেন, বছরে ৩ মাস পানি থাকে। নৌকা ছাড়া কোথায় যাওয়া যায় না, গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়। কারিগরেরা বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নতি হওয়ায় নৌকা তৈরির কারিগরদের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে প্রতিবছর বর্ষা এলে নৌকা তৈরির ধুম চলে।

নৌকার কারিগর মুহিম জানান, বর্ষা মৌসুম এলেই আমাদের ব্যস্তত বেড়ে যায়। এক নাগাড়ে মৌসুমব্যাপী কাজ করতে হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩

বন্যায় প্লাবিত চারপাশ ভরসা নৌকা

চাহিদা বাড়ায় ব্যস্ত নৌকার কারিগররা

প্রতিনিধি, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

image

বর্ষার শুরু থেকেই ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নৌকা তৈরির ধুম পড়ে গেছে। বর্ষার আগমনে পাহাড়ি ঢলে নেতায় নদীর বাঁধ ভেঙে ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকা গুলোতে গ্রামের চারপাশে বর্ষার থইথই পানি যেন মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা।

উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। কেউবা নৌকা মেরামত ও আলকাতরা লাগাচ্ছে। বর্ষা শেষে এসব কারিগররা ঘর ও আসবাপত্র তৈরীতে মনোনিবেশ করেন।

বর্ষার শুরুতেই এলাকার মৌসুমি জেলেরা নৌকা দিয়ে রাত-দিন মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিচু এলাকার বাসিন্দারা নৌকার মাধ্যমে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম ও স্কুল, কলেজ, হাট বাজারে পারাপার হয়ে থাকে। জমির ধান ও হাট-বাজার থেকে মালামাল আনা নেওয়া ও স্কুল-কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেও নৌকার ব্যবহার করা হয়।

বতিহালা গ্রামের কৃষক ফকর উদ্দিন বলেন, বছরে ৩ মাস পানি থাকে। নৌকা ছাড়া কোথায় যাওয়া যায় না, গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়। কারিগরেরা বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নতি হওয়ায় নৌকা তৈরির কারিগরদের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে প্রতিবছর বর্ষা এলে নৌকা তৈরির ধুম চলে।

নৌকার কারিগর মুহিম জানান, বর্ষা মৌসুম এলেই আমাদের ব্যস্তত বেড়ে যায়। এক নাগাড়ে মৌসুমব্যাপী কাজ করতে হয়।